
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কুও চিয়া খুন ২৩ জুলাই বেইজিংয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেছেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশজুড়ে নতুন প্রতিষ্ঠিত বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই-অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা চীনের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রতি বিদেশি কোম্পানিগুলোর আস্থার ইঙ্গিতবাহী। চীন সকল দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে চীনা-শৈলীর আধুনিকায়নে অংশগ্রহণের জন্য স্বাগত জানায়।
সম্প্রতি ইউএস-চায়না বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চীনে কার্যরত ৮২% মার্কিন প্রতিষ্ঠান লাভজনক অবস্থায় রয়েছে। বহু প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, চীন-মার্কিন সম্পর্কের অনিশ্চয়তা ও শুল্ক নীতিই তাদের বর্তমান প্রধান শঙ্কার বিষয় হলেও, তারা চীনা বাজারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই বিবেচনা করে চলেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুও চিয়া খুন বলেন, “চীনে বিনিয়োগ করে সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়া” এখন বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের সাধারণ সম্মতিতে পরিণত হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চীনে মোট ১২.৪ লাখ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে, যার বিনিয়োগ পরিমাণ প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এগুলো চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি নিজেদের জন্য প্রবৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি এবং সমৃদ্ধ ফলাফল অর্জন করেছে। সম্প্রতি সমাপ্ত তৃতীয় আন্তর্জাতিক সরবরাহ-শৃঙ্খল প্রদর্শনীতে (সাপ্লাই-চেইন এক্সপো) অংশগ্রহণকারী দেশ ও অঞ্চলের সংখ্যা প্রথমবারের ৫৫টি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫টিতে দাঁড়িয়েছে, যেখানে মার্কিন প্রদর্শনকারীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় ১৫% বৃদ্ধি পেয়ে বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।
প্রতিষ্ঠানের আকার বিবেচনায়, ৬৫ শতাংশের বেশি প্রদর্শনকারী প্রতিষ্ঠান ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ বা সংশ্লিষ্ট শিল্পের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে চীনা সরকার বিদেশি বিনিয়োগ উত্সাহিত করতে নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে, যা উচ্চস্তরের উন্মুক্তকরণের প্রতি আমাদের আন্তরিকতা ও দৃঢ় সংকল্পেরই প্রতিফলন। আমরা মার্কিনসহ সকল দেশের কোম্পানিগুলোকে চীনা-শৈলীর আধুনিকায়নে অংশগ্রহণ এবং উচ্চ-গুণগত উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়ে আরও বৃহত্তর সাফল্য ও উত্তম উন্নয়ন অর্জনের জন্য আমন্ত্রণ জানাই।”
সূত্র : স্বর্ণা-হাশিম-লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
আন্তর্জাতিক: 























