
ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের স্বপন আহাম্মদ নামের এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর হত্যা মামলার আসামীরা ওই মামলার বাদী পক্ষের লোকজন কে মামলা প্রত্যারের জন্য প্রান নাশের হুমকি ধমকী ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে প্রতিনিয়ত। এমনকি আসামী পক্ষের মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীদের অব্যহৃত হুমকির কারনে তারা নিরাপত্তার অভাবে পালিয়ে ভেড়াচ্ছ বলে অভিযোগ করছেন।
শনিবার দুপুরে ২৬ জুলাই বাদী পক্ষের লোকজন উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন এর রামচন্দ্র পুর (বাল্লক) গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত গার্মেন্টস ব্যবসায়ী স্বপন আহাম্মদ এর বড় ভাই মোঃ আক্তার হোসেন। তিনি মৃত সুলতান আহমদ এর ছেলে। তিনি বক্তব্যে বলেন
আমার ছোট ভাই স্বপন আহমেদ একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ছিলেন। গত ২০২৪ সনের ২ নভেম্বর একই ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে উজ্জ্বল ও তার ৬ ভাইসহ এজাহার নামীয় আসামীরা আমার ছোট ভাই স্বপন আহমেদ মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ার বিরোধের জের ধরে এলোপাতারি চাইনিজ কুড়াল, দা, ছেনা দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তার লাশ গুম করার চেষ্টা করে।
পরে দুই ঘন্টা পর স্থানীয় লোকদের সহায়তায় আমার ভাইকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে আমি বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় উজ্জ্বল গং সহ ১৯ জনও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দাখিল করি। সে প্রেক্ষিতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি উজ্জল উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে আমার পরিবারের উপর হুমকি-ধমকি ও ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে।
প্রকাশ্যে এবং গোপনে বলাবলি করছে সুযোগ পেলে কুমিল্লা থেকে মাস্তান এনে আমার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিবে এবং আমার ছেলে ও আমাকে যেখানে পায় আমার ছোট ভাইয়ের মতো হত্যা করবে। এছাড়াও আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে তাছেমুল ইসলাম সজীব কে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন পোর্টালে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। যে সংবাদের কোন ভিত্তি নেই। এছাড়াও উজ্জলের সহচর বিল্লাল মিয়ার ছেলে রাকিবের স্ত্রীকে দিয়ে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
হত্যা মামলার প্রধান আসামি উজ্জল তার সহযোগী রাকিব এবং ইফরান প্রকাশ্যে বলাবলি করে তারা মাদক নিয়ে ধরা পড়লে আমার ছেলে সজীব ও আমাকে আসামি করবে এ বলে হুমকি দিচ্ছে। এ ছাড়া তৈয়ব আলীর ছেলে উজ্জ্বল, আনোয়ার, জহির, দেলোয়ার, সালাউদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদকের বহু মামলা রয়েছে। তাছাড়া গত আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে বিভিন্ন বাহিনীকে ম্যানেজ করে গঙ্গানগর গ্রামে মাদকের স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছেন তারা।
এছাড়াও দেলোয়ার ও উজ্জলের মাধ্যমে মাদকের লাইন পরিচালিত হত। তাদের কথা যে না শুনে তাদেরকে বিনা কারণে মাদক মামলার আসামি করে দিতো। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আক্তার হোসেন আরো বলেন, গঙ্গানগর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ওয়াসিমের বিরুদ্ধে উজ্জ্বল গংরা তাদের লোক কর্তৃক মাদক মামলায় ধরা পড়লে ওয়াসিমের নাম বলে একাধিক মাদক মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আমি ও আমার পরিবার তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক সহায়তা কামনা করি। এছাড়াও আমার নিষ্পাপ ভাইয়ের নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার দাবি করি।