ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লাকসামে অস্ত্রসহ তিন কিশোর আটক Logo মোংলায় ফ্যাসিস্ট আ.লীগ–সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের অপসারণের দাবি Logo লালমনিরহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভুয়া ভাউচারে ২৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত Logo হাতীবান্ধায় বিছানার নিচ থেকে মাদক উদ্ধার, যুবক আটক Logo নালিতাবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক যুবকের এক বছরের কারাদণ্ড Logo বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্র হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন Logo এ্যাম্বুলেন্স নিতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুমিল্লায় মানববন্ধন Logo চীন-যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইস্যুতে প্রাথমিক ঐকমত্যে Logo আসিয়ান-প্লাস সহযোগিতা পূর্ব এশিয়ার প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি: লি ছিয়াং Logo উদ্ভাবন, উন্মুক্ততা ও ভাগ করা উন্নয়ন: ওয়াশিংটনে সিএমজি’র বৈশ্বিক সংলাপ

অস্ট্রেলিয়া স্বাধীন তাইওয়ান’ ধারণাকে সমর্থন করে না

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১১:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ১৬৮ বার পড়া হয়েছে

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, ১৫ই জুলাই, (মঙ্গলবার) বেইজিংয়ে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে সি বলেন, সমতার নীতি মেনে চলা, মতপার্থক্য নিরসন করে সাধারণ স্বার্থ খোঁজা, এবং পারস্পরিক কল্যাণকর কাজে সহযোগিতা করা দু’দেশ ও দু’দেশের জনগণের জন্য লাভজনক। দু’দেশের মধ্যে কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে হবে; পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা উন্নত করতে হবে; এবং দু’দেশের জনগণের মৈত্রী আরও মজবুত করতে হবে।

সি আরও বলেন, বেইজিং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদেরকে চীনে আমন্ত্রণ জানায়। অস্ট্রেলিয়ার আরও বেশি যুবক-যুবতী চীনে লেখাপড়া করতে আসবে বলেও বেইজিং আসা করে।

সি বলেন, দু’দেশকে যৌথভাবে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার সুরক্ষা করতে, বহুপক্ষবাদ ও অবাধ বাণিজ্য সুরক্ষা করতে, এবং জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা সুরক্ষা করতে হবে।
জবাবে আলবানিজ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া চীনের সাথে সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয় এবং দৃঢ়ভাবে ‘এক-চীননীতি’ মেনে চলে এবং ‘স্বাধীন তাইওয়ান’ ধারণাকে সমর্থন করে না। অস্ট্রেলিয়া চীনের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের সংলাপ বজায় রাখতে এবং পাস্পরিক আস্থা বাড়াতে ইচ্ছুক।

তিনি আরও বলেন, চীনের উন্নয়ন অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়া মসৃণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বজায় রাখতে, সবুজ শিল্প, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া, চিকিৎসা প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে, এবং পারস্পরিক সুবিধা ও জয়-জয় ফলাফল অর্জন করতে ইচ্ছুক। অস্ট্রেলিয়া পর্যটন, শিক্ষা ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করতে ইচ্ছুক, যাতে জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা যায়।

সূত্র: ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

লাকসামে অস্ত্রসহ তিন কিশোর আটক

SBN

SBN

অস্ট্রেলিয়া স্বাধীন তাইওয়ান’ ধারণাকে সমর্থন করে না

আপডেট সময় ১১:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, ১৫ই জুলাই, (মঙ্গলবার) বেইজিংয়ে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে সি বলেন, সমতার নীতি মেনে চলা, মতপার্থক্য নিরসন করে সাধারণ স্বার্থ খোঁজা, এবং পারস্পরিক কল্যাণকর কাজে সহযোগিতা করা দু’দেশ ও দু’দেশের জনগণের জন্য লাভজনক। দু’দেশের মধ্যে কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে হবে; পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা উন্নত করতে হবে; এবং দু’দেশের জনগণের মৈত্রী আরও মজবুত করতে হবে।

সি আরও বলেন, বেইজিং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদেরকে চীনে আমন্ত্রণ জানায়। অস্ট্রেলিয়ার আরও বেশি যুবক-যুবতী চীনে লেখাপড়া করতে আসবে বলেও বেইজিং আসা করে।

সি বলেন, দু’দেশকে যৌথভাবে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার সুরক্ষা করতে, বহুপক্ষবাদ ও অবাধ বাণিজ্য সুরক্ষা করতে, এবং জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা সুরক্ষা করতে হবে।
জবাবে আলবানিজ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া চীনের সাথে সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয় এবং দৃঢ়ভাবে ‘এক-চীননীতি’ মেনে চলে এবং ‘স্বাধীন তাইওয়ান’ ধারণাকে সমর্থন করে না। অস্ট্রেলিয়া চীনের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের সংলাপ বজায় রাখতে এবং পাস্পরিক আস্থা বাড়াতে ইচ্ছুক।

তিনি আরও বলেন, চীনের উন্নয়ন অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়া মসৃণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বজায় রাখতে, সবুজ শিল্প, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া, চিকিৎসা প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে, এবং পারস্পরিক সুবিধা ও জয়-জয় ফলাফল অর্জন করতে ইচ্ছুক। অস্ট্রেলিয়া পর্যটন, শিক্ষা ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করতে ইচ্ছুক, যাতে জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা যায়।

সূত্র: ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।