
এম ডি এন মাইকেল
৯ই মার্চ-০২৫ ইং তারিখে দুদক’র দৃষ্টি আকর্ষণ করে দৈনিক মুক্তি লড়াই পত্রিকার প্রথম পাতায় “কর ফাঁকিবাজ আবাসন ব্যবসায়ী সাহেব আলী কি আইনের উর্ধ্বে” শিরোনাম একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর বহুরূপী সরকারি রাজস্ব ফাকিবাজ সাহেব আলী প্রকাশ্য বলে বেড়ান এইসব পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত করে আমার কিছুই করতে পারবে না।কারণ এই দেশে টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে,আর দুদক এ আমার লোক আগে থেকেই সেট করা আছে! এমনকি আমার রয়েছে এক ঝাক সাংবাদিক।
সুতরাং পত্রিকায় আমার অনিয়ম দুর্নীতি কর ফাঁকির বিষয় নিয়ে কি লিখল আর না লিখল এইসব নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই।বহুরূপী কর ফাঁকিবাজ আবাসন ব্যবসায়ী সাহেব আলীর এমন প্রকাশ্য মন্তব্যের মানিক নগরের স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।শফিকুল ইসলাম নামে মানিকনগরের স্থানীয় এক বাসিন্দা আক্ষেপ এর সুরের প্রতিবেদককে বলেন ভরষা হাউজিং এর মালিক দুর্নীতিবাজ ভূমি দস্যু সরকারের কোটি কোটি কাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সাহেব আলী প্রকাশ্য এলাকায় বলে বাড়ান দুদক রাজনৈতিক নেতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাংবাদিক সব জায়গায় নাকি তার ম্যান সেট করা আছে।শফিকুল ইসলাম সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন রাখেন ভূমি দস্যু কর ফাঁকিবাজ সাহেব আলী কি আইনের উর্ধ্বে?স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল বলেন ভরষা হাউজিং এর মালিক সাহেব আলী মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়ার কারণে বিগত সরকারের সময় তিনি বেপরোয়া ছিলেন।কার অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পেতনা।
বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কারণে, দেশের সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি মরণব্যাধি ক্যান্সার এর রূপ ধারণ করেছিল।বিগত সরকারের সময়ে জন্ম নেওয়া মহা দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, এমপি, আমলা, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির মূল হোতা সালমান এফ রহমান, ব্যাংক কেলেঙ্কারির হোতা এস আলম গ্রুপ এর মালিক শামসুল আলম, ছাগল কাণ্ডে আলোচিত এনবিআর এর সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান, বন খেকো মোশারফ,বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারির হোতা আবেদ আলী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ, সিআইডি সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া গংদের অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি একে একে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসার পর এইবার বেরিয়ে আসলো সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহেব আলি’র নাম।
স্বাধীনতার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে তাদের ব্যবসার উপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন কর অঞ্চলগুলোতে কর দেওয়া বাধ্যতামূলক এর বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করেন। কিন্তু গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কর আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভেলপারস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক বহুরূপী সাহেব আলী’র বিরুদ্ধে সরকারি রাজস্ব কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের সূত্র ধরে দীর্ঘ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে কর ফাঁকিবাজ বহুরূপী সাহেব আলীর নানান অপকর্মের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রমাণ। বহুরূপী কর ফাঁকিবাজ সাহেব আলি একসময় রাজধানী ঢাকার মানিকনগর এলাকায় দরজা জানালা তৈরীর গ্রীল ওয়ার্কশপে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বেশ কিছু বছর কাজ করার এক পর্যায়ের মানিকনগর এলাকায় নিজেই দরজা জানালা তৈরীর গ্রিল ওয়ার্কশপ এর ব্যবসা শুরু করেন।
বেশ কিছুদিন গ্রিল ওয়ার্কশপ ব্যবসা করার পরে হঠাৎ করে আবাসন ব্যবসা নাম লেখিয়ে তৈরি করেন ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড নামক কোম্পানি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বহুরূপী সাহেব আলী হাতে পেয়ে যান রূপকথার আলাদিনের চেরাগ, সেই আলাদিনের চারাগের সংস্পর্শে বহুরূপী সাহেব আলিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সেই থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামীলীগ এর দুর্নীতিবাজ নেতাদের আশীর্বাদে বিশেষ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে রাজউক নকশা বহির্ভূত বহুতল ভবন তৈরীতে স্থানীয় ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসীদের সাথে আতত করে বহুরূপী সাহেব আলি একে একে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে বহুতল ভবন তৈরী করে গ্রাহকদের মাঝে বিক্রি করে সরকারি রাজস্ব (কর)ফাঁকি দিয়ে বর্তমানে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে প্রায় শখানেক বহুতল ভবন তৈরী করে গ্রাহকদের মাঝে বিক্রি করার পরেও বেশ কয়েক বছর সরকারী আয় কর না দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার এক পর্যায়ে স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভেলপাস লিমিটেড এর বিরুদ্ধে কর আদায়ের জন্য কর অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন সার্কেল অফিসে থেকে নোটিশ প্রদান করা হয়।
