ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo টেকনাফে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারী আটক Logo নীলফামারীতে ভলিবল ও কাবাডি প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত Logo ‎বরুড়া পৌর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিন নিয়ে গেলো শিক্ষা অফিস Logo নীলফামারীতে শীতবস্ত্র ও রুম হিটার বিতরণ Logo কালীগঞ্জে বিএনপি সহ তিন দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ Logo সুনামগঞ্জে বিপুল পরিমান ভারতীয় জিরা এবং ফুসকা জব্দ Logo ওসমান হাদীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় ডিমলায় জামায়াত ইসলামীর দোয়া অনুষ্ঠান Logo খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার ১৫২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প Logo চীনের অর্থনীতিতে পরিষেবা খাতের জয়যাত্রা Logo হাইনান বন্দর বিশ্ব বাণিজ্যকে এগিয়ে নেবে

অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় স্বপরিবারকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া

বসতঘরের মাত্র ১শ গজের মধ্যে গত তিন মাস ধরে দেদারসে চলছে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন। এরই মধ্যে মৌখিক ভাবে কয়েক দফা জানানোর পরেও তারা ড্রেজার বন্ধ করেনি। পরে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে গত বছরের ডিসেম্বার মাসের ২৬ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী স্যারের বরাবর গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তারা কেমনে জানি জানতে পেরে আমারে বেধরক মারধর করে। তখন আমি কোন উপায় না পেয়ে আবারো এ বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। এতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি উল্টো বিষয়টি জানতে পেরে ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল ও তার লোকজন শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রোজা রাখা অবস্থায় আমাকেসহ আমার স্বপরিবারকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে এখন গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না। এভাবেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্না করতে করতে কথা গুলো বলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মৃত আস্কর আলীর ছেলে আবুল বাসার (৬২)। 
অভিযুক্ত অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মতিন মুন্সির ছেলে।
ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে কামাল হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ি রক্ষা করতে আমার বাবা যত বার ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিছে ততবারই তারা আমার বাবাসহ আমাদেরকে মারধর করেছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে আমরা স্বপরিবারে এখন গ্রাম ছাড়া। এখনতো আমার মনে হচ্ছে তারা উপজেলা প্রশাসনের চাইতেও অনেক শক্তিশালী। তিন মাসে ড্রেজার তো বন্ধ হয়নি বরং অভিযোগ দিয়ে বার বার আমরা মারধরের শিকার হচ্ছি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলাউদ্দিন ভূঞা জনী অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি শুরুতে অভিযোগ পেয়ে ড্রেজার বন্ধে আমার তহসিলদার ও পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। ওই ড্রেজার ব্যবসায়ী যদি অভিযোগ কারিকে মারধর করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (কর্মকর্তা) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে একটি অভিযোগ দিয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারী আটক

SBN

SBN

অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ায় স্বপরিবারকে পিটিয়ে গ্রাম ছাড়া

আপডেট সময় ১১:৫৫:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বসতঘরের মাত্র ১শ গজের মধ্যে গত তিন মাস ধরে দেদারসে চলছে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন। এরই মধ্যে মৌখিক ভাবে কয়েক দফা জানানোর পরেও তারা ড্রেজার বন্ধ করেনি। পরে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে গত বছরের ডিসেম্বার মাসের ২৬ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলাউদ্দিন ভূইয়া জনী স্যারের বরাবর গিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তারা কেমনে জানি জানতে পেরে আমারে বেধরক মারধর করে। তখন আমি কোন উপায় না পেয়ে আবারো এ বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেই। এতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি উল্টো বিষয়টি জানতে পেরে ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল ও তার লোকজন শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রোজা রাখা অবস্থায় আমাকেসহ আমার স্বপরিবারকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে এখন গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না। এভাবেই হাসপাতালের বেডে শুয়ে কান্না করতে করতে কথা গুলো বলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মৃত আস্কর আলীর ছেলে আবুল বাসার (৬২)। 
অভিযুক্ত অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের লাজৈর গ্রামের মতিন মুন্সির ছেলে।
ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে কামাল হোসেন বলেন, আমাদের বাড়ি রক্ষা করতে আমার বাবা যত বার ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ দিছে ততবারই তারা আমার বাবাসহ আমাদেরকে মারধর করেছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে আমরা স্বপরিবারে এখন গ্রাম ছাড়া। এখনতো আমার মনে হচ্ছে তারা উপজেলা প্রশাসনের চাইতেও অনেক শক্তিশালী। তিন মাসে ড্রেজার তো বন্ধ হয়নি বরং অভিযোগ দিয়ে বার বার আমরা মারধরের শিকার হচ্ছি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আলাউদ্দিন ভূঞা জনী অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি শুরুতে অভিযোগ পেয়ে ড্রেজার বন্ধে আমার তহসিলদার ও পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। ওই ড্রেজার ব্যবসায়ী যদি অভিযোগ কারিকে মারধর করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত (কর্মকর্তা) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবুল বাসারের ছেলে একটি অভিযোগ দিয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।