ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রবাসফেরত যুবকের মৃত্যু Logo চান্দিনায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ঠিকাদারদের মানববন্ধন Logo ফকিরহাটে গরুর ঘাস কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু Logo রূপসায় সাব্বির হত্যা মামলার প্রধান আসামি নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার Logo চিতলমারী যৌথ বাহিনীর অভিযান, ইয়াবা’সহ এক মাদক কারবারি আটক Logo চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের গুণগতমান বৃদ্ধি Logo চীনের সাথে সম্পর্ককে রাশিয়া যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় : লাভরভ Logo অস্ট্রেলিয়া স্বাধীন তাইওয়ান’ ধারণাকে সমর্থন করে না Logo চান্দিনা পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র গ্রেফতার Logo ইয়াবা এবং মোটর সাইকেলসহ ২ গ্রেফতার

চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের গুণগতমান বৃদ্ধি

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১১:৪০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছরের চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রথমার্ধের সূচক ১৪ই জুলাই (সোমবার), প্রকাশিত হয়েছে। চীনের শুল্ক বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথমার্ধে, চীনে পণ্য বাণিজ্যের আমদানি-রপ্তানি পরিমাণ ২১.৭৯ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৯ শতাংশ বেশি। বৃদ্ধির গতি প্রথম পাঁচ মাসের চেয়ে ০.৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে চীনে রপ্তানির পরিমাণ ইতিহাসে একই সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মত ১৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে। বৃদ্ধির গতি ৭.২ শতাংশ।

এদিন চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য কার্যালয়ের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে, চীনের শুল্ক বিভাগের উপ-প্রধান ওয়াং লিং চুন, ‘সত্যি সহজ নয়’-এই বাক্য দিয়ে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের এই সূচকের বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, চলতি বছর, জটিল এবং কঠোর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে, চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য পরিমাণ, গুণগতমানের বৃদ্ধি অর্জন করেছে, এবং পরিবর্তনগুলো সব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মোট পরিমাণের দিক থেকে, প্রথমার্ধে, চীনে আমদানি-রপ্তানি আকার ২০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে, যা ইতিহাসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আমদানি-রপ্তানি আগের বছরের প্রথমার্ধের চেয়ে ৬ কোটি ইউয়ানেরও বেশি। প্রত্যেক প্রান্তিকের অবস্থা থেকে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে আমদানি-রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৫ শতাংশ বেশি, যা প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ৩.২ শতাংশ বেশি এবং টানা সাত প্রান্তিক ধরে বৃদ্ধির প্রবণতা বজায় রেখেছে।

গুণগতমানের দিক থেকে, চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বিশ্বের জ্বালানি রূপান্তরের নতুন প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে অব্যাহতভাবে শ্রেষ্ঠ সবুজ পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়েছে, নতুন ক্ষেত্রের পণ্য সরবরাহ দ্রুততর করছে। প্রথমার্ধে, চীনে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক পণ্যের রপ্তানি ছিল ৭.৮ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং মোট রপ্তানি মূল্যের ৬০%। এর মধ্যে, নতুন মানের উৎপাদনশীলতার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত উচ্চমানের সরঞ্জাম ২০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিবর্তনের দিক থেকে, চীন আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার বন্ধনকে জোরদার করেছে, ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর আস্থাকে বাড়িয়ে দিয়েছে, যৌথভাবে বৈশ্বিক পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তন মোকাবিলা করেছে। প্রথমার্ধে, ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে চীনের আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৫০ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি বাণিজ্যের অংশীদারের সংখ্যা ৬১টিতে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫টি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইইউ, জাপান এবং ব্রিটেনের মতো ঐতিহ্যবাহী বাজারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন বাজারগুলো আরও প্রবৃদ্ধি অবদান রাখছে। বছরের প্রথমার্ধে, আফ্রিকা এবং মধ্য এশিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি যথাক্রমে ১৪.৪% এবং ১৩.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

একই সাথে, এখনও বুঝতে হবে যে কিছু দেশ শুল্কের অপব্যবহার করছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম লঙ্ঘন করছে, যা বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এই বছরের শুরু থেকে, চীনের আমদানি নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হয়েছে এবং চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা প্রচণ্ড চাপের সম্মুখীন হয়েছে। সম্প্রতি, অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এই বছর বিশ্ব বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির জন্য তাদের পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে।

চীন-মার্কিন বাণিজ্য ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, বছরের প্রথমার্ধে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের মোট আমদানি ও রপ্তানি মূল্য ছিল ২.০৮ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৩% কম। যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্কে’র প্রভাবে, চীন-মার্কিন বাণিজ্য প্রথম প্রান্তিকে বৃদ্ধি থেকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে হ্রাসে পরিণত হয়েছে, হ্রাসের হার ২০.৮%।

ওয়াং লিং চুন বলেন, চীন-মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার মূল হল পাস্পরিক সহযোগিতা ও উভয়ের কল্যাণ। দ্বিতীয়ার্ধের দিকে তাকালে, ওয়াং লিং চুন বলেন, বিশ্বব্যাপী একতরফাবাদ ও সুরক্ষাবাদের উত্থান এবং বহিরাগত পরিবেশের ক্রমবর্ধমান জটিলতা, তীব্রতা এবং অনিশ্চয়তার সাথে, চীনকে এখনও বৈদেশিক বাণিজ্যে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তবে, বৈচিত্র্যময় এবং স্থিতিশীল বাজার, উদ্ভাবনী ও উচ্চমানের পণ্য , উদ্ভাবনী বৈদেশিক বাণিজ্য চীনের বিভিন্ন ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার আত্মবিশ্বাস এবং ক্ষমতা প্রদান করে।

