ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মাতৃত্ব নয় বরং মাকে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মহিমান্বিত করুন : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী Logo ৮ বছরে ও সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি কোরপাই মনঘাটা-আবিদপুর সড়কে Logo আওয়ামীলীগ পালিয়েছে বলায় বিএনপির ৪কর্মীকে কুপিয়ে জখম Logo সেন্টমার্টিনে কোস্ট গার্ডের সপ্তাহ ব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ Logo হিজলায় ড্রেজার বাল্কহেড ও নগদ টাকা সহ ৬ দুষ্কৃতিকারীকে আটক Logo নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ চিংড়ির রেণু জব্দ Logo লাকসাম প্রেসক্লাবে বদিউল আলম সভাপতি. ফারুক আল শারাহ সম্পাদক নির্বাচিত Logo আস-সুন্নাহ’র ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শেরপুরে ঘর প্রদান Logo নতুন গানে আকাশের সঙ্গী অন্তরা Logo ইউএসবি স্পেসালাইজড হাসপাতালের পরিচালক প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহন করলেন মানবিক ডাক্তার রেজাউল হক জুয়েল

শহীদ মিনারে জুতা পায়ের ছবি নিজেই পোস্ট দিলেন প্রধান শিক্ষক

শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে প্রধান শিক্ষক
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দিতে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠে পড়লেন প্রধান শিক্ষক। একই সঙ্গে ওঠেন তিনজন সহকারী শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের পায়ে জুতা, সহকারী শিক্ষকদের পায়ে জুতা নেই। এমনই একটি ছবি ভাসছে ফেসবুকে। যা নিয়ে চলছে সমালোচনা। তবে, প্রধান শিক্ষক তার পায়ের সমস্যাজনিত কারণে জুতা খোলেননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। জুতা পায়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন বিদ্যালয়ের তিনজন সহকারী শিক্ষক। এসময় পায়ের জুতা না খুলেই শহীদ বেদিতে ওঠে পড়েন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সেই ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এরপরই জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়ার ছবিটি ফেসবুকে ভাসতে থাকে। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভাইরাল শিক্ষক নজরুল ইসলাম।

মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী কবির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম আমারও শিক্ষক। উনার ফেসবুকে পায়ের অর্ধেক পর্যন্ত ছবি দেখেছি। কিন্তু বেশ কিছু আইডিতে পুরে পায়ের ছবি দেখা গেছে। তিনি জুতা পায়েই বেদিতে ওঠেছেন এবং জুতা পরেই ফুল দিচ্ছেন দেখা যায়। এটা ঠিক নয়। তিনি যত বড় মানুষই হন, জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠে তিনি ভাষা শহীদদের অপমান করেছেন।

জহিরুল ইসলাম নামের ২০০৯ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফেসবুকে ছবিটি দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেন তাহলে আমাদের আর বলার ভাষা থাকে না।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাতৃত্ব নয় বরং মাকে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মহিমান্বিত করুন : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী

SBN

SBN

শহীদ মিনারে জুতা পায়ের ছবি নিজেই পোস্ট দিলেন প্রধান শিক্ষক

আপডেট সময় ০৪:৫০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শহীদ বেদিতে জুতা পায়ে প্রধান শিক্ষক
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দিতে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে জুতা পায়ে ওঠে পড়লেন প্রধান শিক্ষক। একই সঙ্গে ওঠেন তিনজন সহকারী শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের পায়ে জুতা, সহকারী শিক্ষকদের পায়ে জুতা নেই। এমনই একটি ছবি ভাসছে ফেসবুকে। যা নিয়ে চলছে সমালোচনা। তবে, প্রধান শিক্ষক তার পায়ের সমস্যাজনিত কারণে জুতা খোলেননি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। জুতা পায়ে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন বিদ্যালয়ের তিনজন সহকারী শিক্ষক। এসময় পায়ের জুতা না খুলেই শহীদ বেদিতে ওঠে পড়েন প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। সেই ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এরপরই জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ফুল দেওয়ার ছবিটি ফেসবুকে ভাসতে থাকে। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভাইরাল শিক্ষক নজরুল ইসলাম।

মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী কবির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম আমারও শিক্ষক। উনার ফেসবুকে পায়ের অর্ধেক পর্যন্ত ছবি দেখেছি। কিন্তু বেশ কিছু আইডিতে পুরে পায়ের ছবি দেখা গেছে। তিনি জুতা পায়েই বেদিতে ওঠেছেন এবং জুতা পরেই ফুল দিচ্ছেন দেখা যায়। এটা ঠিক নয়। তিনি যত বড় মানুষই হন, জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে ওঠে তিনি ভাষা শহীদদের অপমান করেছেন।

জহিরুল ইসলাম নামের ২০০৯ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ফেসবুকে ছবিটি দেখে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি যদি এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেন তাহলে আমাদের আর বলার ভাষা থাকে না।