
১৪ এপ্রিল সোমবার ভিয়েতনামের হ্যানয় সফরকালে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং দেশের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ভিয়েতনামের পিপলস ডেইলিতে ‘অতীতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং একটি নতুন অধ্যায় লেখার জন্য সমমনা ব্যক্তিদের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা’ শিরোনামে একটি স্বাক্ষরিত নিবন্ধ প্রকাশ করেন।
নিবন্ধে সি চিন পিং বলেন, চীন এবং ভিয়েতনাম সমাজতান্ত্রিক বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, যাদের আদর্শ ও বিশ্বাস অভিন্ন এবং ব্যাপক কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে। নিজ নিজ জাতীয় অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাজতান্ত্রিক পথ অন্বেষণ এবং নিজ নিজ আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায়, শুরুতেই দুই দল এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তা ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন স্বার্থের যৌথ কমিউনিটি গড়ে তোলা দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। পাশাপাশি এটি এই অঞ্চল ও বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য সহায়ক।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, এশিয়া বিশ্বব্যাপী সহযোগিতামূলক উন্নয়নের একটি উচ্চভূমি। এটি সামগ্রিক পুনরুজ্জীবন অর্জনের জন্য একটি নতুন সূচনা বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আছে এবং অভূতপূর্ব সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। চীন প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি তার কূটনৈতিক নীতির ধারাবাহিকতা এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে, পারস্পরিক সুবিধা দেওয়া এবং প্রতিবেশীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ও অংশীদারিত্বের নীতি মেনে চলবে, প্রতিবেশী দেশগুলো সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও গভীর করবে এবং এশিয়ায় আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়াকে যৌথভাবে এগিয়ে নেবে।
প্রেসিডেন্ট সি আরও বলেন, চীন, নিজস্ব বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী দেশ গঠন এবং জাতীয় পুনরুজ্জীবনের মহান উদ্দেশ্যকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিচ্ছে। ভিয়েতনাম জাতীয় উন্নয়নের এক নতুন যুগের সূচনা করতে চলেছে। চীন সবসময় তার প্রতিবেশী কূটনীতিতে ভিয়েতনামকে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। দেশটি অবশ্যই চীন-ভিয়েতনাম অভিন্ন স্বার্থের যৌথ কমিউনিস্ট গঠনের লক্ষ্যে গভীরভাবে কাজ করে যাবে।
সূত্র :ওয়াং তান হোং রুবি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)।