ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খুলনায় পুত্রের হাতে পিতা খুন Logo দশম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক উদাও Logo অনলাইন ছুটি সিস্টেম এবং লোকেশন ট্র্যাকিং চালু প্রয়োজন Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব Logo পলাশবাড়ীতে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার Logo মহেশখালীতে ২ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৩ কুখ্যাত সন্ত্রাসী আটক Logo বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার Logo মানবাধিকার পরিষদে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে চীন Logo চীন প্রতিষ্ঠার বার্ষিকীতে প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা Logo জাতিসংঘভিত্তিক শান্তি ও উন্নয়ন স্বপ্ন বাস্তবায়নে বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি

শিশুকে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার আমতলীতে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী বাসের চাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার (২১ জুন) দুপুরে আমতলী -পটুয়াখালী মহাসড়কের কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন,মৌলভী আজিজুল হক, তার মেয়ে মোশাদ্দেকা বেগম এবং মোশাদ্দেকার দাদি শাশুড়ি খালেদা বেগম।

জানা গেছে, আমতলীর পাশের উপজেলা পটুয়ায়াখালীর কলাপাড়ার গোলখালী ইউনিয়নের বলইবুনিয়া গ্রাম থেকে অটোরিকসায় করে জাহিদুল ইসলাম তার নবজাতক শিশু কন্যাকে ডাক্তার দেখাতে পটুয়াখালী যাচ্ছিলেন। সঙ্গে পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য ছিলেন। বরগুনার আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এলে কুয়াকাটাগামী ইকরা লাক্সারী পরিবহন বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুইজন ও পটুয়াখালী হাসপাতালে একজন সহ তিনজনের মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহত হন আরও চারজন।

আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ওই পরিবারের আরেক সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও অটোরিকশার চালক ওহাবের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

নিহত মোসাদ্দেকার স্বামী আহত জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার শিশু মেয়েকে পটুয়াখালীতে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলাম। সঙ্গে আমার স্ত্রী, শ্বশুর, দাদি, ফুফা ছিল। ইকরা পরিবহনের গাড়িটি আমাদের ইজিবাইকের উপরে তুলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আমার দাদি ও শ্বশুর মারা যান। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।হাসপাতালে আমার স্ত্রী মারা যায়। আমার শিশু কন্যাও আহত। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় পুত্রের হাতে পিতা খুন

SBN

SBN

শিশুকে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু

আপডেট সময় ১০:১৬:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনার আমতলীতে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাগামী বাসের চাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার (২১ জুন) দুপুরে আমতলী -পটুয়াখালী মহাসড়কের কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন,মৌলভী আজিজুল হক, তার মেয়ে মোশাদ্দেকা বেগম এবং মোশাদ্দেকার দাদি শাশুড়ি খালেদা বেগম।

জানা গেছে, আমতলীর পাশের উপজেলা পটুয়ায়াখালীর কলাপাড়ার গোলখালী ইউনিয়নের বলইবুনিয়া গ্রাম থেকে অটোরিকসায় করে জাহিদুল ইসলাম তার নবজাতক শিশু কন্যাকে ডাক্তার দেখাতে পটুয়াখালী যাচ্ছিলেন। সঙ্গে পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য ছিলেন। বরগুনার আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এলে কুয়াকাটাগামী ইকরা লাক্সারী পরিবহন বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলে দুইজন ও পটুয়াখালী হাসপাতালে একজন সহ তিনজনের মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহত হন আরও চারজন।

আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ওই পরিবারের আরেক সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও অটোরিকশার চালক ওহাবের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

নিহত মোসাদ্দেকার স্বামী আহত জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার শিশু মেয়েকে পটুয়াখালীতে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলাম। সঙ্গে আমার স্ত্রী, শ্বশুর, দাদি, ফুফা ছিল। ইকরা পরিবহনের গাড়িটি আমাদের ইজিবাইকের উপরে তুলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আমার দাদি ও শ্বশুর মারা যান। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।হাসপাতালে আমার স্ত্রী মারা যায়। আমার শিশু কন্যাও আহত। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক ও হেল্পার পালিয়ে গেছে।