
বিপ্লব সাহা, খুলনা ব্যুরো:
দেশব্যাপী পলাতক আওয়ামী লীগের গুপ্ত হামলার আশঙ্কায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও প্রশাসন মহল, ফলে ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সরকারী বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবন রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোগুলো প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা, বঙ্গভবন, সংসদ ভবন, বিমানবন্দর, সচিবালয়, নগর ভবন সহ দেশের সাধারণ মানুষের জানমালের দিকেও কঠোর নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত বছর জুলাই বিপ্লবের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের তোপের মুখে বিগত ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট হাসিনা ৫ আগস্ট বঙ্গভবনে তিন বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগ করে তাদেরই সহযোগিতায় একটি সামরিক বিমানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ কর্মীদের গাত্রদাহ বেড়ে চলেছে বিধায় বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তোলার লক্ষ্যে পলাতক হাসিনা বিভিন্ন সময় উস্কানিমূল কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডি থেকে প্রচার করার কারণে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বেসামাল হয়ে পড়েছে।
ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনুস সহ দেশের সকল প্রশাসন মহল নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্তৃক নাশকতা ও গুপ্ত হামলার আশঙ্কা করছে।
আর তারই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের সাথে খুলনায়ও প্রশাসন মহল সজাগ অবস্থানে থেকে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় কঠোর নজরদারি রেখে গতকাল ২৯ জুলাই মঙ্গলবার থেকেই টহল দিচ্ছে যৌথবাহিনী। পাশাপাশি প্রশাসন মহল যেন কোনক্রমে দেশের ক্রান্তি লগ্নে গুরুদায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য প্রশাসন মহলকে যত ধরনের সহযোগিতা করার প্রয়োজন করবে খুলনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, প্রশাসন সার্কেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ সচেতন জনগণ।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্ন উত্তরে খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন খুলনা বা দেশের কোন জায়গায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটুক সেটা কারোর ক্ষেত্রেই কাম্য নয়, এর আগে দেশের উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তাগণ নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কর্তৃক নাশকতার আভাস পেয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে পৃথক পৃথক প্রশাসনিক সেক্টরের প্রধান কর্তাদের সাথে দফায় দফায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়ে দেশের শান্তি রক্ষার্থে প্রশাসন মহল সজাগ দৃষ্টি ও কঠোর অবস্থানে থাকবে বলে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সাধারণ জনগণের সাথে প্রশাসন মহল একমত প্রকাশ করে বলেছেন দেশের শহর তথা প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত প্রেতাত্মা রূপে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের অসংখ্য ঘাতক, আর এরা একনায়কতন্ত্র কায়েম করে দীর্ঘ ১৬ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করে কাঠামগতভাবে সর্বক্ষেত্রে নিজস্ব দলীয় আধিপত্য বিস্তার রেখে যা খুশি তাই করেছে যা এখনো বিরাজমান রয়েছে।
পাশাপাশি আনুমানিকভাবে এটাও আভাস পাওয়া গেছে জুলাইয়ের শেষ থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেও দেশে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে এলাকাভিত্তিক এবং দেশজুড়ে নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করছে, সেই নাশকতা প্রতিরোধ করতে প্রশাসন সব রকমের ব্যবস্থা রেখে ২৯ জুলাই সকাল থেকে মাঠে নেমেছে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 



























