ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আমতলীতে জামায়াতে ইসলামীর ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo রূপসায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের শিবিরের সংবর্ধনা Logo নাঙ্গলকোটে অস্ত্রসহ যুবদলকর্মী আটক Logo মানুষ ইলিশের স্বাদ ভুলতে বসেছে Logo শেরপুরে শাহী বারোদুয়ারী মসজিদ” ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আধ্যাত্মিকতার অনন্য নিদর্শন Logo ফকিরহাটে চাঁদাবাজির অভিযোগ, দুই যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ Logo শেরপুরে চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo দৈনিক বরুড়া কন্ঠের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত Logo চান্দিনায় হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর মামলা নিল পুলিশ Logo গাজীপুরে শহীদ সাংবাদিক তুহিন চত্ত্বর ঘোষণা

স্টকহোমে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক: অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে নতুন অগ্রগতি

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৯:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

গত ২৭ জুলাই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনাদল আবারও সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে মিলিত হয়। সেখানে দলের সদস্যরা দু’দেশের অভিন্ন উদ্বেগের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে আন্তরিক, গভীর ও গঠনমূলক আলোচনা করে। এটা জেনিভা ও লন্ডেনের পর ৩ মাসের মধ্যে দু’পক্ষের তৃতীয় বৈঠক।

বৈঠকে দু’পক্ষ একমত হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সমতুল্য শুল্কের’ ২৪ শতাংশ এবং চীনের পাল্টা-ব্যবস্থা ৯০ দিন স্থগিত থাকবে। এটা আবারও বিশ্বকে দুই বড় অর্থনীতির একই দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইংগিত দিয়েছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের স্থিতিশীলতা বিশ্ব অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলে। জেনিভায় ঐকমত্যে পৌঁছানো থেকে লন্ডেনে কাঠামোচুক্তি বাস্তবায়ন পর্যন্ত, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বৈঠক যুক্তি ও বাস্তব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়তা যুগিয়েছে।

এবারের স্টকহোম বৈঠকে দু’পক্ষ ঐকমত্য সুসংহত করা ও পারস্পরিক আস্থা গভীর করার ক্ষেত্রে নতুন চালিকাশক্তি যুগিয়েছে। এটা আবার প্রমাণ করে যে, উভয় পক্ষ দু’দেশের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য মেনে চললে এবং সমান আলোচনা করলে মতভেদ কমাতে ও সহযোগিতা জোরদার করতে পারে; দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুস্থ, স্থিতিশীল ও টেকসই দিকে উন্নয়ন করতে পারে।

চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ৫ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের সময় বলেন, দু’পক্ষের উচিত বিদ্যমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনাব্যবস্থা ভালোভাবে ব্যবহার করা; সমান মনোভাব নিয়ে অন্যের উদ্বেগ সম্মান করা; জয়-জয় ফলাফলের জন্য চেষ্টা করা। শীর্ষনেতা পর্যায়ের যোগাযোগ চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছে ও বৈঠকের প্রচারের জন্য কৌশলগত নেতৃত্ব দিয়েছে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র সুইডেন বৈঠকের ফলাফল হল, দু’পক্ষের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দলের অভিন্ন প্রচেষ্টায় শীর্ষনেতাদের মতৈক্যকে বাস্তব পদক্ষেপে রূপান্তর করার প্রতিফলন। পরবর্তী ধাপে, দু’পক্ষের উচিত, দু’দেশের নেতাদের ৫ জুনের ফোনালাপের মতৈক্যকে দিকনির্দেশনা হিসেবে নিয়ে, পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও জয়-জয় সহযোগিতা নীতি মেনে চলা; বৈঠক ও আলোচনা আরও গভীর করা; আরও বেশি জয়-জয় ফলাফল অর্জনে সচেষ্ট হওয়া।
বৈঠকে চীন জোর দিয়ে বলেছে, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যের মূল লক্ষ্য হল জয়-জয় সহযোগিতা। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করলে উভয় পক্ষ উপকৃত হবে, লড়াই করলে উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, স্থিতিশীল চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দু’দেশ, এমনকি বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই মতৈক্য হল দু’পক্ষের একসঙ্গে আলোচনা ও ফলাফল অর্জন করার ভিত্তি।
বিগত এক দশক ধরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গভীরভাবে একত্রিত হয়। দু’দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিন্ন স্বার্থ ও বিস্তৃত সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থা একতরফা শুল্কের বাধা এমন শক্তিশালী অর্থনৈতিক পরিপূরকতা ভেঙে দিতে পারে না।

