ঢাকা ০৪:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‎ঢাকা কলেজে হামলার প্রতিবাদে লালমনিরহাট সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি Logo বাগেরহাটের দশানী পচা দীঘি থেকে এক রাজমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার Logo মুন্সীগঞ্জে ৭ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও ইলিশ জব্দ Logo জরিপে সতর্কবার্তা: বিভাজনের পথে এগোচ্ছে তাইওয়ান প্রশাসন Logo বেইজিং নারী শীর্ষ-সম্মেলনে সি চিন পিংয়ের ঐতিহাসিক আহ্বান Logo বিআরআই দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধি Logo বিশ্বজুড়ে প্রশংসা চীনের নারী উন্নয়ন মডেল: সিজিটিএন জরিপ Logo ফতুল্লায় ৮৫ লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়িসহ ২ জন পাচারকারী আটক Logo মোটরসাইকেল ওভারটেক করায় মোংলায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা Logo সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ ডাকাত ছোটন বাহিনীর ১ সহযোগী অস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ আটক

গাইবান্ধায় বিয়ের আগেই পাত্রী অন্তঃসত্ত্বা! অন্য পাত্রের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে

মোনায়েম মন্ডল

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কাজলঢোপ গ্রামের জনৈক যুবতী ঢাকায় অবস্থান কালে সরকারি চাকরিজীবি প্রেমিকের সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করে অন্তঃসত্ত্বা হয়। কিন্তু উল্লেখিত চাকরিজীবি যুবকটিকে রহস্যজনক কারণে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি অবগত করার সাহস না পাওয়ায় বাড়িতে এনে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর উদ্দেশ্যে স্থানীয় কিছু ভিলেজ পলিটিশিয়ানের কুপরামর্শে অন্য একটি নির্দোষ ছেলেকে ফাঁসিয়ে জোর পূর্বক বিয়ে দেয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রকাশ, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কাজলঢোপ গ্রামের মোকছেদ আলীর কন্যা মিশু খাতুন (২২) পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঢাকায় গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি করছিল। সেখানে অবস্থান কালে চলাফেরার ফাঁকে মিশু খাতুন একই ফ্লাটের অন্য ইউনিটে বসবাসকারী সরকারি চাকরিজীবী জনৈক যুবকের সাথে প্রেম করে। মিশু খাতুন প্রেমে এমন ভাবে মজে যায় যে, তারা অবাধে চলাফেরা করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি সে তার মা বাবাকে জানায়।

সুত্র জানায়, মিশু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি তার বাবা মা জানতে পারলেও সরকারি চাকরিজীবি যুবকের নামটি রহস্যজনক কারণে প্রকাশ না করে মোকছেদ আলী তার কন্যা মিশু খাতুনকে গাইবান্ধার কাজলঢোপস্থ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। মিশুর পেটে সন্তানটি বড় হতে থাকলেও অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি গোপন রাখার অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, বল্লমঝাড় গ্রামের জনৈক সাইফুল ইসলামের পুত্র গার্মেন্টস কর্মী জাহিদ হাসান মিশু খাতুনের পিতার ভাড়াটে বাসা সংলগ্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে চাকরি করছিল। শুধু তাই নয়, মিশুর পিতা মোকছেদ আলীর কাজলঢোপের বাড়ি ও জাহিদ হাসানের পিতার বল্লমঝাড়ের বাড়ি পাশাপাশি অবস্থিত। এই সুবাদে তারা একে অপরের পরিচিত হওয়ায় মোকছেদ আলী ও তার পরিবারের লোকজন জাহিদ হাসানের সাথে কথা বলতো। ফলে তারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে বল্লমঝাড় গ্রামের জনৈক নুরুল ইসলামসহ এলাকার কতিপয় ভিলেজ পলিটিশিয়ানের পরামর্শে জাহিদ হাসান চাকরিস্থল ঢাকায় অবস্থান করলেও তার বল্লমঝাড়স্থ পিতার বাড়িতে মিশু খাতুনকে পাঠিয়ে দেয়। মিশু খাতুন জাহিদ হাসানের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন করে। পরে উক্ত নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ভিলেজ পলিটিশিয়ানরাই জাহিদ হাসানের পিতা সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারকে ম্যানেজ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসায়।

