ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সরাইলে বিএনপির দুই গ্রুপের সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: আহত ৩০ Logo শাহরাস্তিতে ওলামালীগ নেতা মাদরাসা কমিটির সভাপতি, ৩ সদস্যের পদত্যাগ Logo ব্যালট পেপার ছাপানো’র ঘোষণা দেওয়া সেই যুবদল নেতা বহিষ্কার Logo কটিয়াদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা Logo খুলনা চাঞ্চল্যকর টগর হত্যার প্রধান আসামী গ্রেফতার Logo ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনে আর কোনো বাধা মেই Logo ঝিনাইগাতীতে দিঘীরপাড় ফাযিল মাদরাসায় সরকারি বই বিক্রির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ Logo সি-পুতিন নেতৃত্বে রাশিয়া-চীন সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে Logo থিয়েনচিন সম্মেলন গ্লোবাল সাউথকে সুসংহত করেছে:কিউবা Logo থিয়েনচিনে উদ্বোধন চীন-এসসিও সবুজ শিল্প প্ল্যাটফর্ম

অস্ট্রেলিয়া স্বাধীন তাইওয়ান’ ধারণাকে সমর্থন করে না

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১১:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, ১৫ই জুলাই, (মঙ্গলবার) বেইজিংয়ে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে সি বলেন, সমতার নীতি মেনে চলা, মতপার্থক্য নিরসন করে সাধারণ স্বার্থ খোঁজা, এবং পারস্পরিক কল্যাণকর কাজে সহযোগিতা করা দু’দেশ ও দু’দেশের জনগণের জন্য লাভজনক। দু’দেশের মধ্যে কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে হবে; পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা উন্নত করতে হবে; এবং দু’দেশের জনগণের মৈত্রী আরও মজবুত করতে হবে।

সি আরও বলেন, বেইজিং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদেরকে চীনে আমন্ত্রণ জানায়। অস্ট্রেলিয়ার আরও বেশি যুবক-যুবতী চীনে লেখাপড়া করতে আসবে বলেও বেইজিং আসা করে।

সি বলেন, দু’দেশকে যৌথভাবে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার সুরক্ষা করতে, বহুপক্ষবাদ ও অবাধ বাণিজ্য সুরক্ষা করতে, এবং জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা সুরক্ষা করতে হবে।
জবাবে আলবানিজ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া চীনের সাথে সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয় এবং দৃঢ়ভাবে ‘এক-চীননীতি’ মেনে চলে এবং ‘স্বাধীন তাইওয়ান’ ধারণাকে সমর্থন করে না। অস্ট্রেলিয়া চীনের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের সংলাপ বজায় রাখতে এবং পাস্পরিক আস্থা বাড়াতে ইচ্ছুক।

তিনি আরও বলেন, চীনের উন্নয়ন অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়া মসৃণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বজায় রাখতে, সবুজ শিল্প, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া, চিকিৎসা প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে, এবং পারস্পরিক সুবিধা ও জয়-জয় ফলাফল অর্জন করতে ইচ্ছুক। অস্ট্রেলিয়া পর্যটন, শিক্ষা ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করতে ইচ্ছুক, যাতে জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা যায়।

সূত্র: ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সরাইলে বিএনপির দুই গ্রুপের সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: আহত ৩০

SBN

SBN

অস্ট্রেলিয়া স্বাধীন তাইওয়ান’ ধারণাকে সমর্থন করে না

আপডেট সময় ১১:২১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, ১৫ই জুলাই, (মঙ্গলবার) বেইজিংয়ে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠকে সি বলেন, সমতার নীতি মেনে চলা, মতপার্থক্য নিরসন করে সাধারণ স্বার্থ খোঁজা, এবং পারস্পরিক কল্যাণকর কাজে সহযোগিতা করা দু’দেশ ও দু’দেশের জনগণের জন্য লাভজনক। দু’দেশের মধ্যে কৌশলগত পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে হবে; পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা উন্নত করতে হবে; এবং দু’দেশের জনগণের মৈত্রী আরও মজবুত করতে হবে।

সি আরও বলেন, বেইজিং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিদেরকে চীনে আমন্ত্রণ জানায়। অস্ট্রেলিয়ার আরও বেশি যুবক-যুবতী চীনে লেখাপড়া করতে আসবে বলেও বেইজিং আসা করে।

সি বলেন, দু’দেশকে যৌথভাবে ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে, যৌথভাবে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার সুরক্ষা করতে, বহুপক্ষবাদ ও অবাধ বাণিজ্য সুরক্ষা করতে, এবং জাতিসংঘকেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক আইনভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা সুরক্ষা করতে হবে।
জবাবে আলবানিজ বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া চীনের সাথে সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয় এবং দৃঢ়ভাবে ‘এক-চীননীতি’ মেনে চলে এবং ‘স্বাধীন তাইওয়ান’ ধারণাকে সমর্থন করে না। অস্ট্রেলিয়া চীনের সাথে বিভিন্ন পর্যায়ের সংলাপ বজায় রাখতে এবং পাস্পরিক আস্থা বাড়াতে ইচ্ছুক।

তিনি আরও বলেন, চীনের উন্নয়ন অস্ট্রেলিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অস্ট্রেলিয়া মসৃণ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বজায় রাখতে, সবুজ শিল্প, জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া, চিকিৎসা প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে, এবং পারস্পরিক সুবিধা ও জয়-জয় ফলাফল অর্জন করতে ইচ্ছুক। অস্ট্রেলিয়া পর্যটন, শিক্ষা ও খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সাথে সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করতে ইচ্ছুক, যাতে জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা যায়।

সূত্র: ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।