ঢাকা ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিজয় মেলা নাকি বাণিজ্য মেলা Logo আজ ১৬ ডিসেম্বর: মহাবিজয়ের আলোয় উদ্ভাসিত একাত্তরের রণক্ষেত্রের চূড়ান্ত ইতিহাস Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ

নওগাঁয় ৩ ডাকাত গ্রেফতার: লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার

মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো

গত ২৪ ফেব্রয়ারী ২০২৫ খ্রি. সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলার আত্রাই থানাধীন আহসানগঞ্জে একটি ডাকাত দল স্বর্ণ ব্যবসায়ী নান্টু কুমার প্রামানিকের পথরোধ করে মারপিট করে তার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ অর্থ সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে আত্রাই থানায় একটি ডাকাতি মামলা রুজু হয়।

নওগাঁ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার,বিপিএম নির্দেশক্রমে নওগাঁ জেলা পুলিশের একাধিক টিম ডাকাতির রহস্য উৎঘাটনে কাজ শুরু করে।মামলা তদন্তের একপর্যায়ে জানা যায় যে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নান্টু ও তার ছোট ভাই মন্টুসহ একটি চক্র চোরাই স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত। স্বর্ণক্রয় বিক্রম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই নিজস্ব সদস্যদের মাধ্যমেই এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

পরবর্তীতে এ চক্রের অন্য এক সদস্য ডাকাত রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর দুই ডাকাত আজাদুল এবং জাহিদুলকে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়।

মামলার বাদি নান্টুর কাছে রেজাউল একাধিকবার ডাকাতির স্বর্ণ কমদামে বিক্রয় করেছে। কিন্তু রেজাউল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে থাকাকালীন নান্টু তার কোন খোঁজ-খবর নেয়নি এবং তার পাওনা টাকাও পরিশোধ করেনি। ফলে রেজাউল অন্য ডাকাতদের সাথে যোগাযোগ করে নান্টুর স্বর্ণ এবং টাকা পয়সা ডাকাতি করে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাত ১। মোঃ আজাদুল দেওয়ান(৪৭),পিতা-মৃত-বদর উদ্দিন, সাং-বজরুক আতিয়া, থানা-নওগাঁ সদর, ২। মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৪২),পিতা-মৃত-আসাদুল ইসলাম,সাং-শেরপুর, থানা-নওগাঁ সদর ও ৩। মোঃ রেজাউল মন্ডল (৩০),পিতা-মৃত-তালেব মন্ডল, সাং-মালিপুকুর, থানা-আত্রাই, সর্বজেলা-নওগাঁসহ আরও ২ জন ডাকাত ২টি মোটরসাইকেলযোগে নান্টুর মোটরসাইকেল অনুসরণ করতে করতে আত্রাই থানার আহসানগঞ্জ হাটের দক্ষিণ পার্শ্বে মালাধর বড় ব্রিজের নিকট ফাঁকা স্থানে পৌছে ডাকাতদল পিছন থেকে তার মাথায় আাঘাত করে এবং তার ব্যাগে থাকা স্বর্ণ, রুপা এবং নগদ টাকা মিলে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুন্ঠন করে নিয়ে যায়।

পুলিশের একাধিক টিম গত রাতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানা, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর ও আত্রাই থানা এলাকা থেকে উল্লিখিত ৩ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে।

আসামীদের হেফাজত থেকে ডাকাতিকৃত নগদ ৪০ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল, ডাকাতির টাকায় ক্রয়কৃত ১টি নতুন মোটরসাইকেল এবং ১টি স্বর্ণের চেইন জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য, আসামী আজাদুলের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সহ ১৯ টি মামলা এবং আসামী রেজাউলের বিরুদ্ধে ৩টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ পূর্বক রিমান্ড আবেদন করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিজয় মেলা নাকি বাণিজ্য মেলা

SBN

SBN

নওগাঁয় ৩ ডাকাত গ্রেফতার: লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার

আপডেট সময় ০৫:৩৮:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫

মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো

গত ২৪ ফেব্রয়ারী ২০২৫ খ্রি. সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলার আত্রাই থানাধীন আহসানগঞ্জে একটি ডাকাত দল স্বর্ণ ব্যবসায়ী নান্টু কুমার প্রামানিকের পথরোধ করে মারপিট করে তার কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ অর্থ সহ প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে আত্রাই থানায় একটি ডাকাতি মামলা রুজু হয়।

নওগাঁ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার,বিপিএম নির্দেশক্রমে নওগাঁ জেলা পুলিশের একাধিক টিম ডাকাতির রহস্য উৎঘাটনে কাজ শুরু করে।মামলা তদন্তের একপর্যায়ে জানা যায় যে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নান্টু ও তার ছোট ভাই মন্টুসহ একটি চক্র চোরাই স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িত। স্বর্ণক্রয় বিক্রম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই নিজস্ব সদস্যদের মাধ্যমেই এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

পরবর্তীতে এ চক্রের অন্য এক সদস্য ডাকাত রেজাউলকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর দুই ডাকাত আজাদুল এবং জাহিদুলকে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়।

মামলার বাদি নান্টুর কাছে রেজাউল একাধিকবার ডাকাতির স্বর্ণ কমদামে বিক্রয় করেছে। কিন্তু রেজাউল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে থাকাকালীন নান্টু তার কোন খোঁজ-খবর নেয়নি এবং তার পাওনা টাকাও পরিশোধ করেনি। ফলে রেজাউল অন্য ডাকাতদের সাথে যোগাযোগ করে নান্টুর স্বর্ণ এবং টাকা পয়সা ডাকাতি করে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ডাকাত ১। মোঃ আজাদুল দেওয়ান(৪৭),পিতা-মৃত-বদর উদ্দিন, সাং-বজরুক আতিয়া, থানা-নওগাঁ সদর, ২। মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৪২),পিতা-মৃত-আসাদুল ইসলাম,সাং-শেরপুর, থানা-নওগাঁ সদর ও ৩। মোঃ রেজাউল মন্ডল (৩০),পিতা-মৃত-তালেব মন্ডল, সাং-মালিপুকুর, থানা-আত্রাই, সর্বজেলা-নওগাঁসহ আরও ২ জন ডাকাত ২টি মোটরসাইকেলযোগে নান্টুর মোটরসাইকেল অনুসরণ করতে করতে আত্রাই থানার আহসানগঞ্জ হাটের দক্ষিণ পার্শ্বে মালাধর বড় ব্রিজের নিকট ফাঁকা স্থানে পৌছে ডাকাতদল পিছন থেকে তার মাথায় আাঘাত করে এবং তার ব্যাগে থাকা স্বর্ণ, রুপা এবং নগদ টাকা মিলে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল লুন্ঠন করে নিয়ে যায়।

পুলিশের একাধিক টিম গত রাতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানা, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর ও আত্রাই থানা এলাকা থেকে উল্লিখিত ৩ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে।

আসামীদের হেফাজত থেকে ডাকাতিকৃত নগদ ৪০ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল, ডাকাতির টাকায় ক্রয়কৃত ১টি নতুন মোটরসাইকেল এবং ১টি স্বর্ণের চেইন জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য, আসামী আজাদুলের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি সহ ১৯ টি মামলা এবং আসামী রেজাউলের বিরুদ্ধে ৩টি ডাকাতি মামলা রয়েছে। তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ পূর্বক রিমান্ড আবেদন করা হবে।