ঢাকা ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংখালঘু চিকিৎসককে এলাকা ছাড়ার হুমকি

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার আমতলীতে এক সংখ্যালঘু হিন্দু চিকিৎসক ও ভুক্তভোগী লোকজন মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এলাকা ছাড়া, চাঁদা দাবি সহ একাধিক অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার এবং ঐ সংখ্যালঘু চিকিৎসক সুমন।

ভুক্তভোগী ডাক্তার সুমন ও মোঃ মজিবর হাওলাদার লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর আমতলী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে আমতলী থানায় মামলা করেন। ও-ই মামলায় আমার ছেলে মোঃ দোলনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে। মামলার চার্জশীট থেকে আমার ছেলের নাম বাদদিবে বলে আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করেন পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন।

আমি আনেক কষ্টে ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছি। তবে বাকি ৬৫ হাজার টাকা দিতে না পারায় উক্ত মামলা থেকে আমার ছেলে দোলন কে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়নি। জাকিরকে দেওয়া ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি সহ প্রাণনাসের হুমকি প্রদান করেন।

তাছাড়া জাকির হোসেন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মামলার হুমকি দিয়ে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার অনেক সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে। এলাকার মানুষের কাছে জাকির হোসেন মূর্তিমান আতংক। এই জাকির হোসেনকে অভিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার। আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র সহ একাধিক আওয়ামী চেয়ারম্যান এর অবস্হা তুলে জনৈক চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবি সহ এলাকার লোকজনের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেন কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বিকার করেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন এ ধরনের কোন অভিযোগ এখানো পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আমতলীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংখালঘু চিকিৎসককে এলাকা ছাড়ার হুমকি

আপডেট সময় ০৭:০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার আমতলীতে এক সংখ্যালঘু হিন্দু চিকিৎসক ও ভুক্তভোগী লোকজন মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এলাকা ছাড়া, চাঁদা দাবি সহ একাধিক অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার এবং ঐ সংখ্যালঘু চিকিৎসক সুমন।

ভুক্তভোগী ডাক্তার সুমন ও মোঃ মজিবর হাওলাদার লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর আমতলী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে আমতলী থানায় মামলা করেন। ও-ই মামলায় আমার ছেলে মোঃ দোলনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে। মামলার চার্জশীট থেকে আমার ছেলের নাম বাদদিবে বলে আমার কাছ থেকে এক লাখ টাকা দাবি করেন পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর যুবদলের আহবায়ক মোঃ জাকির হোসেন।

আমি আনেক কষ্টে ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছি। তবে বাকি ৬৫ হাজার টাকা দিতে না পারায় উক্ত মামলা থেকে আমার ছেলে দোলন কে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়নি। জাকিরকে দেওয়া ৩৫ হাজার টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি সহ প্রাণনাসের হুমকি প্রদান করেন।

তাছাড়া জাকির হোসেন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মামলার হুমকি দিয়ে এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার অনেক সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে। এলাকার মানুষের কাছে জাকির হোসেন মূর্তিমান আতংক। এই জাকির হোসেনকে অভিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবার। আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র সহ একাধিক আওয়ামী চেয়ারম্যান এর অবস্হা তুলে জনৈক চেয়ারম্যানের কাছে চাঁদা দাবি সহ এলাকার লোকজনের কাছে চাঁদা দাবির বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেন কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বিকার করেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরিফুল ইসলাম বলেন এ ধরনের কোন অভিযোগ এখানো পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।