ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‘এক বিশ্ব, এক পরিবার’ শীর্ষক সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ Logo চীনের বক্স অফিস আয়ের ঐতিহাসিক রেকর্ড Logo ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত করবে Logo ২০২৪ সালে চীনের পরিষেবা শিল্প দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে Logo গুলশানে স্পা বাণিজ্যের জোরালো সিন্ডিকেট বিশেষ প্রতিনিধি Logo গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ফ্রিল্যান্সার সামিট উদ্বোধন Logo পলাশবাড়ীতে অবৈধভাবে রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগে দুই যুবক কারাগারে Logo খুলনায় পুলিশের তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ আটক-৪ Logo ঝিনাইগাতীতে দুই সার ব্যবসায়ীকে আর্থিক জরিমানা Logo রূপসায় শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ

শৈলকূপায় ৬ সুদ কারবারি আটক

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ছয় সুদ কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ব্ল্যাঙ্ক চেক ও স্টাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সুদ কারবারিদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন শৈলকূপার হরিহরা গ্রামের মৃত আব্দুল বিশ্বাসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহিমপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে আমজাদ হোসেন মোল্লা, বারইপাড়া গ্রামের মৃত আবুল শেখের রহিম শেখ, শেখপারা গ্রামের শহর আলী শেখের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, ভাটই বাজারের আব্দুস সালামের পলাশ হোসেন,চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে পিয়ার আলী।
জানা গেছে, গত কয়েকবছর ধরে শৈলকূপায় সুদ কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরা এক লাখ টাকার বিপরীতে অনেক সময় সুদ হিসাবে সপ্তাহে ৮ থেকে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এতে করে অনেকে তাদের আসল টাকা তো দূরে থাক সুদের টাকায় পরিশোধ করতে পারে না। পরবর্তীতে তারা কৌশলে আসল আর সুদ একসাথে মিলিয়ে টাকা ধার হিসাবে ষ্ট্যাম্পে লিখে নেয়। কখনো কখনো ব্যাংকের ব্ল্যাঙ্ক চেকও নিয়ে থাকে। ফলে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে কিছু করার থাকে না। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথাও বলতে পারে না। তাদের চাপে এক পর্যায়ে বাপদাদার ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় নতুবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।
এদিকে শৈলকূপায় সুদ কারবারিদের আটকের ঘটনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা জানিয়েছেন সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকুক।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই এই জনপদে সুদ কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‘এক বিশ্ব, এক পরিবার’ শীর্ষক সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’

SBN

SBN

শৈলকূপায় ৬ সুদ কারবারি আটক

আপডেট সময় ০৯:১৭:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ছয় সুদ কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ব্ল্যাঙ্ক চেক ও স্টাম্প উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সুদ কারবারিদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন শৈলকূপার হরিহরা গ্রামের মৃত আব্দুল বিশ্বাসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহিমপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে আমজাদ হোসেন মোল্লা, বারইপাড়া গ্রামের মৃত আবুল শেখের রহিম শেখ, শেখপারা গ্রামের শহর আলী শেখের ছেলে সিদ্দিকুর রহমান, ভাটই বাজারের আব্দুস সালামের পলাশ হোসেন,চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে পিয়ার আলী।
জানা গেছে, গত কয়েকবছর ধরে শৈলকূপায় সুদ কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরা এক লাখ টাকার বিপরীতে অনেক সময় সুদ হিসাবে সপ্তাহে ৮ থেকে ১০হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এতে করে অনেকে তাদের আসল টাকা তো দূরে থাক সুদের টাকায় পরিশোধ করতে পারে না। পরবর্তীতে তারা কৌশলে আসল আর সুদ একসাথে মিলিয়ে টাকা ধার হিসাবে ষ্ট্যাম্পে লিখে নেয়। কখনো কখনো ব্যাংকের ব্ল্যাঙ্ক চেকও নিয়ে থাকে। ফলে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে কিছু করার থাকে না। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথাও বলতে পারে না। তাদের চাপে এক পর্যায়ে বাপদাদার ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় নতুবা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।
এদিকে শৈলকূপায় সুদ কারবারিদের আটকের ঘটনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা জানিয়েছেন সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকুক।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করেই এই জনপদে সুদ কারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।