ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ‎বরুড়া পৌর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিন নিয়ে গেলো শিক্ষা অফিস Logo নীলফামারীতে শীতবস্ত্র ও রুম হিটার বিতরণ Logo কালীগঞ্জে বিএনপি সহ তিন দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ Logo সুনামগঞ্জে বিপুল পরিমান ভারতীয় জিরা এবং ফুসকা জব্দ Logo ওসমান হাদীর আত্মার মাগফিরাত কামনায় ডিমলায় জামায়াত ইসলামীর দোয়া অনুষ্ঠান Logo খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লার ১৫২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প Logo চীনের অর্থনীতিতে পরিষেবা খাতের জয়যাত্রা Logo হাইনান বন্দর বিশ্ব বাণিজ্যকে এগিয়ে নেবে Logo সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত Logo পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাতে হত্যা, স্বামী পলাতক

শহীদ মিনারে জুতা পায়ের ছবি নিজেই পোস্ট দিলেন প্রধান শিক্ষক

শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে প্রধান শিক্ষক
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দিতে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠে পড়লেন প্রধান শিক্ষক। একই সঙ্গে ওঠেন তিনজন সহকারী শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের পায়ে জুতা, সহকারী শিক্ষকদের পায়ে জুতা নেই। এমনই একটি ছবি ভাসছে ফেসবুকে। যা নিয়ে চলছে সমালোচনা। তবে, প্রধান শিক্ষক তার পায়ের সমস্যাজনিত কারণে জুতা খোলেননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। জুতা পায়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন বিদ্যালয়ের তিনজন সহকারী শিক্ষক। এসময় পায়ের জুতা না খুলেই শহীদ বেদিতে ওঠে পড়েন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সেই ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এরপরই জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়ার ছবিটি ফেসবুকে ভাসতে থাকে। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভাইরাল শিক্ষক নজরুল ইসলাম।

মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী কবির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম আমারও শিক্ষক। উনার ফেসবুকে পায়ের অর্ধেক পর্যন্ত ছবি দেখেছি। কিন্তু বেশ কিছু আইডিতে পুরে পায়ের ছবি দেখা গেছে। তিনি জুতা পায়েই বেদিতে ওঠেছেন এবং জুতা পরেই ফুল দিচ্ছেন দেখা যায়। এটা ঠিক নয়। তিনি যত বড় মানুষই হন, জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠে তিনি ভাষা শহীদদের অপমান করেছেন।

জহিরুল ইসলাম নামের ২০০৯ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফেসবুকে ছবিটি দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেন তাহলে আমাদের আর বলার ভাষা থাকে না।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

‎বরুড়া পৌর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অবশিষ্ট টিন নিয়ে গেলো শিক্ষা অফিস

SBN

SBN

শহীদ মিনারে জুতা পায়ের ছবি নিজেই পোস্ট দিলেন প্রধান শিক্ষক

আপডেট সময় ০৪:৫০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে প্রধান শিক্ষক
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দিতে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠে পড়লেন প্রধান শিক্ষক। একই সঙ্গে ওঠেন তিনজন সহকারী শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের পায়ে জুতা, সহকারী শিক্ষকদের পায়ে জুতা নেই। এমনই একটি ছবি ভাসছে ফেসবুকে। যা নিয়ে চলছে সমালোচনা। তবে, প্রধান শিক্ষক তার পায়ের সমস্যাজনিত কারণে জুতা খোলেননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। জুতা পায়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন বিদ্যালয়ের তিনজন সহকারী শিক্ষক। এসময় পায়ের জুতা না খুলেই শহীদ বেদিতে ওঠে পড়েন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সেই ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এরপরই জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়ার ছবিটি ফেসবুকে ভাসতে থাকে। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভাইরাল শিক্ষক নজরুল ইসলাম।

মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী কবির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম আমারও শিক্ষক। উনার ফেসবুকে পায়ের অর্ধেক পর্যন্ত ছবি দেখেছি। কিন্তু বেশ কিছু আইডিতে পুরে পায়ের ছবি দেখা গেছে। তিনি জুতা পায়েই বেদিতে ওঠেছেন এবং জুতা পরেই ফুল দিচ্ছেন দেখা যায়। এটা ঠিক নয়। তিনি যত বড় মানুষই হন, জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠে তিনি ভাষা শহীদদের অপমান করেছেন।

জহিরুল ইসলাম নামের ২০০৯ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফেসবুকে ছবিটি দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেন তাহলে আমাদের আর বলার ভাষা থাকে না।