ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মহেশখালীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড Logo কালীগঞ্জে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ Logo শেরপুর–ময়মনসিংহ সীমান্তে কোটি টাকার চোরাচালানী মালামাল সহ কাভার্ডভ্যান ও ইজিবাইক আটক Logo কটিয়াদীর বনগ্রাম বাজারে দুই প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা Logo সরাইলে এনসিপির উঠান বৈঠকে বক্তব্য দিয়ে শিক্ষকের দুঃখপ্রকাশ Logo ‎বরুড়ায় আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলাহাট রেশম উন্নয়ন বোর্ডের জোনাল অফিস দুর্নীতির আখড়া Logo বরুড়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার ১১ অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা Logo টেকনাফে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ১ মাদক পাচারকারী আটক Logo শেরপুরে ১ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক কয়েদী গ্রেফতার

যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী জনি গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট

যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী জনিকে বিতর্কিত অনলাইন কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ২৫ জুলাই ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন দক্ষিণ নামাপাড়া, তালেরটেক এলাকা থেকে ডিবির একটি চৌকস দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ। সাথে ছিলেন এসআই (নিঃ) অলক কুমার (পিপিএম), এএসআই (নিঃ) মোঃ শামসুজ্জামান এবং সঙ্গীয় ফোর্স। অভিযানের সময় জনিকে তার ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইস্কান্দার আলী জনির বয়স ৪২ বছর। পিতা: মৃত শেখ সিরাজুল ইসলাম, মাতা: মৃত রাশিদা বেগম। বর্তমান ঠিকানা: দক্ষিণ নামাপাড়া, তালেরটেক, থানা–খিলক্ষেত, ডিএমপি ঢাকা। স্থায়ী ঠিকানা: বালিয়াডাঙ্গা, বাবলাতলা, থানা–কোতোয়ালী, জেলা–যশোর।

তথ্যমতে, জনি জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলামের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি সহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করতে থাকেন।

এছাড়া তিনি মিথ্যাভাবে প্রচার করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোর সেনানিবাসে অবস্থানকালে তাকে ভারত পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন যুবদলের এক নেতা। এসব অপপ্রচার দেশের নিরাপত্তা, সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি এবং সামাজিক স্থিতি নষ্ট করে।

জনির বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু হয়েছে: মামলা নম্বর: ১২(১)২৫
ধারা: দণ্ডবিধি ৩৮৫ (চাঁদাবাজি), সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এর ধারা ২৫, ২৯ ও ৩১।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, জনি বিগত কয়েক মাস ধরে অনলাইন মাধ্যমে অপপ্রচার ও দলীয় বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক সামাজিক ও আইনগত অভিযোগ রয়েছে।

গ্রেফতার পরবর্তী সময়ে তাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, তার অনলাইন কর্মকাণ্ড এবং আর্থিক লেনদেন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে— বিএনপি কোনো অন্যায়কারী, অপপ্রচারকারী বা দলবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীর প্রতি বিন্দুমাত্র সহনশীলতা দেখায় না।

বিশেষ করে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একটি কঠোর ও জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

দলীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করাই বিএনপির রাজনৈতিক নীতির এক অবিচল স্তম্ভ—এটি আবারো প্রমাণিত হলো এই ঘটনার মধ্য দিয়ে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মহেশখালীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোস্ট গার্ড

SBN

SBN

যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী জনি গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৫:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট

যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা ইস্কান্দার আলী জনিকে বিতর্কিত অনলাইন কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। ২৫ জুলাই ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন দক্ষিণ নামাপাড়া, তালেরটেক এলাকা থেকে ডিবির একটি চৌকস দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ। সাথে ছিলেন এসআই (নিঃ) অলক কুমার (পিপিএম), এএসআই (নিঃ) মোঃ শামসুজ্জামান এবং সঙ্গীয় ফোর্স। অভিযানের সময় জনিকে তার ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইস্কান্দার আলী জনির বয়স ৪২ বছর। পিতা: মৃত শেখ সিরাজুল ইসলাম, মাতা: মৃত রাশিদা বেগম। বর্তমান ঠিকানা: দক্ষিণ নামাপাড়া, তালেরটেক, থানা–খিলক্ষেত, ডিএমপি ঢাকা। স্থায়ী ঠিকানা: বালিয়াডাঙ্গা, বাবলাতলা, থানা–কোতোয়ালী, জেলা–যশোর।

তথ্যমতে, জনি জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলামের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেয়ে তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি সহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করতে থাকেন।

এছাড়া তিনি মিথ্যাভাবে প্রচার করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোর সেনানিবাসে অবস্থানকালে তাকে ভারত পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন যুবদলের এক নেতা। এসব অপপ্রচার দেশের নিরাপত্তা, সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি এবং সামাজিক স্থিতি নষ্ট করে।

জনির বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা রুজু হয়েছে: মামলা নম্বর: ১২(১)২৫
ধারা: দণ্ডবিধি ৩৮৫ (চাঁদাবাজি), সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এর ধারা ২৫, ২৯ ও ৩১।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, জনি বিগত কয়েক মাস ধরে অনলাইন মাধ্যমে অপপ্রচার ও দলীয় বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক সামাজিক ও আইনগত অভিযোগ রয়েছে।

গ্রেফতার পরবর্তী সময়ে তাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, তার অনলাইন কর্মকাণ্ড এবং আর্থিক লেনদেন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে— বিএনপি কোনো অন্যায়কারী, অপপ্রচারকারী বা দলবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীর প্রতি বিন্দুমাত্র সহনশীলতা দেখায় না।

বিশেষ করে খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে একটি কঠোর ও জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।

দলীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করাই বিএনপির রাজনৈতিক নীতির এক অবিচল স্তম্ভ—এটি আবারো প্রমাণিত হলো এই ঘটনার মধ্য দিয়ে।