ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo টেকনাফে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারী আটক Logo নীলফামারীতে ভলিবল ও কাবাডি প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত Logo ‎বরুড়া পৌর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিন নিয়ে গেলো শিক্ষা অফিস Logo নীলফামারীতে শীতবস্ত্র ও রুম হিটার বিতরণ Logo কালীগঞ্জে বিএনপি সহ তিন দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ Logo সুনামগঞ্জে বিপুল পরিমান ভারতীয় জিরা এবং ফুসকা জব্দ Logo ওসমান হাদীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় ডিমলায় জামায়াত ইসলামীর দোয়া অনুষ্ঠান Logo খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার ১৫২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প Logo চীনের অর্থনীতিতে পরিষেবা খাতের জয়যাত্রা Logo হাইনান বন্দর বিশ্ব বাণিজ্যকে এগিয়ে নেবে

মুরাদনগরে দানিক সমবায় সমিতিতে জমা অর্থ ফেরত পেতে গ্রাহকদের মানববন্ধন

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কুমিল্লা মুরাদনগরে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালকদের বিরুদ্ধে জমানো অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকসহ এলাকাবাসী।

বুধবার বিকেলে উপজেলার পরমতলা ইদ্রিসিয়া ফাজেল মাদ্রাসা মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী গ্রাহকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী গ্রাহক পরমতলা গ্রামের সোবহান মুন্সির ছেলে কালাম মুন্সি, চেরাগ আলীর ছেলে মোসলেম মুন্সি, আব্দুল রহমান মাস্টার মেয়ে মেসমাতুল মাওয়া, রোশমত আলী মুন্সির ছেলে হারুনুর রশিদ মুন্সি, আব্দুল মোনাফ মুন্সির ছেলে আবু তাহের, শামসুল হকের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, আব্দুল কাদের সরকারের ছেলে নজরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।

জানা যায়, গ্রাহকদের প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা। ২০১০ সালে মুরাদনগর উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতি যাত্রা শুরু করে।

এসময় বক্তারা বলেন, প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহক দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতিতে মাসিক ডি,পি,এস, এককালিন মুনাফা,পেনশন, ভিত্তিক,মুনাফা সহ দুইগুণ টাকা পাবো বলে ২-৩-৫-১০ বছরের মেয়াদে টাকা আমানত রাখে। দীর্ঘদিন ধরে সমবায় পরিচালক পরমতলা গ্রামের আব্দুল বারিক এর ছেলে এস এ কালাম, আব্দুল্লাহর ছেলে রুহুল আমিন খোকন, নওয়াব আলী সরকারের ছেলে মোসলেম উদ্দিন সরকার, আসমত আলী ভূঁইয়া ছেলে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও বশির আহমেদ মাস্টার হুট করে সমিতির কার্যালয় বন্ধ করে পালিয়ে যায়। সমবায় সমিতির নিবন্ধন খুলে উচ্চ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সমিতির পরিচালকরা। আমরাও অত্র সমিতির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে দানিক সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস.এ কালাম বলেন, দানিক সমবায় সমিতির কমিটির লোকজন বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নিপীড়ন ও মিথ্যা মামলার কারনে এলাকা ছারে। সমিতির বিপুল পরিমাণ টাকা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা রয়েছে। অনেক গ্রাহককে ইতিমধ্যে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করা হবে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুর রহমান বলেন, টাকা আত্মসাৎতের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টেকনাফে ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৬০ হাজার ইয়াবাসহ এক মাদক পাচারকারী আটক

SBN

SBN

মুরাদনগরে দানিক সমবায় সমিতিতে জমা অর্থ ফেরত পেতে গ্রাহকদের মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৭:১৩:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কুমিল্লা মুরাদনগরে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালকদের বিরুদ্ধে জমানো অর্থ আত্মসাৎতের অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী গ্রাহকসহ এলাকাবাসী।

বুধবার বিকেলে উপজেলার পরমতলা ইদ্রিসিয়া ফাজেল মাদ্রাসা মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভুক্তভোগী গ্রাহকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী গ্রাহক পরমতলা গ্রামের সোবহান মুন্সির ছেলে কালাম মুন্সি, চেরাগ আলীর ছেলে মোসলেম মুন্সি, আব্দুল রহমান মাস্টার মেয়ে মেসমাতুল মাওয়া, রোশমত আলী মুন্সির ছেলে হারুনুর রশিদ মুন্সি, আব্দুল মোনাফ মুন্সির ছেলে আবু তাহের, শামসুল হকের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, আব্দুল কাদের সরকারের ছেলে নজরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।

জানা যায়, গ্রাহকদের প্রায় ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতির চেয়ারম্যানসহ পরিচালকরা। ২০১০ সালে মুরাদনগর উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতি যাত্রা শুরু করে।

এসময় বক্তারা বলেন, প্রায় কয়েক হাজার গ্রাহক দানিক বহুমুখী সমবায় সমিতিতে মাসিক ডি,পি,এস, এককালিন মুনাফা,পেনশন, ভিত্তিক,মুনাফা সহ দুইগুণ টাকা পাবো বলে ২-৩-৫-১০ বছরের মেয়াদে টাকা আমানত রাখে। দীর্ঘদিন ধরে সমবায় পরিচালক পরমতলা গ্রামের আব্দুল বারিক এর ছেলে এস এ কালাম, আব্দুল্লাহর ছেলে রুহুল আমিন খোকন, নওয়াব আলী সরকারের ছেলে মোসলেম উদ্দিন সরকার, আসমত আলী ভূঁইয়া ছেলে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও বশির আহমেদ মাস্টার হুট করে সমিতির কার্যালয় বন্ধ করে পালিয়ে যায়। সমবায় সমিতির নিবন্ধন খুলে উচ্চ লাভের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় সমিতির পরিচালকরা। আমরাও অত্র সমিতির পরিচালনা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে দানিক সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস.এ কালাম বলেন, দানিক সমবায় সমিতির কমিটির লোকজন বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নিপীড়ন ও মিথ্যা মামলার কারনে এলাকা ছারে। সমিতির বিপুল পরিমাণ টাকা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করা রয়েছে। অনেক গ্রাহককে ইতিমধ্যে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করা হবে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুর রহমান বলেন, টাকা আত্মসাৎতের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।