
“চীনা অর্থনীতি অব্যাহতভাবে ও স্থিতিশীলভাবে উন্নত হচ্ছে এবং বাজারের সুযোগও ক্রমাগত সম্প্রসারিত হচ্ছে। যা প্রমাণ করে যে এখানে অপার সম্ভাবনা রয়েছে।”গত ১৫ আগস্ট জুলাই মাসের চীনা অর্থনীতির উপাত্ত প্রকাশিত হওয়ার পর, জার্মান রাইনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস-এর প্রোডাক্ট ম্যানেজার মার্কাস বাউয়ার সিএমজিকে এমন মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি বেইজিংয়ে বিশ্বের প্রথম হিউম্যানয়েড রোবট গেমসের উদ্বোধনও চীনা অর্থনীতির প্রাণশক্তিকে প্রমাণ করেছে। একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেরও চীনের প্রতি ইতিবাচক মতামত রয়েছে।
চীনা অর্থনীতির সর্বশেষ উপাত্ত থেকে বোঝা যায়, ‘স্থিতিশীলতা’ ও ‘অগ্রগতি’ হচ্ছে এর দুটি মূলশব্দ। একদিকে, অর্থনীতি স্থিতিশীলভাবে চলছে। যেমন, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত, চীনের স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১.৬ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, অর্থনীতির একাধিক সূচকে দেখা যায় যে, তা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে। যেমন, জুলাই মাসে, পরিষেবা শিল্পের কার্যক্রম পূর্বাভাস সূচক গত মাসের চেয়ে ০.৬ শতাংশ বেড়েছে। এইসব তথ্য থেকে দেখা যায়, চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীল উন্নয়নের প্রবণতা বজায় রেখেছে।
উল্লেখ্য, বাইরের পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তনের মুখেও, চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য একটি সুষ্ঠু অবস্থায় রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে, পণ্য বাণিজ্যে আমদানি ও রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.৫ শতাংশ বেড়েছে।
চীনা অর্থনীতির এই সুষ্ঠু পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো অব্যাহতভাবে সহায়ক নীতির সমর্থন। চলতি বছরে, চীন আরও বেশি ইতিবাচক সামষ্টিক নীতি গ্রহণ করে আসছে, যার মাধ্যমে অর্থনীতির স্থিতিশীল উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
উৎপাদনের দিক থেকে দেখলে, প্রযুক্তিগত ও শিল্পের উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন আরও সংযুক্ত হচ্ছে, যার ফলে আরও বেশি নতুন প্রাণশক্তির অব্যাহত জন্ম হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নের পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে ভালো, যা বিভিন্ন খাতে বিপুল উৎপাদন শক্তি জুগিয়েছে। বর্তমানে, চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত পেটেন্টের পরিমাণ বিশ্বের মোট পরিমাণের ৬০ শতাংশ।
একাধিক ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জের মুখে, চীনের সামষ্টিক নীতি আরও কার্যকরভাবে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। চীনের অর্থনীতি স্থিতিশীলভাবে চলতে থাকবে এবং বিশ্বে আরও বেশি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সূত্র:আকাশ-তৌহিদ-জিনিয়া,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।