ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খুলনায় এনসিপি শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ব Logo জলঢাকার বানপাড়া সুইচগেট এলাকা থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo ঝিনাইদহে অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল লীগের উদ্বোধন Logo টেকনাফে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারী আটক Logo নীলফামারীতে ভলিবল ও কাবাডি প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত Logo ‎বরুড়া পৌর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিন নিয়ে গেলো শিক্ষা অফিস Logo নীলফামারীতে শীতবস্ত্র ও রুম হিটার বিতরণ Logo কালীগঞ্জে বিএনপি সহ তিন দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ Logo সুনামগঞ্জে বিপুল পরিমান ভারতীয় জিরা এবং ফুসকা জব্দ Logo ওসমান হাদীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় ডিমলায় জামায়াত ইসলামীর দোয়া অনুষ্ঠান

বাজারফান্ড জমি বন্ধক রেখে ঋণ খুলে দেওয়ার দাবিতে পিসিসিপি’র স্মারকলিপি প্রদান

মো : নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার

বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করে দ্রুত জমি বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া খুলে দেওয়ার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক মো: হাবীব আজমের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দিয়েছে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলার নেতৃবৃন্দরা।

অদ্য ১৯ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পিসিসিপি’র নেতাকর্মীর উপস্থিত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার নিকট এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলার সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, রাঙামাটি পৌর শাখার সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে পিসিসিপি’র নেতাকর্মীরা বলেন,
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা—রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাজারফান্ড জমি মর্টগেজ (বন্ধক) দিয়ে ঋণ নিতে না পারায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা অর্থ সংকটে ভুগছেন। এতে ব্যবসার পরিধি ছোট হচ্ছে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না, বাড়ছে বেকারত্ব। একই সঙ্গে এখানকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে।

বাজারফান্ড এলাকায় ব্যবসা সংকোচন ও ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, শহরকেন্দ্রিক বাজারফান্ড জমির দাম বেশি হলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ব্যাংক ঋণ মিলছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হচ্ছেন মূলধন সংকটে পড়তে। অনেকে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছেন। নতুন উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিতে পারছেন না, কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে না।

“২০১৭ সালে রাঙামাটির তৎকালীন জেলা প্রশাসক প্রথমবার বাজারফান্ড এলাকার ভূমি রেজিস্ট্রির মিউটেশন মামলা স্থগিত করেন। তখন নানা দেন-দরবারের পর তা চালু হলেও ২০১৯ সালে আবার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা যতদিন অবসান না হবে, ততদিন পাহাড়ের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হতে থাকবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি), কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছে বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বের করতে হবে।

পিসিসিপি উক্ত জটিলতা নিরসনে বারবার পার্বত্য জেলা প্রশাসকদের আহ্বান করলেও বিষয়টি তারা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছে না, এতে করে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি পিসিসিপি বারবার হতাশ হচ্ছে। তাই দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া না হলে পিসিসিপি তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখবে বলে হুশিয়ারি দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় এনসিপি শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ব

SBN

SBN

বাজারফান্ড জমি বন্ধক রেখে ঋণ খুলে দেওয়ার দাবিতে পিসিসিপি’র স্মারকলিপি প্রদান

আপডেট সময় ১১:৪১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

মো : নাজমুল হোসেন ইমন, স্টাফ রিপোর্টার

বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসন করে দ্রুত জমি বন্ধক রেখে ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া খুলে দেওয়ার দাবিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েস ও সাধারণ সম্পাদক মো: হাবীব আজমের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর দিয়েছে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় ও রাঙামাটি জেলার নেতৃবৃন্দরা।

অদ্য ১৯ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পিসিসিপি’র নেতাকর্মীর উপস্থিত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার নিকট এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলার সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, রাঙামাটি পৌর শাখার সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে পিসিসিপি’র নেতাকর্মীরা বলেন,
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা—রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাজারফান্ড জমি মর্টগেজ (বন্ধক) দিয়ে ঋণ নিতে না পারায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা অর্থ সংকটে ভুগছেন। এতে ব্যবসার পরিধি ছোট হচ্ছে, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না, বাড়ছে বেকারত্ব। একই সঙ্গে এখানকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে।

বাজারফান্ড এলাকায় ব্যবসা সংকোচন ও ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, শহরকেন্দ্রিক বাজারফান্ড জমির দাম বেশি হলেও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ব্যাংক ঋণ মিলছে না। ফলে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হচ্ছেন মূলধন সংকটে পড়তে। অনেকে ইতোমধ্যে ব্যবসা গুটিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছেন। নতুন উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিতে পারছেন না, কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে না।

“২০১৭ সালে রাঙামাটির তৎকালীন জেলা প্রশাসক প্রথমবার বাজারফান্ড এলাকার ভূমি রেজিস্ট্রির মিউটেশন মামলা স্থগিত করেন। তখন নানা দেন-দরবারের পর তা চালু হলেও ২০১৯ সালে আবার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা যতদিন অবসান না হবে, ততদিন পাহাড়ের ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হতে থাকবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি), কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছে বাজারফান্ড জমি নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে এবং দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বের করতে হবে।

পিসিসিপি উক্ত জটিলতা নিরসনে বারবার পার্বত্য জেলা প্রশাসকদের আহ্বান করলেও বিষয়টি তারা নিরসনে দ্রুত উদ্যোগ নিচ্ছে না, এতে করে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি পিসিসিপি বারবার হতাশ হচ্ছে। তাই দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া না হলে পিসিসিপি তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করে রাখবে বলে হুশিয়ারি দেন।