ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রামপালে এক স্কুল ছাত্রীকে বাথরুমে র‍্যাগিংয়ের পর গলা চেপে হত্যার চেষ্টার আভিযোগ Logo ‎বরুড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন Logo শেরপুরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ১৯ হাইড্রোলিক হর্ণ জব্দ, জরিমানা Logo মনোহরগঞ্জে এতিমখানায় শিশু শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন Logo লালমনিরহাটে ফুটবলার মুনকি আক্তারকে সংবর্ধনা Logo ‎গোবিন্দগঞ্জে নজরুল হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার Logo রূপসায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত Logo শ্যাফট বিকল হয়ে সমুদ্রে ভাসতে থাকা ৮’জেলে উদ্ধার Logo চীনের স্থিতিশীল অর্থনীতি বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে : সিএমজি সম্পাদকীয় Logo বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনে চীনের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করবে মোজাম্বিক

নদীর পানি বৃদ্ধি, মোংলায় নিম্নমানের বেড়িবাঁধ ভেঙে বিপর্যয়

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাটঃ

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবল চাপের কারণে মোংলার বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় চিলা ইউনিয়নের জালচিরা গ্রামে নিম্নমানের বেড়িবাঁধ ভেঙে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধ ভাঙার সাথে সাথেই তীব্র স্রোতে ডুবে গেছে গ্রাম, ফসলি জমি ও শতাধিক মাছের ঘের। এতে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে বেড়িবাঁধের একটি অংশ ধসে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে প্লাবিত হয় আশপাশের গ্রামগুলো। পানির তোড়ে নদীতে ভেসে যায় ঘেরের মাছ, ধানক্ষেত, সবজি ক্ষেত ও গবাদিপশু। এতে জীবিকা হারিয়ে হতাশায় ভুগছেন চাষি ও কৃষকরা।

জালচিরা গ্রামের মৎস্যচাষী মোঃ মিঠুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “বাঁধ ভাঙার পর সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ঘেরের মাছ নদীতে চলে গেছে, ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। কোথা থেকে শুরু করব কিছুই বুঝতে পারছি না।”

চিলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিউটন ডাকুয়া বলেন, “বাঁধ ভেঙে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। চাষিদের মাছ, কৃষকদের জমি সব শেষ। যদি দ্রুত বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা না হয়, তবে আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের মান খারাপ ছিল। বিভিন্ন সময়ে মেরামতের দাবি জানানো হলেও যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এবার পানির চাপ বাড়ায় দুর্বল অংশ ভেঙে পড়েছে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ইতোমধ্যেই পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কার ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, ভাঙনকবলিত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গ্রাম ছাড়ছেন। নদীর পানি আরও বাড়তে থাকলে আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রামপালে এক স্কুল ছাত্রীকে বাথরুমে র‍্যাগিংয়ের পর গলা চেপে হত্যার চেষ্টার আভিযোগ

SBN

SBN

নদীর পানি বৃদ্ধি, মোংলায় নিম্নমানের বেড়িবাঁধ ভেঙে বিপর্যয়

আপডেট সময় ০৭:০৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাটঃ

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবল চাপের কারণে মোংলার বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় চিলা ইউনিয়নের জালচিরা গ্রামে নিম্নমানের বেড়িবাঁধ ভেঙে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধ ভাঙার সাথে সাথেই তীব্র স্রোতে ডুবে গেছে গ্রাম, ফসলি জমি ও শতাধিক মাছের ঘের। এতে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে বেড়িবাঁধের একটি অংশ ধসে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে প্লাবিত হয় আশপাশের গ্রামগুলো। পানির তোড়ে নদীতে ভেসে যায় ঘেরের মাছ, ধানক্ষেত, সবজি ক্ষেত ও গবাদিপশু। এতে জীবিকা হারিয়ে হতাশায় ভুগছেন চাষি ও কৃষকরা।

জালচিরা গ্রামের মৎস্যচাষী মোঃ মিঠুন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “বাঁধ ভাঙার পর সব শেষ হয়ে গেছে। আমার ঘেরের মাছ নদীতে চলে গেছে, ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছি। কোথা থেকে শুরু করব কিছুই বুঝতে পারছি না।”

চিলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিউটন ডাকুয়া বলেন, “বাঁধ ভেঙে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। চাষিদের মাছ, কৃষকদের জমি সব শেষ। যদি দ্রুত বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা না হয়, তবে আরও বড় বিপর্যয় নেমে আসবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেড়িবাঁধের মান খারাপ ছিল। বিভিন্ন সময়ে মেরামতের দাবি জানানো হলেও যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এবার পানির চাপ বাড়ায় দুর্বল অংশ ভেঙে পড়েছে।

এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ইতোমধ্যেই পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কার ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, ভাঙনকবলিত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে গ্রাম ছাড়ছেন। নদীর পানি আরও বাড়তে থাকলে আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।