সূত্র : শুয়েই-হাশিম-জিনিয়া, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রবাসফেরত যুবকের মৃত্যু

SBN

SBN

চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের গুণগতমান বৃদ্ধি

আপডেট সময় ১১:৪০:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

চলতি বছরের চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রথমার্ধের সূচক ১৪ই জুলাই (সোমবার), প্রকাশিত হয়েছে। চীনের শুল্ক বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথমার্ধে, চীনে পণ্য বাণিজ্যের আমদানি-রপ্তানি পরিমাণ ২১.৭৯ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৯ শতাংশ বেশি। বৃদ্ধির গতি প্রথম পাঁচ মাসের চেয়ে ০.৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে চীনে রপ্তানির পরিমাণ ইতিহাসে একই সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মত ১৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে। বৃদ্ধির গতি ৭.২ শতাংশ।

এদিন চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য কার্যালয়ের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে, চীনের শুল্ক বিভাগের উপ-প্রধান ওয়াং লিং চুন, ‘সত্যি সহজ নয়’-এই বাক্য দিয়ে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের এই সূচকের বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, চলতি বছর, জটিল এবং কঠোর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে, চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য পরিমাণ, গুণগতমানের বৃদ্ধি অর্জন করেছে, এবং পরিবর্তনগুলো সব নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মোট পরিমাণের দিক থেকে, প্রথমার্ধে, চীনে আমদানি-রপ্তানি আকার ২০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে, যা ইতিহাসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আমদানি-রপ্তানি আগের বছরের প্রথমার্ধের চেয়ে ৬ কোটি ইউয়ানেরও বেশি। প্রত্যেক প্রান্তিকের অবস্থা থেকে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে আমদানি-রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৫ শতাংশ বেশি, যা প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ৩.২ শতাংশ বেশি এবং টানা সাত প্রান্তিক ধরে বৃদ্ধির প্রবণতা বজায় রেখেছে।

গুণগতমানের দিক থেকে, চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বিশ্বের জ্বালানি রূপান্তরের নতুন প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে অব্যাহতভাবে শ্রেষ্ঠ সবুজ পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়েছে, নতুন ক্ষেত্রের পণ্য সরবরাহ দ্রুততর করছে। প্রথমার্ধে, চীনে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক পণ্যের রপ্তানি ছিল ৭.৮ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং মোট রপ্তানি মূল্যের ৬০%। এর মধ্যে, নতুন মানের উৎপাদনশীলতার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত উচ্চমানের সরঞ্জাম ২০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিবর্তনের দিক থেকে, চীন আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার বন্ধনকে জোরদার করেছে, ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর আস্থাকে বাড়িয়ে দিয়েছে, যৌথভাবে বৈশ্বিক পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তন মোকাবিলা করেছে। প্রথমার্ধে, ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে চীনের আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৫০ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি বাণিজ্যের অংশীদারের সংখ্যা ৬১টিতে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫টি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইইউ, জাপান এবং ব্রিটেনের মতো ঐতিহ্যবাহী বাজারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন বাজারগুলো আরও প্রবৃদ্ধি অবদান রাখছে। বছরের প্রথমার্ধে, আফ্রিকা এবং মধ্য এশিয়ায় আমদানি ও রপ্তানি যথাক্রমে ১৪.৪% এবং ১৩.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

একই সাথে, এখনও বুঝতে হবে যে কিছু দেশ শুল্কের অপব্যবহার করছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম লঙ্ঘন করছে, যা বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এই বছরের শুরু থেকে, চীনের আমদানি নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির সম্মুখীন হয়েছে এবং চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা প্রচণ্ড চাপের সম্মুখীন হয়েছে। সম্প্রতি, অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এই বছর বিশ্ব বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির জন্য তাদের পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে।

চীন-মার্কিন বাণিজ্য ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, বছরের প্রথমার্ধে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের মোট আমদানি ও রপ্তানি মূল্য ছিল ২.০৮ ট্রিলিয়ন ইউয়ান, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৩% কম। যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘পারস্পরিক শুল্কে’র প্রভাবে, চীন-মার্কিন বাণিজ্য প্রথম প্রান্তিকে বৃদ্ধি থেকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে হ্রাসে পরিণত হয়েছে, হ্রাসের হার ২০.৮%।

ওয়াং লিং চুন বলেন, চীন-মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার মূল হল পাস্পরিক সহযোগিতা ও উভয়ের কল্যাণ। দ্বিতীয়ার্ধের দিকে তাকালে, ওয়াং লিং চুন বলেন, বিশ্বব্যাপী একতরফাবাদ ও সুরক্ষাবাদের উত্থান এবং বহিরাগত পরিবেশের ক্রমবর্ধমান জটিলতা, তীব্রতা এবং অনিশ্চয়তার সাথে, চীনকে এখনও বৈদেশিক বাণিজ্যে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তবে, বৈচিত্র্যময় এবং স্থিতিশীল বাজার, উদ্ভাবনী ও উচ্চমানের পণ্য , উদ্ভাবনী বৈদেশিক বাণিজ্য চীনের বিভিন্ন ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার আত্মবিশ্বাস এবং ক্ষমতা প্রদান করে।

সূত্র : শুয়েই-হাশিম-জিনিয়া, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।