ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএনপি-জামায়াত নিধন করা ওসি জাবীদ এখন ঝিনাইদহ পিবিআইতে Logo সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ জাহাঙ্গীর আলম, পিতৃহারা হলো তিন বছরের ইরফান Logo রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo হাদির উপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে ২ জনকে কুপিয়ে জখম Logo ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় মুরাদনগরে দোয়া মাহফিল Logo রাণীনগরে ৬০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo কালীগঞ্জে অপহরণের ১৬ ঘন্টা পর এক যুবককে উদ্ধার, তিন অপহরণকারী গ্রেফতার Logo শরীফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার পর সীমান্তে বিজিবির কড়া নিরাপত্তা Logo দীগলটারীতে ভাঙা সেতুর কারণে দুই পাড়ের পাঁচ শতাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ Logo নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু 

বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্ট

মোহাম্মদ মাসুদ মজুমদার

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যা করার দরকার তা আমরা করব। শেষ মুহূর্তে এসে অনেক কিছুই করা যায় না। সময়ের মধ্যে যতটুকুই পারি আমরা উন্নয়ন কাজ করতে চাই। আমরা দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চাই।

১৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠে মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেছেন।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বান্দরবানের মানুষ বরাবরই খুব ভালো। তারা কালারফুল। বারোটি কমিউনিটি একত্রিত হয়ে বান্দরবানের মিলেমিশে থাকছে। বিদেশীরাও তা জেনে গেল। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ইঞ্জিনিয়ারিং বেইজড কাজ করে থাকে। আমি এ ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। আমি চাই, এডুকেশন বেইজড ডেভেলপমেন্ট। এখানকার লাইভলিহুড ইমপ্রুভ করা এবং ভারসাম্য পরিবেশ গড়ে তোলা খুবই জরুরি।

এসময় তিনি আরো বলেন, দেশী বিদেশী পর্যটক বান্দরবানে আসুক এইটা আমাদের প্রত্যাশা। আর ১২টি জাতিগোষ্ঠির এমন সংমিশ্রন ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সবাইকে মুগ্ধ করে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক আর্থিক উন্নয়নের জন্য এখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা বিরাজমান। বিদেশিরা এসে তা দেখে যাচ্ছে।

নববর্ষকে ঘিরে “সাংগ্রাই ” এর মৈত্রী পানি বর্ষণে ৫ দিনব্যাপী মেতে উঠেছিল বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায়।

মৈত্রী পানি বর্ষণ এই উৎসবকে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই বলে থাকে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই মারমা’রা সাংগ্রাই উৎসবকে কেন্দ্র করে মৈত্রী পানি বর্ষণ আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে।

এই উৎসবে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী-কন্যা, ইতালিয়ান, আ্যম্বাসেডর, নেদারল্যান্ডস আ্যম্বাসেডর ও ডাচেস আইনবিদ অংশ নেন। সেই সাথে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এএসএম মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মামাসহ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপি-জামায়াত নিধন করা ওসি জাবীদ এখন ঝিনাইদহ পিবিআইতে

SBN

SBN

বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্ট

আপডেট সময় ০২:৩২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

মোহাম্মদ মাসুদ মজুমদার

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যা করার দরকার তা আমরা করব। শেষ মুহূর্তে এসে অনেক কিছুই করা যায় না। সময়ের মধ্যে যতটুকুই পারি আমরা উন্নয়ন কাজ করতে চাই। আমরা দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চাই।

১৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠে মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেছেন।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বান্দরবানের মানুষ বরাবরই খুব ভালো। তারা কালারফুল। বারোটি কমিউনিটি একত্রিত হয়ে বান্দরবানের মিলেমিশে থাকছে। বিদেশীরাও তা জেনে গেল। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ইঞ্জিনিয়ারিং বেইজড কাজ করে থাকে। আমি এ ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই। আমি চাই, এডুকেশন বেইজড ডেভেলপমেন্ট। এখানকার লাইভলিহুড ইমপ্রুভ করা এবং ভারসাম্য পরিবেশ গড়ে তোলা খুবই জরুরি।

এসময় তিনি আরো বলেন, দেশী বিদেশী পর্যটক বান্দরবানে আসুক এইটা আমাদের প্রত্যাশা। আর ১২টি জাতিগোষ্ঠির এমন সংমিশ্রন ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সবাইকে মুগ্ধ করে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক আর্থিক উন্নয়নের জন্য এখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা বিরাজমান। বিদেশিরা এসে তা দেখে যাচ্ছে।

নববর্ষকে ঘিরে “সাংগ্রাই ” এর মৈত্রী পানি বর্ষণে ৫ দিনব্যাপী মেতে উঠেছিল বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায়।

মৈত্রী পানি বর্ষণ এই উৎসবকে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই বলে থাকে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই মারমা’রা সাংগ্রাই উৎসবকে কেন্দ্র করে মৈত্রী পানি বর্ষণ আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে।

এই উৎসবে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী-কন্যা, ইতালিয়ান, আ্যম্বাসেডর, নেদারল্যান্ডস আ্যম্বাসেডর ও ডাচেস আইনবিদ অংশ নেন। সেই সাথে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এএসএম মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মামাসহ সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।