বৈঠক ও আলোচনার জন্য চীনের সম্পূর্ণ আন্তরিকতা রয়েছে, এবং অপরিবর্তিত চূড়ান্ত সীমা রয়েছে। চীন সবসময় নিজস্ব কেন্দ্রীয় উদ্বেগকে সম্মান করার ওপর জোর দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘সমতুল্য শুল্ক’ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতি লঙ্ঘনকারী একতরফাবাদ ও বাণিজ্যিক সংরক্ষণবাদী আচরণ। চীন সমান বৈঠকের ভিত্তিতে, আলোচনার মাধ্যমে, মতভেদ দূর করতে এবং সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছুক। চীন দৃঢ়ভাবে নিজের কেন্দ্রীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের অধিকার রক্ষা করবে; চাপ দেওয়ার মাধ্যমে চীনকে নীতিমূলক আপোস করার যে-কোনো ধারণা ব্যর্থ হবে।

চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীর ও কাঠামোগত সমস্যা সহজেই সমাধান হতে পারে না। জেনিভা থেকে লন্ডন ও স্টকহোম পর্যন্ত দু’পক্ষ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। চীন আশা করে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একই দিকে এগিয়ে যাবে, দু’দেশের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার বাস্তব পদক্ষেপ রূপান্তর করবে, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন পথে ফিরিয়ে আনবে, যা শুধু দু’দেশের জনগণের জন্য নয়, বরং বিশ্বের জনগণের জন্য কল্যাণকর প্রমাণিত হবে।
সূত্র:তুহিনা-আলিম,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আমতলীতে জামায়াতে ইসলামীর ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

স্টকহোমে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক: অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে নতুন অগ্রগতি

আপডেট সময় ০৯:৪৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অগাস্ট ২০২৫

গত ২৭ জুলাই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনাদল আবারও সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে মিলিত হয়। সেখানে দলের সদস্যরা দু’দেশের অভিন্ন উদ্বেগের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে আন্তরিক, গভীর ও গঠনমূলক আলোচনা করে। এটা জেনিভা ও লন্ডেনের পর ৩ মাসের মধ্যে দু’পক্ষের তৃতীয় বৈঠক।

বৈঠকে দু’পক্ষ একমত হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘সমতুল্য শুল্কের’ ২৪ শতাংশ এবং চীনের পাল্টা-ব্যবস্থা ৯০ দিন স্থগিত থাকবে। এটা আবারও বিশ্বকে দুই বড় অর্থনীতির একই দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইংগিত দিয়েছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের স্থিতিশীলতা বিশ্ব অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলে। জেনিভায় ঐকমত্যে পৌঁছানো থেকে লন্ডেনে কাঠামোচুক্তি বাস্তবায়ন পর্যন্ত, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বৈঠক যুক্তি ও বাস্তব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়তা যুগিয়েছে।

এবারের স্টকহোম বৈঠকে দু’পক্ষ ঐকমত্য সুসংহত করা ও পারস্পরিক আস্থা গভীর করার ক্ষেত্রে নতুন চালিকাশক্তি যুগিয়েছে। এটা আবার প্রমাণ করে যে, উভয় পক্ষ দু’দেশের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য মেনে চললে এবং সমান আলোচনা করলে মতভেদ কমাতে ও সহযোগিতা জোরদার করতে পারে; দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুস্থ, স্থিতিশীল ও টেকসই দিকে উন্নয়ন করতে পারে।

চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ৫ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের সময় বলেন, দু’পক্ষের উচিত বিদ্যমান অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক আলোচনাব্যবস্থা ভালোভাবে ব্যবহার করা; সমান মনোভাব নিয়ে অন্যের উদ্বেগ সম্মান করা; জয়-জয় ফলাফলের জন্য চেষ্টা করা। শীর্ষনেতা পর্যায়ের যোগাযোগ চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছে ও বৈঠকের প্রচারের জন্য কৌশলগত নেতৃত্ব দিয়েছে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্র সুইডেন বৈঠকের ফলাফল হল, দু’পক্ষের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক দলের অভিন্ন প্রচেষ্টায় শীর্ষনেতাদের মতৈক্যকে বাস্তব পদক্ষেপে রূপান্তর করার প্রতিফলন। পরবর্তী ধাপে, দু’পক্ষের উচিত, দু’দেশের নেতাদের ৫ জুনের ফোনালাপের মতৈক্যকে দিকনির্দেশনা হিসেবে নিয়ে, পারস্পরিক সম্মান, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও জয়-জয় সহযোগিতা নীতি মেনে চলা; বৈঠক ও আলোচনা আরও গভীর করা; আরও বেশি জয়-জয় ফলাফল অর্জনে সচেষ্ট হওয়া।
বৈঠকে চীন জোর দিয়ে বলেছে, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যের মূল লক্ষ্য হল জয়-জয় সহযোগিতা। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করলে উভয় পক্ষ উপকৃত হবে, লড়াই করলে উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, স্থিতিশীল চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দু’দেশ, এমনকি বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই মতৈক্য হল দু’পক্ষের একসঙ্গে আলোচনা ও ফলাফল অর্জন করার ভিত্তি।
বিগত এক দশক ধরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গভীরভাবে একত্রিত হয়। দু’দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিন্ন স্বার্থ ও বিস্তৃত সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থা একতরফা শুল্কের বাধা এমন শক্তিশালী অর্থনৈতিক পরিপূরকতা ভেঙে দিতে পারে না।

বৈঠক ও আলোচনার জন্য চীনের সম্পূর্ণ আন্তরিকতা রয়েছে, এবং অপরিবর্তিত চূড়ান্ত সীমা রয়েছে। চীন সবসময় নিজস্ব কেন্দ্রীয় উদ্বেগকে সম্মান করার ওপর জোর দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘সমতুল্য শুল্ক’ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নীতি লঙ্ঘনকারী একতরফাবাদ ও বাণিজ্যিক সংরক্ষণবাদী আচরণ। চীন সমান বৈঠকের ভিত্তিতে, আলোচনার মাধ্যমে, মতভেদ দূর করতে এবং সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছুক। চীন দৃঢ়ভাবে নিজের কেন্দ্রীয় স্বার্থ ও উন্নয়নের অধিকার রক্ষা করবে; চাপ দেওয়ার মাধ্যমে চীনকে নীতিমূলক আপোস করার যে-কোনো ধারণা ব্যর্থ হবে।

চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের গভীর ও কাঠামোগত সমস্যা সহজেই সমাধান হতে পারে না। জেনিভা থেকে লন্ডন ও স্টকহোম পর্যন্ত দু’পক্ষ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। চীন আশা করে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একই দিকে এগিয়ে যাবে, দু’দেশের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করার বাস্তব পদক্ষেপ রূপান্তর করবে, চীন-মার্কিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন পথে ফিরিয়ে আনবে, যা শুধু দু’দেশের জনগণের জন্য নয়, বরং বিশ্বের জনগণের জন্য কল্যাণকর প্রমাণিত হবে।
সূত্র:তুহিনা-আলিম,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।