ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo নববর্ষ ঘিরে নানচিংয়ে ৬০টির বেশি বাণিজ্য ও পর্যটন অনুষ্ঠান Logo মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ডিজেলসহ ৯ পাচারকারী আটক Logo টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত নূরানী স্কলারশিপ–২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশ Logo টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান আজাদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা Logo টাঙ্গাইলের সখিপুরে ডিবি (দক্ষিণ) টিমের অভিযানে ১০৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo ​৩১ দফার রূপকার: ইনসাফ কায়েমের লক্ষ্য নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমিতে, তারেক রহমান Logo নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই: তারেক রহমান Logo সুনামগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আনন্দ-উৎসবে বড়দিন পালিত Logo যৌথ বাহিনীর অভিযানে কথিত জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা গ্রেফতার (ভিডিও)

লোকসানের মুখে চাষিরা

ক্ষেতে পচে যাচ্ছে সয়াবিন, ফসলের চেয়ে মজুরির দাম বেশি

মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ, নোয়াখালী

উপকূলীয় অঞ্চল নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মাটি সয়াবিন চাষের জন্য বেশ উপযোগী হলেও বিগত কয়েক বছর থেকে আবহাওয়া যেন অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে। অসময়ে বৃষ্টি কিংবা অতিবৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে সয়াবিন চাষ। চাষিরা সয়াবিন ঘরে তোলার আগেই খেতে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সয়াবিনের বীজ বপনের সময় ও এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে চাষিরা।

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সয়াবিন ক্ষেতে পানি জমে থাকায় আধাপাকা সয়াবিন পচে যাচ্ছে। ফলে লোকসানের কবলে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

সুবর্ণচরের বেশ কিছু কৃষক জানিয়েছেন, অতি বৃষ্টির কারণে সয়াবিন ক্ষেতে সয়াবিন পচে চারা গজাচ্ছে।

কৃষকেরা বলেন, ফসল ঘরে তোলার ঠিক মুহূর্তে আবারো বৃষ্টির পানিতে ক্ষেতে থাকা আধাপাকা সয়াবিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

গত কয়েক বছর থেকে আবহাওয়া এমন বিরূপ প্রভাবের কারণে লোকসানের কবলে পড়েছেন চাষিরা। সুবর্ণচরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মাঠে থাকা সয়াবিন নষ্ট হওয়ার এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।

সুবর্ণচর উপজেলার ৫ নং চর জুবিলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কৃষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শ্রমিক মিললে ও জনপ্রতি বিদেশিদের মজুরি দিতে হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা সাথে তিন বেলা খানা। দেশি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, একজন মজুরির দামে একমন সয়াবিন এতে কৃষক লোকসানের মুখে, সরকারের কাছে আমাদের আবেদন কৃষক বাঁচান দেশ বাঁচান। ইউসুফ বলেন, দুই একর জমিতে সয়াবিন চাষ করেছি সয়াবিন পুরোপুরি পুষ্ট এবং না পাকাতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে যায়। ক্ষেতের পানি নামার পথ না থাকায় জমে থাকা পানিতে সয়াবিন নষ্ট হয়ে গেছে। যে পরিমাণ ফসলের আশায় ছিলাম তবে এখন তার অনেক কম হবে।

কৃষক মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ বলেন, চলতি বছরে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকা-মাকড় রোগ-বালাই নিয়ে কৃষক দুশ্চিন্তায় থাকলেও ফসল ভালো হয়েছে কিন্তু সয়াবিনের বাজার মূল্য অনেক কম সরকার কৃষকদের কিছু প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে কৃষক শান্তির নিশ্বাস ফেলবে।

সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, সুবর্ণচর উপজেলায় ১০১১২ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ হয়েছে সয়াবিনের ফলন ভালো হয়েছে তবে ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সয়াবিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কম হওয়াই বাংলাদেশেও সয়াবিনের দাম কম এতে অনেক কৃষক লোকসানের পথে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

লোকসানের মুখে চাষিরা

ক্ষেতে পচে যাচ্ছে সয়াবিন, ফসলের চেয়ে মজুরির দাম বেশি

আপডেট সময় ০৯:৫৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ, নোয়াখালী

উপকূলীয় অঞ্চল নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মাটি সয়াবিন চাষের জন্য বেশ উপযোগী হলেও বিগত কয়েক বছর থেকে আবহাওয়া যেন অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে। অসময়ে বৃষ্টি কিংবা অতিবৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে সয়াবিন চাষ। চাষিরা সয়াবিন ঘরে তোলার আগেই খেতে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সয়াবিনের বীজ বপনের সময় ও এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে চাষিরা।

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সয়াবিন ক্ষেতে পানি জমে থাকায় আধাপাকা সয়াবিন পচে যাচ্ছে। ফলে লোকসানের কবলে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

সুবর্ণচরের বেশ কিছু কৃষক জানিয়েছেন, অতি বৃষ্টির কারণে সয়াবিন ক্ষেতে সয়াবিন পচে চারা গজাচ্ছে।

কৃষকেরা বলেন, ফসল ঘরে তোলার ঠিক মুহূর্তে আবারো বৃষ্টির পানিতে ক্ষেতে থাকা আধাপাকা সয়াবিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

গত কয়েক বছর থেকে আবহাওয়া এমন বিরূপ প্রভাবের কারণে লোকসানের কবলে পড়েছেন চাষিরা। সুবর্ণচরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মাঠে থাকা সয়াবিন নষ্ট হওয়ার এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।

সুবর্ণচর উপজেলার ৫ নং চর জুবিলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কৃষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শ্রমিক মিললে ও জনপ্রতি বিদেশিদের মজুরি দিতে হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা সাথে তিন বেলা খানা। দেশি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, একজন মজুরির দামে একমন সয়াবিন এতে কৃষক লোকসানের মুখে, সরকারের কাছে আমাদের আবেদন কৃষক বাঁচান দেশ বাঁচান। ইউসুফ বলেন, দুই একর জমিতে সয়াবিন চাষ করেছি সয়াবিন পুরোপুরি পুষ্ট এবং না পাকাতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে যায়। ক্ষেতের পানি নামার পথ না থাকায় জমে থাকা পানিতে সয়াবিন নষ্ট হয়ে গেছে। যে পরিমাণ ফসলের আশায় ছিলাম তবে এখন তার অনেক কম হবে।

কৃষক মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ বলেন, চলতি বছরে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকা-মাকড় রোগ-বালাই নিয়ে কৃষক দুশ্চিন্তায় থাকলেও ফসল ভালো হয়েছে কিন্তু সয়াবিনের বাজার মূল্য অনেক কম সরকার কৃষকদের কিছু প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে কৃষক শান্তির নিশ্বাস ফেলবে।

সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি অফিসার, কৃষিবিদ মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, সুবর্ণচর উপজেলায় ১০১১২ হেক্টর জমিতে সয়াবিন চাষ হয়েছে সয়াবিনের ফলন ভালো হয়েছে তবে ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সয়াবিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কম হওয়াই বাংলাদেশেও সয়াবিনের দাম কম এতে অনেক কৃষক লোকসানের পথে।