ঢাকা ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত Logo সুনামগঞ্জে ১ টি স্টিল নৌকাসহ ৩১টি ভারতীয় গরু আটক Logo পবায় রাতের আঁধারে কেটে ফেলা হলো ১১৭টি আমগাছ Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ Logo চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিষাক্ত ধাতু নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিষাক্ত ধাতু নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানি খাতে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে এবং সকল স্তরে জ্বালানির ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মোংলায় অনুষ্ঠিত উঠানবৈঠকে বক্তারা এমন দাবি করে আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন, জ্বালানি অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং নীতি নির্ধারক হিসেবে নারীর ভূমিকা মূল্যায়ন করতে হবে।

মোংলার চিলা বাজারে উপকূলীয় নারীদের অংশগ্রহণে “বিদ্যুৎ ও জ্বালানীখাতে নারীর ক্ষমতায়ন টেকসই উন্নয়নে জ্বালানি নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করো” শীর্ষক উঠানবৈঠকে বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যুৎ খাতে নারীর অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা তুলে ধরেন।

মোংলা নাগরিক সমাজ, ক্লিন (কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক) ও বিডাব্লিউজিইডি (বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর যৌথ আয়োজনে এ উঠানবৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল সারাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করে নারীদের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

উঠানবৈঠকে রাখেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ, নারীনেত্রী কমলা সরকার, চন্দ্রিকা মন্ডল, রত্না শেখ, তন্বী মন্ডল, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার ও ইয়ুথ লিডার মেহেদী হাসান।

এ সময় বক্তারা আরও বলেন, দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৪৬ শতাংশই ব্যবহার হয় গৃহস্থলির কাজে, অর্থাৎ নারীরাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন, কিন্তু আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন। তবে সক্রিয় অংশীদার বা নীতিনির্ধারক হিসেবে নারীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গণ ফ্রন্টের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এর স্মরণে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিষাক্ত ধাতু নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব

আপডেট সময় ১০:৪৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাট

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিষাক্ত ধাতু নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে জ্বালানি খাতে নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে এবং সকল স্তরে জ্বালানির ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মোংলায় অনুষ্ঠিত উঠানবৈঠকে বক্তারা এমন দাবি করে আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নারীর অংশগ্রহণ, ক্ষমতায়ন, জ্বালানি অধিকার নিশ্চিতকরণ এবং নীতি নির্ধারক হিসেবে নারীর ভূমিকা মূল্যায়ন করতে হবে।

মোংলার চিলা বাজারে উপকূলীয় নারীদের অংশগ্রহণে “বিদ্যুৎ ও জ্বালানীখাতে নারীর ক্ষমতায়ন টেকসই উন্নয়নে জ্বালানি নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করো” শীর্ষক উঠানবৈঠকে বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের প্রয়োজনীয়তা ও বিদ্যুৎ খাতে নারীর অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সচেতনতামূলক বার্তা তুলে ধরেন।

মোংলা নাগরিক সমাজ, ক্লিন (কোস্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভায়রনমেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক) ও বিডাব্লিউজিইডি (বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর যৌথ আয়োজনে এ উঠানবৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল সারাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করে নারীদের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।

উঠানবৈঠকে রাখেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ, নারীনেত্রী কমলা সরকার, চন্দ্রিকা মন্ডল, রত্না শেখ, তন্বী মন্ডল, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার ও ইয়ুথ লিডার মেহেদী হাসান।

এ সময় বক্তারা আরও বলেন, দেশে ব্যবহৃত মোট জ্বালানির ৪৬ শতাংশই ব্যবহার হয় গৃহস্থলির কাজে, অর্থাৎ নারীরাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন, কিন্তু আমদানিকৃত জীবাশ্ম জ্বালানির ফলে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির কারণে তারাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হচ্ছেন। তবে সক্রিয় অংশীদার বা নীতিনির্ধারক হিসেবে নারীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।