ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ Logo চীন থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া মানে বিশ্ব থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ হওয়া: কিশোর মাহবুবানি Logo অভ্যন্তরীণ চাহিদা সম্প্রসারণে চীনের কৌশল: সি চিন পিংয়ের প্রবন্ধে বিশ্লেষণ Logo চীনে আমদানি-রপ্তানিতে গতি, অর্থনীতিতে ইতিবাচক সংকেত Logo রিয়াদে চীন-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কৌশলগত সংলাপ Logo ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের পরদিন, রাষ্ট্র গঠন ও যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতির পুনর্গঠনের প্রথম দিন Logo সুবিদাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ Logo মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঢাকা প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo কটিয়াদীতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি Logo বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জনসাধারণের জন্য ৭ টি জাহাজ উন্মুক্ত করেছে কোস্ট গার্ড

শেরপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মো: বেলায়েত হোসেন, শেরপুর

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের ধোবারচর গ্রামের ঠিকাদার বাড়ির মোঃ খলিলুর রহমানের মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে হাফেজ মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (১২) কে গত ৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ৬টার দিকে বাড়ির সম্মুখ থেকে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে ১০ মে শনিবার সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী ও মামলার বাদীর পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সম্মুখে বক্তব্য পাঠ করেন, ভিকটিম আবু বক্কর সিদ্দিকের বড় বোন মোছাঃ সাজেদা পারভীন। এসময় তিনি বলেন, একই গোষ্ঠীর মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এসব ঘটনায় ইতিপূর্বে তার বাবা মোঃ খলিলুর রহমানসহ অন্যান্যদেরকে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এনিয়ে মামলা মোকদ্দমা এবং এলাকায় কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হয়। এতেও ক্ষান্ত থাকেনি রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা। অবশেষে মোঃ খলিলুর রহমানের ছোট ছেলে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলা শহরের রেলওয়ে ষ্টেশন বাজার এলাকার নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্র আবু বক্তর সিদ্দিককে একই গোষ্ঠীর মোঃ রফিকুল ইসলামসহ অপরাপর সহযোগিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনার দিন সকালে ভিকটিম আবু বক্কর সিদ্দিকদের বাড়ির সম্মুখ থেকে অপহরণ করে সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে তাকে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়।

এদিকে আবু বক্কর সিদ্দিক বাড়ির সম্মুখ থেকে নিখোঁজের পর পরিবারের লোকজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পর ইন্ডিয়া নামক ফেসবুকের ফেইক আইডি ফোন দিয়ে ০১৭৩২-৯৩৩২৬৫ নং মোবাইল বিকাশ এর মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা দাবি করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে আবু বক্কর সিদ্দিককে হত্যা ও গুম করতে না পেরে একই গ্রামের জনৈক আনছার আলীর ধান খেতে ৮ এপ্রিল মধ্যরাতে অসুস্থ ওই ভিকটিমকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসী ভিকটিম আবু বক্কর সিদ্দিককে রাতে ধান খেতে পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারে খবর দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ আশরাফুল হক বাদী হয়ে মোঃ রফিকুল ইসলামকে চিহ্নিত করে এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং- ১৩৪/২০২৫। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন।

এব্যাপারে পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল হকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি স্পর্সকতার তাই বিভিন্নভাবে ও সূচারুভাবে রহস্য উদঘাটন করতে তদন্ত করছেন।

অপরদিকে ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিকের বড় বোন সাজেদা পারভীন বলেন, তার ছোট ভাইকে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার জন্য প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামসহ অপরাপর আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করছেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে মারামারি: এক শিক্ষক বরখাস্ত, অপরজনকে শোকজ

SBN

SBN

শেরপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৬:১৮:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

মো: বেলায়েত হোসেন, শেরপুর

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বলাইয়েরচর ইউনিয়নের ধোবারচর গ্রামের ঠিকাদার বাড়ির মোঃ খলিলুর রহমানের মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে হাফেজ মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক (১২) কে গত ৭ এপ্রিল সোমবার সকাল ৬টার দিকে বাড়ির সম্মুখ থেকে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে ১০ মে শনিবার সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী ও মামলার বাদীর পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সম্মুখে বক্তব্য পাঠ করেন, ভিকটিম আবু বক্কর সিদ্দিকের বড় বোন মোছাঃ সাজেদা পারভীন। এসময় তিনি বলেন, একই গোষ্ঠীর মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এসব ঘটনায় ইতিপূর্বে তার বাবা মোঃ খলিলুর রহমানসহ অন্যান্যদেরকে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এনিয়ে মামলা মোকদ্দমা এবং এলাকায় কয়েক দফা সালিশ বৈঠক হয়। এতেও ক্ষান্ত থাকেনি রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগিরা। অবশেষে মোঃ খলিলুর রহমানের ছোট ছেলে পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলা শহরের রেলওয়ে ষ্টেশন বাজার এলাকার নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্র আবু বক্তর সিদ্দিককে একই গোষ্ঠীর মোঃ রফিকুল ইসলামসহ অপরাপর সহযোগিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনার দিন সকালে ভিকটিম আবু বক্কর সিদ্দিকদের বাড়ির সম্মুখ থেকে অপহরণ করে সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে তাকে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে বিষাক্ত ইনজেকশন দিয়ে হত্যা চেষ্টা চালানো হয়।

এদিকে আবু বক্কর সিদ্দিক বাড়ির সম্মুখ থেকে নিখোঁজের পর পরিবারের লোকজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পর ইন্ডিয়া নামক ফেসবুকের ফেইক আইডি ফোন দিয়ে ০১৭৩২-৯৩৩২৬৫ নং মোবাইল বিকাশ এর মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা দাবি করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে আবু বক্কর সিদ্দিককে হত্যা ও গুম করতে না পেরে একই গ্রামের জনৈক আনছার আলীর ধান খেতে ৮ এপ্রিল মধ্যরাতে অসুস্থ ওই ভিকটিমকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসী ভিকটিম আবু বক্কর সিদ্দিককে রাতে ধান খেতে পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারে খবর দেয়। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ আশরাফুল হক বাদী হয়ে মোঃ রফিকুল ইসলামকে চিহ্নিত করে এবং অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং- ১৩৪/২০২৫। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন।

এব্যাপারে পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল হকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি স্পর্সকতার তাই বিভিন্নভাবে ও সূচারুভাবে রহস্য উদঘাটন করতে তদন্ত করছেন।

অপরদিকে ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিকের বড় বোন সাজেদা পারভীন বলেন, তার ছোট ভাইকে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার জন্য প্রধান আসামী রফিকুল ইসলামসহ অপরাপর আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করছেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।