ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও দাঁত ভাঙার ঘটনায় মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ -শেরপুর সীমান্তে ৫ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদক জব্দ Logo গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড Logo চান্দিনায় গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই; দুই থানায় ধাক্কা-ধাক্কি Logo প্রতিহিংসা নয় প্রতিযোগিতা, রাজনীতি হোক ঐক্য ভিত্তিক Logo ডানপন্থী উসকানির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি বেইজিংয়ের Logo তাইওয়ান নিয়ে জাপান সরকারের নীতি প্রশ্নবিদ্ধ Logo রাজশাহীর জজ পরিবারের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় আইনজীবীদের মানববন্ধন Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বসত ঘর হতে ১২ কেজি গাঁজাসহ ৪ জন গ্রেফতার Logo হাওরের বুক চিরে অবৈধ বিট বালু উত্তোলন

গণভবন আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে থাকছে না; নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের নতুন বাসা খোঁজার উদ্যোগ

গণভবন আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে থাকছে না; নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের নতুন বাসা খোঁজার উদ্যোগ

মোহাম্মদ আলী সুমন:

‘বাংলাদেশে আগামী সংসদ নিরবাছনের আগেই নির্বাচিত নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের জন্য রাজধানীতে বাসা খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখনও নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত না হলেও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের জন্য হেয়ার রোড ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’

‘৭ জুলাই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে, যার নেতৃত্বে ছিলেন একজন অতিরিক্ত সচিব। ‘রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর তারা ২০ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেন। ‘কমিটি জানায়, গণভবন ভবিষ্যতে আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হবে না, বরং সেটি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ৫ আগস্ট এর উদ্বোধন করা হবে।’

‘প্রতিবেদনে যমুনা ভবন এবং হেয়ার রোডের ২৪ ও ২৫ নম্বর বাংলোকে সমন্বিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর আবাসনের জন্য বিবেচনার সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার স্থানও পরিদর্শন করা হয়েছে, তবে সেই জায়গায় বাসভবন নির্মাণে জটিলতা থাকায় সুপারিশ করা হয়নি।

‘মন্ত্রীদের বাসা নিয়ে জটিলতার অন্যতম কারণ হলো মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টের অনেক ফ্ল্যাটে এখন বিচারপতি ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা থাকছেন। ‘যদিও তাদের জন্য নির্ধারিত ভবন খালি রয়েছে, তথাপি নতুন সরকার গঠনের পর এই ফ্ল্যাটগুলো খালি করানো বিব্রতকর হতে পারে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।’

‘মিন্টো রোড ও বেইলি রোডের কয়েকটি বড় বাংলোবাড়ি ভেঙে আধুনিক ভবন নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে, যেখানে একাধিক মন্ত্রী থাকতে পারবেন। তবে এসব বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকায় স্থাপত্য ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’

‘এছাড়া গুলশান ও ধানমন্ডির দুটি পরিত্যক্ত সরকারি বাড়িতে নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাবও এসেছে কমিটির পক্ষ থেকে।’

‘সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগেই সম্ভাব্য বাসস্থান চূড়ান্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এখন সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।’

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও দাঁত ভাঙার ঘটনায় মানববন্ধন

SBN

SBN

গণভবন আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে থাকছে না; নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের নতুন বাসা খোঁজার উদ্যোগ

আপডেট সময় ১২:২৪:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

মোহাম্মদ আলী সুমন:

‘বাংলাদেশে আগামী সংসদ নিরবাছনের আগেই নির্বাচিত নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের জন্য রাজধানীতে বাসা খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখনও নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত না হলেও গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিরাপত্তা ও অন্যান্য সুবিধা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের জন্য হেয়ার রোড ও রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’

‘৭ জুলাই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একটি ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করে, যার নেতৃত্বে ছিলেন একজন অতিরিক্ত সচিব। ‘রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর তারা ২০ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেন। ‘কমিটি জানায়, গণভবন ভবিষ্যতে আর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হবে না, বরং সেটি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ৫ আগস্ট এর উদ্বোধন করা হবে।’

‘প্রতিবেদনে যমুনা ভবন এবং হেয়ার রোডের ২৪ ও ২৫ নম্বর বাংলোকে সমন্বিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর আবাসনের জন্য বিবেচনার সুপারিশ করা হয়েছে। যদিও শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলার স্থানও পরিদর্শন করা হয়েছে, তবে সেই জায়গায় বাসভবন নির্মাণে জটিলতা থাকায় সুপারিশ করা হয়নি।

‘মন্ত্রীদের বাসা নিয়ে জটিলতার অন্যতম কারণ হলো মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টের অনেক ফ্ল্যাটে এখন বিচারপতি ও উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা থাকছেন। ‘যদিও তাদের জন্য নির্ধারিত ভবন খালি রয়েছে, তথাপি নতুন সরকার গঠনের পর এই ফ্ল্যাটগুলো খালি করানো বিব্রতকর হতে পারে বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।’

‘মিন্টো রোড ও বেইলি রোডের কয়েকটি বড় বাংলোবাড়ি ভেঙে আধুনিক ভবন নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে, যেখানে একাধিক মন্ত্রী থাকতে পারবেন। তবে এসব বাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকায় স্থাপত্য ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’

‘এছাড়া গুলশান ও ধানমন্ডির দুটি পরিত্যক্ত সরকারি বাড়িতে নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাবও এসেছে কমিটির পক্ষ থেকে।’

‘সব মিলিয়ে নির্বাচনের আগেই সম্ভাব্য বাসস্থান চূড়ান্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এখন সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।’