ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগান-চীন টেকসই বন্ধুত্ব জোরদারে আগ্রহী কাবুল

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ১১:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ২০ আগস্ট (বুধবার) কাবুলে আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাতের সময় আখুন্দ, ওয়াং ই’কে চীনা নেতাদের প্রতি তাঁর আন্তরিক শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের প্রতি চীন সরকার এবং জনগণ ধারাবাহিক সদিচ্ছা এবং ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে আফগানিস্তানের পক্ষে কথা বলার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানায় আফগানিস্তান। চীন বিশ্বে ন্যায়বিচারের জন্য একটি শক্তি এবং সাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আফগানিস্তান এবং অন্যান্য সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীনের মতো আফগানিস্তানও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে এবং সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান এবং সহযোগিতায় জড়িত হতে ইচ্ছুক। আফগানিস্তান চীনের সাথে সহযোগিতা জোরদার এবং ইতিবাচক ও টেকসই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য উন্মুখ। দেশটি কখনই কোনও শক্তিকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে চীনকে হুমকি দেওয়ার অনুমতি দেবে না এবং সর্বদা চীনের পাশে থাকবে।

ওয়াং ই, আখুন্দকে চীনা নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, চীন এবং আফগানিস্তান হাজার বছর ধরে আদান-প্রদান এবং সর্বদা বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান করে আসছে। চীন ধারাবাহিকভাবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে, আফগান জনগণের পছন্দকে সম্মান করে, আফগানিস্তানের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মান করে, আফগানিস্তানের জাতীয় অবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ শাসন মডেলকে সম্মান করে এবং স্বাধীনতা বজায় রেখে উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জনে আফগানিস্তানকে সমর্থন করে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মানবজাতির জন্য অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিস্ট গড়ে তোলা প্রস্তাব করেছেন এবং ‘পাঁচটি গৃহস্থল’ তৈরি ও যৌথভাবে আধুনিকীকরণ বেগবান করার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আফগানিস্তানের এ প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া উচিত।

ওয়াং ই বলেন, চীন ধারাবাহিকভাবে ছোট বা বড় সকল দেশের জন্য সমতার পক্ষে কথা বলেছে এবং দুর্বলদের উপর শক্তিশালীদের নির্যাতন এবং ছোটদের উপর বড়দের নির্যাতনের বিরোধিতা করে। সকল দেশের একে অপরকে সমান বিবেচনা করা উচিত এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতা করা উচিত। আফগানিস্তানসহ প্রতিটি দেশের উন্নয়ন এবং পুনরুজ্জীবন অর্জনের অধিকার রয়েছে।

ওয়াং ই আরও বলেন, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী হিসেবে চীন ন্যায়বিচার বজায় রাখবে, একতরফা নির্যাতনের বিরোধিতা করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের সাথে সহযোগিতা করবে।
সূত্র: রুবি-হাশিম-সুবর্ণা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

আফগান-চীন টেকসই বন্ধুত্ব জোরদারে আগ্রহী কাবুল

আপডেট সময় ১১:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ২০ আগস্ট (বুধবার) কাবুলে আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হাসান আখুন্দের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাতের সময় আখুন্দ, ওয়াং ই’কে চীনা নেতাদের প্রতি তাঁর আন্তরিক শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের প্রতি চীন সরকার এবং জনগণ ধারাবাহিক সদিচ্ছা এবং ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে আফগানিস্তানের পক্ষে কথা বলার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানায় আফগানিস্তান। চীন বিশ্বে ন্যায়বিচারের জন্য একটি শক্তি এবং সাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আফগানিস্তান এবং অন্যান্য সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীনের মতো আফগানিস্তানও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে এবং সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান এবং সহযোগিতায় জড়িত হতে ইচ্ছুক। আফগানিস্তান চীনের সাথে সহযোগিতা জোরদার এবং ইতিবাচক ও টেকসই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য উন্মুখ। দেশটি কখনই কোনও শক্তিকে আফগান ভূখণ্ড ব্যবহার করে চীনকে হুমকি দেওয়ার অনুমতি দেবে না এবং সর্বদা চীনের পাশে থাকবে।

ওয়াং ই, আখুন্দকে চীনা নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, চীন এবং আফগানিস্তান হাজার বছর ধরে আদান-প্রদান এবং সর্বদা বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান করে আসছে। চীন ধারাবাহিকভাবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে, আফগান জনগণের পছন্দকে সম্মান করে, আফগানিস্তানের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সম্মান করে, আফগানিস্তানের জাতীয় অবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ শাসন মডেলকে সম্মান করে এবং স্বাধীনতা বজায় রেখে উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জনে আফগানিস্তানকে সমর্থন করে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং মানবজাতির জন্য অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিস্ট গড়ে তোলা প্রস্তাব করেছেন এবং ‘পাঁচটি গৃহস্থল’ তৈরি ও যৌথভাবে আধুনিকীকরণ বেগবান করার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আফগানিস্তানের এ প্রক্রিয়ায় অপরিহার্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া উচিত।

ওয়াং ই বলেন, চীন ধারাবাহিকভাবে ছোট বা বড় সকল দেশের জন্য সমতার পক্ষে কথা বলেছে এবং দুর্বলদের উপর শক্তিশালীদের নির্যাতন এবং ছোটদের উপর বড়দের নির্যাতনের বিরোধিতা করে। সকল দেশের একে অপরকে সমান বিবেচনা করা উচিত এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতা করা উচিত। আফগানিস্তানসহ প্রতিটি দেশের উন্নয়ন এবং পুনরুজ্জীবন অর্জনের অধিকার রয়েছে।

ওয়াং ই আরও বলেন, আফগানিস্তানের প্রতিবেশী হিসেবে চীন ন্যায়বিচার বজায় রাখবে, একতরফা নির্যাতনের বিরোধিতা করবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের সাথে সহযোগিতা করবে।
সূত্র: রুবি-হাশিম-সুবর্ণা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।