মজার ব্যাপার হলো- বিয়ের পর থেকে মিশু খাতুন পিতার বাড়িতে অবস্থান করছিল। এক পর্যায়ে জাহিদ হাসান জানতে পারে- মিশুর পেটে সন্তানের অস্তিত্ব অনুভব হয়েছে। কিন্তু বিয়ের দিন তারিখ হিসেব করে এবং তার সাথে মেলামেশা না করেই কিভাবে মিশু গর্ভবতী হয়ে পড়ে! জাহিদ হাসানের মনে সন্দেহ দেখা দেয় যে, মিশু খাতুনের গর্ভের সন্তানটি তার ঔরষের নয়। ফলে সে কৌশল অবলম্বন করে নিজ স্ত্রী মিশু খাতুনের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে মোবাইলে তার গর্ভের সন্তানের পিতার তথ্য জানতে চায়। মিশু খাতুন জাহিদ হাসানের কৌশল বুঝতে না পেরে তার গর্ভের সন্তানের পিতার নাম বলে দেয়। তারা কোথায় কোথায় কিভাবে মেলামেশা করে তার বিস্তারিত জানায়। পরে জাহিদ হাসান আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বললে গত ৫মে’২০২৫ ইং করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম মতে জানা যায়, বিয়ে হওয়ার এক মাস হলেও মিশু খাতুনের গর্ভের সন্তানের বয়স চলছে ১০ সপ্তাহ। গর্ভের সন্তানের হিসেব মতে বিয়ের একমাস হলেও গর্ভের সন্তানের বয়স ১০ সপ্তাহ বা আরো দেড় মাস বেশি।

এ ব্যাপারে জাহিদ হাসান বলেন, মিশু খাতুন একজন দুঃচরিত্র মহিলা। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছেলের সাথে ওঠাবসা, কথাবার্তা বলা, অবৈধ কার্যকলাপ করাই তার একমাত্র পেশা। চক্রের ভিলেজ পলিটিশিয়ানরা গত ২৪ এপ্রিল মিশুর বাবা মোকছেদ আলী, মা রুপালী বেগম, তাদের প্রতিবেশী লজেন মিয়া, আব্দুর রশিদ, ও নুরুল ইসলামসহ আরো কমপক্ষে ৮/১০ জনের সহযোগিতায় মিশু খাতুন বিয়ের দাবি নিয়ে জাহিদের বাড়িতে অনশন করে। এক পর্যায়ে ওই চিহ্নিত ভিলেজ পলিটিশিয়ানরা কাজী ডেকে এনে রেজিস্ট্রি করে জোর পূর্বক আমার সাথে বিয়ে দেয়। তখন আমি মান সম্মানের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে বিয়া করেছিলাম। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহ পরই যখন মিশু খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধার খন্দকার এক্স-রে ক্লিনিকে আলট্রাসোনোগ্রাম করানো হয়। রিপোর্টে মিশু খাতুন ১০ সপ্তাহের অন্ত:স্বত্ত্বা বলে জানা যায়। বিষয়টি মিশু খাতুনের পরিবারকে জানায়। কিন্তু মিশুর বাবা মা তাকে গোপনে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে।

এ ঘটনার পর জাহিদ হাসান স্ত্রী মিশুকে বাড়িতে না আনায় গত ৭ জুন তার শ্বশুর মোকছেদ আলী উল্লেখিত ভিলেজ পলিটিশিয়ানরা সহ তার ভাড়াটে লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে এসে তাকে অকর্থ ভাষায় গালিগালাজ করে ও যেখানে পাইবে সেখানেই হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। শুধু তাই নয়, বেশি করে দেন মোহরানা ধার্য করে পুনরায় বিয়ে রেজিস্ট্রি করবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলেও হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় জাহিদ আরো জানায়, পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিশুকে তার সাথে বিয়ে দেয়। তাকে ঢাকাস্থ কর্মস্থল থেকে সহ যেখানে পাইবে সেখানেই মেরে ফেলবে এবং মিথ্যা মামলায ফাঁসাবে বলে হুমকি প্রদান করে। ফলে জাহিদ হাসান ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছেন।