কর অঞ্চল-৫ এর নোটিশ পাওয়ার পর পর বহুরূপী সাহেব আলী আর আপন ছোট ভাই নুর ইসলাম এবং প্রিয়তমা স্ত্রীর ভাই ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভলপারস লিমিটেডের পরিচালক আলমগীরকে কর অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন সার্কেল অফিসে পাঠিয়ে যেই কোন প্রকারে দফারফা করার ব্যবস্থা করতে বলেন।বহুরূপী কর ফাঁকিবাজ সাহেব আলীর নির্দেশ মতো নুর ইসলাম ও আলমগীর কর অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন সার্কেল শাখার দুর্নীতিবাজ উচ্চমান সহকারী ইমরান, সাইফুল,নাজমুল, সুপারভাইজার সাঈদুর রহমান, কর পরিদর্শক সাইফুল গংদের সাথে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার বন্দোবস্ত ফাইনাল করার পরবর্তীতে বহুরূপী কর ফাঁকিবাজ ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভেলপাস লিমিটেড’র কর্ণধার সাহেব আলীর উপস্থিতিতে সরকারের কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড এর নামে ইনকাম ট্যাক্স ফাইল তৈরি করতে সক্ষম হন।
বহুরূপী কর ফাঁকিবাজ সাহেব আলীর এহেন কর্মকাণ্ড গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রণীত আইনের সাথে সাংঘর্ষিক।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভেলপার্স লিমিটেড’র বহুরূপী সাহেব আলীর রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী এই সন্ত্রাসী বাহিনীর কাজ হচ্ছে কেউ যদি সাহেব আলী নির্ধারিত দামে তার কাছে জমি বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করে পরবর্তী তিনি তার এই বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে জমির মালিকদের ভয় ভীতি দেখিয়ে উক্ত জমি নামমাত্র মূল্যে ক্রয় করেন।
এছাড়াও ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভলপাস লিমিটেড’র কর্ণধর সাহেব আলী বিরুদ্ধে ভবন তৈরির নীতিমালা আমার না করার কারণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান বরাবর বহু লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কিন্তু বহুরূপী সাহেব আলীর টাকা ও ক্ষমতার কাছে অভিযোগের ফাইলগুলো কখনো তদন্তের মুখ দেখেনি।অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় বহুরূপী কর ফাঁকিবাজ সাহেব আলীর রয়েছে মাসিক মাসোয়ারা প্রাপ্ত তথাকথিত গণমাধ্যম কর্মী নামধারী সাংবাদিক চক্র।মানিকনগর এলাকার স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদক কে জানান ভরষা হাউজিং এর মালিক সাহেব আলী সামান্য গ্রিল ওয়ার্কশপ এর কর্মচারী থেকে রাতারাতি হাউজিং ব্যবসার মাধ্যমে বর্তমানে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে তা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের খতিয়ে দেখা দরকার।
মানিক নগর ওয়াসা রোডের একজন প্রবীণ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন সাহেব আলী’র তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার জোরে মানিকনগর খালপাড়ের এক প্রতিবন্ধীর জায়গা নাম মাত্র মুল্যে জোরপূর্বক রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন,শুধু প্রতিবন্ধী জায়গাই নয় এমন বহু নজির আছে ভূমিদস্যু কর ফাঁকিবাজ সাহেব আলীর বিরুদ্ধে।মুগদা মানিকনগর মান্ডা এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে কথা বলে আরও জানা যায় বহুরূপী ভূমিদস্যু সাহেব আলী গত বছর ৫ ই আগস্ট-২৪ইং তারিখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এখন বিএনপি’র মহানগর এবং স্থানীয় নেতাদের বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন নিজের অতীত অপকর্মের আধিপত্য টিকিয়ে রাখার জন্য।
পরবর্তীতে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ভূমিদস্যুতা, রাজউক নকশা বহির্ভূত ভবন তৈরীর বিষয়ে জানতে ভরষা হাউসিং এন্ড ডেভেলপাস লিমিটেড’র কর্ণধার সাহেব আলী’র ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে এবং খুঁদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভলপারস লিমিটেড’র কর্ণধার কর ফাঁকিবাজ বহুরূপী সাহেব আলী’র বিভিন্ন ব্যক্তিকে দিয়ে এই প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন করিয়ে সংবাদ প্রকাশিত না করার জন্য বিভিন্নভাবে অনুরোধ জানান।বহুরূপী কর ফাঁকিবাজ সাহেব আলীর পক্ষে সুপারিশ করা কথিত গণমাধ্যম কর্মী নামধারী সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন আপনার কি লাগবো বলেন তার পরেও সাহেব আলী ভাইয়ের বিরুদ্ধে কর ফাকি সহ বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদটি প্রকাশিত করবেন না। বহুরূপী কর ফাঁকিবাজ সাহেব আলী’র পক্ষে সুপারিশকৃত ব্যক্তিদের কথোপকথন সংরক্ষিত।
তাই প্রশ্ন জাগে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বহুরূপী ভরষা হাউজিং এন্ড ডেভেলপাস লিমিটেডের (কর্ণধার) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহেব আলী কি আইনের উর্ধ্বে? এহেন দুর্নীতিবাজরা দেশ ও জাতির শত্রু,অচিরেই বহুরূপী কর ফাকিবাজ দুর্নীতিবাজ সাহেব আলীর বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে তদন্ত করে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান সমাজের সচেতন মহলের।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ বহুরূপী কর ফাঁকিবাজ ভরসা হাউজিং এন্ড ডেভেলপাস লিমিটেড’র কর্ণধার সাহেব আলী অনিয়ম দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান বিস্তারিত আসছে,,,,,