ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পুকুরে ডুবে মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার Logo বিএনপিকে ভাঙ্গার সকল চেষ্টাই শেখ হাসিনা করেছেন.. জাকারিয়া তাহের সুমন Logo ভাবি হত্যায় দেবরের মৃত্যুদণ্ড: শশুর শাশুড়ির যাবজ্জীবন Logo নওগাঁয় কনস্টেবল নিয়োগের নামে ১০লাখ টাকার চুক্তি করে প্রতারণা; গ্রেফতার ১ Logo ধরিয়ে দিন Logo রূপসায় শহীদ জিয়া স্মৃতি নাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo শেরপুরে নিখোঁজের দু’দিন পর এক নারীর মরদেহ উদ্ধার Logo লালমনিরহাটের মিথ্যা মামলাবাজকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবি Logo গাইবান্ধায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে অটোবাইক চালক নিহত Logo বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের পঞ্চগড় জেলা কমিটি অনুমোদন

জাতিসংঘের আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও ন্যায্যতা সমুন্নত রাখতে হবে : সি

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৯:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

এপ্রিল ২৪: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (বুধবার) জলবায়ু এবং ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে ভিডিও ভাষণ দিয়েছেন।

ভাষণে সি চিন পিং বলেন, ‘এ বছর প্যারিস চুক্তির দশম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী। কিছু প্রধান দেশ একতরফাবাদ ও সুরক্ষাবাদের প্রতি আগ্রহী, যা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। তবে, ইতিহাস সর্বদা বাঁক ও মোড় নিয়ে এগিয়ে যায়। যতক্ষণ আমাদের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকবে এবং ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে, ততক্ষণ আমরা প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করতে সক্ষম হব এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু শাসন এবং বিশ্বের সব প্রগতিশীল কারণগুলোর স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।”

সি চিন পিং চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রথমত, বহুপাক্ষিকতা মেনে চলতে হবে। সবাইকে দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘের মূল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারকে দৃঢ়ভাবে সমুন্নত রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে হবে। সবার উচিত উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতার মাধ্যমে বাধা ও দ্বন্দ্ব মোকাবিলা করা; সহযোগিতার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও শিল্পের রূপান্তরে উত্সাহিত করা এবং উচ্চমানের সবুজ প্রযুক্তি ও পণ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা। যাতে সব দেশ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো তা ব্যবহার করতে পারে, বহন করতে পারে এবং ভালভাবে কাজে লাগাতে পারে। তৃতীয়ত, একটি ন্যায্য পরিবর্তন প্রচার করতে হবে। জনগণকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় তাদের জীবিকা ও জলবায়ু শাসনের উন্নতির সমন্বয় সাধন করতে হবে এবং পরিবেশ রক্ষা, অর্থনীতির উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো একাধিক লক্ষ্যের সমন্বয় সাধন করতে হবে। চতুর্থত, বাস্তব পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি রূপান্তরের সমন্বিত উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে জাতীয় স্বাধীন অবদানের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য সব পক্ষের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা উচিৎ।

সূত্র : রুবি-তৌহিদ-সুবর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস

পুকুরে ডুবে মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

SBN

SBN

জাতিসংঘের আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও ন্যায্যতা সমুন্নত রাখতে হবে : সি

আপডেট সময় ০৯:৫৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

এপ্রিল ২৪: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল (বুধবার) জলবায়ু এবং ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে ভিডিও ভাষণ দিয়েছেন।

ভাষণে সি চিন পিং বলেন, ‘এ বছর প্যারিস চুক্তির দশম বার্ষিকী এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী। কিছু প্রধান দেশ একতরফাবাদ ও সুরক্ষাবাদের প্রতি আগ্রহী, যা আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার উপর গুরুতর প্রভাব ফেলেছে। তবে, ইতিহাস সর্বদা বাঁক ও মোড় নিয়ে এগিয়ে যায়। যতক্ষণ আমাদের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকবে এবং ঐক্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে, ততক্ষণ আমরা প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করতে সক্ষম হব এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু শাসন এবং বিশ্বের সব প্রগতিশীল কারণগুলোর স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।”

সি চিন পিং চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রথমত, বহুপাক্ষিকতা মেনে চলতে হবে। সবাইকে দৃঢ়ভাবে জাতিসংঘের মূল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারকে দৃঢ়ভাবে সমুন্নত রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে হবে। সবার উচিত উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতার মাধ্যমে বাধা ও দ্বন্দ্ব মোকাবিলা করা; সহযোগিতার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও শিল্পের রূপান্তরে উত্সাহিত করা এবং উচ্চমানের সবুজ প্রযুক্তি ও পণ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা। যাতে সব দেশ, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলো তা ব্যবহার করতে পারে, বহন করতে পারে এবং ভালভাবে কাজে লাগাতে পারে। তৃতীয়ত, একটি ন্যায্য পরিবর্তন প্রচার করতে হবে। জনগণকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় তাদের জীবিকা ও জলবায়ু শাসনের উন্নতির সমন্বয় সাধন করতে হবে এবং পরিবেশ রক্ষা, অর্থনীতির উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো একাধিক লক্ষ্যের সমন্বয় সাধন করতে হবে। চতুর্থত, বাস্তব পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জ্বালানি রূপান্তরের সমন্বিত উন্নয়নের উপর ভিত্তি করে জাতীয় স্বাধীন অবদানের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্য সব পক্ষের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করা উচিৎ।

সূত্র : রুবি-তৌহিদ-সুবর্ণা, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।