ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আদালতের রায় পক্ষে থাকার পরও ৩.৮৪ একর জমিতে চাষ করতে পারছেন না কৃষক ইসমাইল Logo কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিজয় মেলা নাকি বাণিজ্য মেলা Logo আজ ১৬ ডিসেম্বর: মহাবিজয়ের আলোয় উদ্ভাসিত একাত্তরের রণক্ষেত্রের চূড়ান্ত ইতিহাস Logo নলছিটিতে ৪০টি টিউবওয়েল বিতরণ Logo অবৈধ ড্রেজারে ধ্বংসের মুখে বারেশ্বর বিলের তিন ফসলি জমি Logo কালীগঞ্জে ভাটা উচ্ছেদে এসে শ্রমিকদের বাধায় ফিরে গেলেন পরিবেশ অধিপ্তর Logo সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে ৫১ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তির্ন Logo ১৬ই ডিসেম্বর: মুক্তির লড়াই, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন

যুক্তরাষ্ট্র নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের বৈধ স্বার্থকে বিসর্জন দিচ্ছে : লিন চিয়েন

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৫:১১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

সকল বাণিজ্যিক অংশীদারের উপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ইস্যুতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন চিয়েন ৭ এপ্রিল বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের অপব্যবহার বিভিন্ন দেশকে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে তাদের উন্নয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সমতুল্য।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তার সমস্ত বাণিজ্যিক অংশীদারদের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছে, যা বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করে। জাতিসংঘের উদ্যোগে ‘স্বল্পোন্নত দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত কিছু দুর্বল অর্থনৈতিক সত্তাও বাদ পড়েনি এ থেকে। কিছু ভাষ্যকার মনে করে যে, উচ্চ শুল্কের ফলে একক অর্থনৈতিক কাঠামো এবং রপ্তানির উপর উচ্চ নির্ভরশীলতাসহ দরিদ্র দেশগুলোর উপর অভূতপূর্ব গুরুতর আঘাত হানবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিন চিয়েন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত ‘সমতার’ নামে আধিপত্য অনুশীলন করছে, নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের বৈধ স্বার্থকে বিসর্জন দিচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক নিয়মের উপরে ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতিকে রাখছে। এটি একতরফাবাদ, সুরক্ষাবাদ এবং অর্থনৈতিক উৎপীড়নমূলক আচরণ। বেইজিং ইতোমধ্যেই ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক অপব্যবহারের বিরোধিতায় চীন সরকারের অবস্থান’ প্রকাশ করেছে, যা নিজের গম্ভীর মনোভাবকে প্রকাশ করে।

 

মুখপাত্র আরো বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’ বা ডব্লিউটিওর তথ্য থেকে দেখা গেছে যে, অসম অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অসম অর্থনৈতিক শক্তির প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধি নীতি বিভিন্ন দেশের মধ্যে ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান আরও প্রসারিত করবে এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলো আরও বেশি আঘাত পাবে। এটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনের প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যুক্তরাষ্ট্রের এ আচরণ ডব্লিউটিওর বৈষম্যহীন নীতি লঙ্ঘন করেছে, স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক শৃঙ্খলা এবং বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে, অনিবার্যভাবে এর ঘোর বিরোধিতা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

 

লিন চিয়েন জোর দিয়ে বলেন, উন্নয়ন বিশ্বের সকল দেশের একটি সার্বজনীন অধিকার, কয়েকটি দেশের বিশেষ অধিকার নয়। সকল দেশের উচিত যৌথ পরামর্শ, নির্মাণ এবং ভাগাভাগির নীতিগুলোকে মেনে চলা, প্রকৃত বহুপাক্ষিকতা অনুশীলন করা, সকল ধরণের একতরফাবাদ ও সুরক্ষাবাদের যৌথভাবে বিরোধিতা করা, জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে রক্ষা করা এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করা।

সূত্র : লিলি-হাশিম-তুহিনা, চাশনা মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আদালতের রায় পক্ষে থাকার পরও ৩.৮৪ একর জমিতে চাষ করতে পারছেন না কৃষক ইসমাইল

SBN

SBN

যুক্তরাষ্ট্র নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের বৈধ স্বার্থকে বিসর্জন দিচ্ছে : লিন চিয়েন

আপডেট সময় ০৫:১১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫

সকল বাণিজ্যিক অংশীদারের উপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ইস্যুতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন চিয়েন ৭ এপ্রিল বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের অপব্যবহার বিভিন্ন দেশকে, বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে তাদের উন্নয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সমতুল্য।

যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি তার সমস্ত বাণিজ্যিক অংশীদারদের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছে, যা বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশ এবং অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করে। জাতিসংঘের উদ্যোগে ‘স্বল্পোন্নত দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত কিছু দুর্বল অর্থনৈতিক সত্তাও বাদ পড়েনি এ থেকে। কিছু ভাষ্যকার মনে করে যে, উচ্চ শুল্কের ফলে একক অর্থনৈতিক কাঠামো এবং রপ্তানির উপর উচ্চ নির্ভরশীলতাসহ দরিদ্র দেশগুলোর উপর অভূতপূর্ব গুরুতর আঘাত হানবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিন চিয়েন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত ‘সমতার’ নামে আধিপত্য অনুশীলন করছে, নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের বৈধ স্বার্থকে বিসর্জন দিচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক নিয়মের উপরে ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতিকে রাখছে। এটি একতরফাবাদ, সুরক্ষাবাদ এবং অর্থনৈতিক উৎপীড়নমূলক আচরণ। বেইজিং ইতোমধ্যেই ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক অপব্যবহারের বিরোধিতায় চীন সরকারের অবস্থান’ প্রকাশ করেছে, যা নিজের গম্ভীর মনোভাবকে প্রকাশ করে।

 

মুখপাত্র আরো বলেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’ বা ডব্লিউটিওর তথ্য থেকে দেখা গেছে যে, অসম অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং অসম অর্থনৈতিক শক্তির প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধি নীতি বিভিন্ন দেশের মধ্যে ধনী ও দরিদ্রের ব্যবধান আরও প্রসারিত করবে এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলো আরও বেশি আঘাত পাবে। এটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনের প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যুক্তরাষ্ট্রের এ আচরণ ডব্লিউটিওর বৈষম্যহীন নীতি লঙ্ঘন করেছে, স্বাভাবিক আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক শৃঙ্খলা এবং বিশ্বব্যাপী উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে, অনিবার্যভাবে এর ঘোর বিরোধিতা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

 

লিন চিয়েন জোর দিয়ে বলেন, উন্নয়ন বিশ্বের সকল দেশের একটি সার্বজনীন অধিকার, কয়েকটি দেশের বিশেষ অধিকার নয়। সকল দেশের উচিত যৌথ পরামর্শ, নির্মাণ এবং ভাগাভাগির নীতিগুলোকে মেনে চলা, প্রকৃত বহুপাক্ষিকতা অনুশীলন করা, সকল ধরণের একতরফাবাদ ও সুরক্ষাবাদের যৌথভাবে বিরোধিতা করা, জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে রক্ষা করা এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা-ভিত্তিক বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করা।

সূত্র : লিলি-হাশিম-তুহিনা, চাশনা মিডিয়া গ্রুপ।