ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বিশ্বকে যুক্ত করছে চীন Logo বিজ্ঞান-অর্থনীতি-বাণিজ্যে আরও বেশি সহযোগিতা কামনা সি চিন পিংয়ের Logo চীনা ওয়াই-২০ বিমানে ত্রাণসামগ্রী আফগানিস্তানে Logo লাকসামে নরপাটি ও ফতেপুর খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ Logo ৮ বছর পর ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সম্মেলন, সভাপতি মির্জা ফয়সল, সম্পাদক পয়গা Logo কটিয়াদীতে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র নারীদের মাঝে চাল বিতরণ Logo জুলাই সনদ সংবিধান থেকে বড় নয় -এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান Logo শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন Logo বিয়ের দুই মাসের আগেই প্রেমিকা নিয়ে পালালেন স্বামী, অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা Logo শুধু ভালো ছাত্র নয়, ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে : জেলা প্রশাসক, গাইবান্ধা

ঝিনাইগাতীর গজনীতে মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান, ১৭টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার

মো: বেলায়েত হোসেন, শেরপুর

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ কেন্দ্রে অবৈধ মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান চালিয়ে ৭ প্রজাতির ১৭টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা।

অভিযানকালে ৫টি বানর, ৪টি হরিণ, ৪টি বনবিড়াল, ১টি অজগর সাপ, ১টি গন্ধগোকুল, ১টি শিয়াল ও ১টি বাজপাখি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে শিয়াল ও বানরগুলো রাতেই গারো পাহাড়ের বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। হরিণ ৪টি চিড়িয়াখানার ইজারাদার ফরিদ আহমেদের জিম্মায় দিয়ে লাইসেন্স গ্রহণের সময় বেঁধে দেয়া হয়। অন্যথায় হরিণগুলো জব্দের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়। আর বাকি ১০টি প্রাণী বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। পরে সেগুলোর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী বনে অবমুক্ত করা হবে।

অভিযানকালে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এসবি তানভীর আহমেদ ইমন, বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন মিয়া, শেরপুর জেলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আবদুল্লাহ আল আমিনসহ বনবিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি ও র‌্যাপিড রেসপন্স বিডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশে অবৈধভাবে একটি মিনি চিড়িয়াখানা পরিচালনা করে আসছিলেন ইজারাদার ফরিদ আহমেদ। তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর ৬ (১) ধারা লঙ্ঘন করে অনুমতি ছাড়া বন্যপ্রাণী আটকে রেখে তা টিকেটের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের দেখিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি একটি ভাল্লুক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর পর সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকেও নেওয়া হয়নি কোন চিকিৎসা সেবা।

এব্যাপারে ইজারাদার ফরিদ আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে চিড়িয়াখানাটি পরিচালনা করে আসছিলাম। বন বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া বন্যপ্রাণী রাখা যাবে না। বুধবার বন কর্মকর্তারা প্রাণীদের তালিকা তৈরি করে। শুক্রবার রাতে লাইসেন্সবিহীন প্রাণীগুলো জব্দ করে। আর যে সকল প্রাণী সংরক্ষণ করা যাবে সেগুলোর জন্য আমি আবেদন করবো।

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা জানান, বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, দখলে রাখা, প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই এখান থেকে ১৭টি বন্যপ্রাণী জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা প্রাণীগুলো কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে রেখে স্বাভাবিক বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বিশ্বকে যুক্ত করছে চীন

SBN

SBN

ঝিনাইগাতীর গজনীতে মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান, ১৭টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার

আপডেট সময় ০৫:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

মো: বেলায়েত হোসেন, শেরপুর

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশ কেন্দ্রে অবৈধ মিনি চিড়িয়াখানায় অভিযান চালিয়ে ৭ প্রজাতির ১৭টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। ১১ এপ্রিল শুক্রবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা।

অভিযানকালে ৫টি বানর, ৪টি হরিণ, ৪টি বনবিড়াল, ১টি অজগর সাপ, ১টি গন্ধগোকুল, ১টি শিয়াল ও ১টি বাজপাখি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে শিয়াল ও বানরগুলো রাতেই গারো পাহাড়ের বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। হরিণ ৪টি চিড়িয়াখানার ইজারাদার ফরিদ আহমেদের জিম্মায় দিয়ে লাইসেন্স গ্রহণের সময় বেঁধে দেয়া হয়। অন্যথায় হরিণগুলো জব্দের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়। আর বাকি ১০টি প্রাণী বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। পরে সেগুলোর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী বনে অবমুক্ত করা হবে।

অভিযানকালে ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এসবি তানভীর আহমেদ ইমন, বালিজুড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সুমন মিয়া, শেরপুর জেলা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সুমন সরকার, ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জার মো. আবদুল্লাহ আল আমিনসহ বনবিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি ও র‌্যাপিড রেসপন্স বিডির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণাধীন পর্যটন কেন্দ্র গজনী অবকাশে অবৈধভাবে একটি মিনি চিড়িয়াখানা পরিচালনা করে আসছিলেন ইজারাদার ফরিদ আহমেদ। তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর ৬ (১) ধারা লঙ্ঘন করে অনুমতি ছাড়া বন্যপ্রাণী আটকে রেখে তা টিকেটের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের দেখিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি একটি ভাল্লুক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর পর সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকেও নেওয়া হয়নি কোন চিকিৎসা সেবা।

এব্যাপারে ইজারাদার ফরিদ আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে চিড়িয়াখানাটি পরিচালনা করে আসছিলাম। বন বিভাগ জানিয়েছে, লাইসেন্স ছাড়া বন্যপ্রাণী রাখা যাবে না। বুধবার বন কর্মকর্তারা প্রাণীদের তালিকা তৈরি করে। শুক্রবার রাতে লাইসেন্সবিহীন প্রাণীগুলো জব্দ করে। আর যে সকল প্রাণী সংরক্ষণ করা যাবে সেগুলোর জন্য আমি আবেদন করবো।

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা জানান, বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, দখলে রাখা, প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই এখান থেকে ১৭টি বন্যপ্রাণী জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা প্রাণীগুলো কিছুদিন কোয়ারেন্টিনে রেখে স্বাভাবিক বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।