এ ব্যাপারে জাহিদ হাসানের পিতা সাইফুল ইসলাম স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবগত করে গাইবান্ধা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি দ্রুত সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন জনগণ। গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুল ইসলাম তালুকদার জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎ঢাকা কলেজে হামলার প্রতিবাদে লালমনিরহাট সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি

SBN

SBN

গাইবান্ধায় বিয়ের আগেই পাত্রী অন্তঃসত্ত্বা! অন্য পাত্রের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে

আপডেট সময় ০৭:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

মোনায়েম মন্ডল

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কাজলঢোপ গ্রামের জনৈক যুবতী ঢাকায় অবস্থান কালে সরকারি চাকরিজীবি প্রেমিকের সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করে অন্তঃসত্ত্বা হয়। কিন্তু উল্লেখিত চাকরিজীবি যুবকটিকে রহস্যজনক কারণে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি অবগত করার সাহস না পাওয়ায় বাড়িতে এনে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর উদ্দেশ্যে স্থানীয় কিছু ভিলেজ পলিটিশিয়ানের কুপরামর্শে অন্য একটি নির্দোষ ছেলেকে ফাঁসিয়ে জোর পূর্বক বিয়ে দেয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রকাশ, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কাজলঢোপ গ্রামের মোকছেদ আলীর কন্যা মিশু খাতুন (২২) পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে ঢাকায় গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি করছিল। সেখানে অবস্থান কালে চলাফেরার ফাঁকে মিশু খাতুন একই ফ্লাটের অন্য ইউনিটে বসবাসকারী সরকারি চাকরিজীবী জনৈক যুবকের সাথে প্রেম করে। মিশু খাতুন প্রেমে এমন ভাবে মজে যায় যে, তারা অবাধে চলাফেরা করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি সে তার মা বাবাকে জানায়।

সুত্র জানায়, মিশু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি তার বাবা মা জানতে পারলেও সরকারি চাকরিজীবি যুবকের নামটি রহস্যজনক কারণে প্রকাশ না করে মোকছেদ আলী তার কন্যা মিশু খাতুনকে গাইবান্ধার কাজলঢোপস্থ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। মিশুর পেটে সন্তানটি বড় হতে থাকলেও অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি গোপন রাখার অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, বল্লমঝাড় গ্রামের জনৈক সাইফুল ইসলামের পুত্র গার্মেন্টস কর্মী জাহিদ হাসান মিশু খাতুনের পিতার ভাড়াটে বাসা সংলগ্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে চাকরি করছিল। শুধু তাই নয়, মিশুর পিতা মোকছেদ আলীর কাজলঢোপের বাড়ি ও জাহিদ হাসানের পিতার বল্লমঝাড়ের বাড়ি পাশাপাশি অবস্থিত। এই সুবাদে তারা একে অপরের পরিচিত হওয়ায় মোকছেদ আলী ও তার পরিবারের লোকজন জাহিদ হাসানের সাথে কথা বলতো। ফলে তারা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুপরিকল্পিত ভাবে বল্লমঝাড় গ্রামের জনৈক নুরুল ইসলামসহ এলাকার কতিপয় ভিলেজ পলিটিশিয়ানের পরামর্শে জাহিদ হাসান চাকরিস্থল ঢাকায় অবস্থান করলেও তার বল্লমঝাড়স্থ পিতার বাড়িতে মিশু খাতুনকে পাঠিয়ে দেয়। মিশু খাতুন জাহিদ হাসানের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন করে। পরে উক্ত নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ভিলেজ পলিটিশিয়ানরাই জাহিদ হাসানের পিতা সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারকে ম্যানেজ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসায়।

