
মোঃ ওয়াহিদ, কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা করগাঁও ইউনিয়নে মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে মিলছে না টিউবল থেকে অজুর পানি। চান্দপুর ইউনিয়ন, বনগ্রাম, সহশ্রম ধুলদিয়া, করগাওঁ, মুমুরদিয়া ইউনিয়ন, মসুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এবং হাওর অঞ্চল এলাকায় খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
এরমধ্যে কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ চার পাঁচ মাস ধরে তীব্র পানি সংকটে রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা ও পৌর এলাকার সবখানেই কমবেশি এলাকায় পানি ওঠছেনা। টিউবওয়েলে পানি নেই। ফলে
এলাকার মানুষের মধ্যে পানির সংকট এখন তীব্র। দীর্ঘ অনাবৃষ্টি, ভূ-গর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার, অপরিকল্পিতভাবে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তোলা ও পুকুর-খাল-বিল শুকানোর কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সাধারণ মানুষ এদিকে । সাংবাদিক মোঃ ওয়াহিদ
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন , উল্লেখিত এলাকাগুলোতে টিউবওয়েলে খাবার পানি নেই। কলের চার পাঁচ শুকিয়ে আছে৷ ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। মাঠে বিভিন্ন রকমের ফসল শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। এ নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।এলাকার পুকুর গুলো শুকিয়ে গেছে৷ দূর থেকে পানি এনে
কোনরকম জীবনধারণ করছে মানুষ। অধিকাংশ বাড়িতে পানির অভাবে গোসল করাও বন্ধ রয়েছে। কোন কোন গ্রামে পানি পাওয়া গেলে আশপাশের মানুষ ভীড় করছে পানি নিতে। রান্নাসহ প্রয়োজনীয় কাজ করতে পানির জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। কৃষি ফসলের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জমিতে ফসল লাল হয়ে পুড়ে যাচ্ছে। পানির জন্য গরু ছাগল নিয়ে বিপাকে রয়েছে কৃষকরা৷ বাধ্য হয়ে গরু ছাগল বিক্রি করে দিতে হচ্ছে । করগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নাদিম মোল্লা বলেন আগের পুরানো টিউবল থেকে পানি উঠছে না এবং এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাথে কথা বলবেন এবং সরকারি টিউবলের ব্যবস্থা যাতে হয়