মজার ব্যাপার হলো- বিয়ের পর থেকে মিশু খাতুন পিতার বাড়িতে অবস্থান করছিল। এক পর্যায়ে জাহিদ হাসান জানতে পারে- মিশুর পেটে সন্তানের অস্তিত্ব অনুভব হয়েছে। কিন্তু বিয়ের দিন তারিখ হিসেব করে এবং তার সাথে মেলামেশা না করেই কিভাবে মিশু গর্ভবতী হয়ে পড়ে! জাহিদ হাসানের মনে সন্দেহ দেখা দেয় যে, মিশু খাতুনের গর্ভের সন্তানটি তার ঔরষের নয়। ফলে সে কৌশল অবলম্বন করে নিজ স্ত্রী মিশু খাতুনের সাথে ভালোবাসার অভিনয় করে মোবাইলে তার গর্ভের সন্তানের পিতার তথ্য জানতে চায়। মিশু খাতুন জাহিদ হাসানের কৌশল বুঝতে না পেরে তার গর্ভের সন্তানের পিতার নাম বলে দেয়। তারা কোথায় কোথায় কিভাবে মেলামেশা করে তার বিস্তারিত জানায়। পরে জাহিদ হাসান আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বললে গত ৫মে’২০২৫ ইং করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম মতে জানা যায়, বিয়ে হওয়ার এক মাস হলেও মিশু খাতুনের গর্ভের সন্তানের বয়স চলছে ১০ সপ্তাহ। গর্ভের সন্তানের হিসেব মতে বিয়ের একমাস হলেও গর্ভের সন্তানের বয়স ১০ সপ্তাহ বা আরো দেড় মাস বেশি।

এ ব্যাপারে জাহিদ হাসান বলেন, মিশু খাতুন একজন দুঃচরিত্র মহিলা। সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছেলের সাথে ওঠাবসা, কথাবার্তা বলা, অবৈধ কার্যকলাপ করাই তার একমাত্র পেশা। চক্রের ভিলেজ পলিটিশিয়ানরা গত ২৪ এপ্রিল মিশুর বাবা মোকছেদ আলী, মা রুপালী বেগম, তাদের প্রতিবেশী লজেন মিয়া, আব্দুর রশিদ, ও নুরুল ইসলামসহ আরো কমপক্ষে ৮/১০ জনের সহযোগিতায় মিশু খাতুন বিয়ের দাবি নিয়ে জাহিদের বাড়িতে অনশন করে। এক পর্যায়ে ওই চিহ্নিত ভিলেজ পলিটিশিয়ানরা কাজী ডেকে এনে রেজিস্ট্রি করে জোর পূর্বক আমার সাথে বিয়ে দেয়। তখন আমি মান সম্মানের কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়ে বিয়া করেছিলাম। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহ পরই যখন মিশু খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধার খন্দকার এক্স-রে ক্লিনিকে আলট্রাসোনোগ্রাম করানো হয়। রিপোর্টে মিশু খাতুন ১০ সপ্তাহের অন্ত:স্বত্ত্বা বলে জানা যায়। বিষয়টি মিশু খাতুনের পরিবারকে জানায়। কিন্তু মিশুর বাবা মা তাকে গোপনে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে।

এ ঘটনার পর জাহিদ হাসান স্ত্রী মিশুকে বাড়িতে না আনায় গত ৭ জুন তার শ্বশুর মোকছেদ আলী উল্লেখিত ভিলেজ পলিটিশিয়ানরা সহ তার ভাড়াটে লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে এসে তাকে অকর্থ ভাষায় গালিগালাজ করে ও যেখানে পাইবে সেখানেই হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। শুধু তাই নয়, বেশি করে দেন মোহরানা ধার্য করে পুনরায় বিয়ে রেজিস্ট্রি করবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলেও হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় জাহিদ আরো জানায়, পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিশুকে তার সাথে বিয়ে দেয়। তাকে ঢাকাস্থ কর্মস্থল থেকে সহ যেখানে পাইবে সেখানেই মেরে ফেলবে এবং মিথ্যা মামলায ফাঁসাবে বলে হুমকি প্রদান করে। ফলে জাহিদ হাসান ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন যাপন করছেন।

এ ব্যাপারে জাহিদ হাসানের পিতা সাইফুল ইসলাম স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি অবগত করে গাইবান্ধা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি দ্রুত সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন জনগণ। গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীনুল ইসলাম তালুকদার জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।