ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের স্টোরে নষ্ট আড়াই কোটি টাকার ওষুধ Logo দুই ছাত্রীকে অপহরণ,নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ নারী-পুরুষ গ্রেফতার Logo রূপসায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন Logo কালীগঞ্জে ইয়াবা ও গাজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo বিএসসি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সমর্থনে ঢাবি শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন Logo বেইজিংয়ে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকীতে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান Logo ন্যায়, শান্তি ও বিজয়ের বার্তা নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান Logo কুচকাওয়াজ ও যুদ্ধবিমানের শট দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেছে সিএমজি’র অনুষ্ঠান Logo একতরফাবাদ নয়, অভিন্ন উন্নয়নের ডাক দিল সি চিন পিং

বরগুনায় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সহ ১২ আইনজীবী কারাগারে

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আওয়ামীপন্থী ১২ জন আইনজীবীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এই ১২ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বরগুনা বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাইফুল রহমান।

কারাগারে প্রেরিত আইনজীবীরা হলেন—বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম, এয়াডভোকেট মজিবর রহমান, বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, এ্যাডভোকোট মো. নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের নেতা ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু, এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির পল্টু, যুবলীগ নেতা এ্যাডভোকেট জুনায়েদ হোসেন জুয়েল, এ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন, এ্যাডভোকেট ইমরান হোসাইন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সাইমুল ইসলাম রাব্বি, এ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জুয়েল এবং এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নঈমুল ইসলাম ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল বরগুনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, সাবেক এমপি গোলাম সরোয়ার টুকু ও শওকত হাসানুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিএনপির বরগুনা জেলা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে প্রায় ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
মামলার পর ১২ আসামি চলতি বছরের ২ জুলাই হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন এবং ২১ জুলাই বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিননামা দাখিল করেন।

জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২৪ জুলাই তারা পুনরায় জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট নুরুল আমীন।

তিনি বলেন, মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা হলেও এটি জামিনযোগ্য।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আবদুল মোতালেব মিয়া ও এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা পুনরায় জামিন আবেদন করব। আসামিরা সবাই নিয়মিত আদালতে কর্মরত আইনজীবী। তারা পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া, মামলাটি দুই বছর আগের একটি রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে করা হয়েছে এবং আসামিদের অনেকেই আওয়ামী লীগের সদস্য নন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের স্টোরে নষ্ট আড়াই কোটি টাকার ওষুধ

SBN

SBN

বরগুনায় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সহ ১২ আইনজীবী কারাগারে

আপডেট সময় ০২:৪১:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)

বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আওয়ামীপন্থী ১২ জন আইনজীবীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এই ১২ জন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বরগুনা বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সাইফুল রহমান।

কারাগারে প্রেরিত আইনজীবীরা হলেন—বরগুনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম, এয়াডভোকেট মজিবর রহমান, বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, এ্যাডভোকোট মো. নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের নেতা ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু, এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির পল্টু, যুবলীগ নেতা এ্যাডভোকেট জুনায়েদ হোসেন জুয়েল, এ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন, এ্যাডভোকেট ইমরান হোসাইন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সাইমুল ইসলাম রাব্বি, এ্যাডভোকেট আবদুর রহমান জুয়েল এবং এ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম মিলন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম নজরুল ইসলামের ছেলে এসএম নঈমুল ইসলাম ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল বরগুনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবীর, সাবেক এমপি গোলাম সরোয়ার টুকু ও শওকত হাসানুর রহমান রিমনের নেতৃত্বে ১৫৮ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বিএনপির বরগুনা জেলা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে প্রায় ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে মামলায় দাবি করা হয়েছে।
মামলার পর ১২ আসামি চলতি বছরের ২ জুলাই হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন এবং ২১ জুলাই বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিননামা দাখিল করেন।

জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২৪ জুলাই তারা পুনরায় জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট নুরুল আমীন।

তিনি বলেন, মামলাটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা হলেও এটি জামিনযোগ্য।
আসামিপক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট আবদুল মোতালেব মিয়া ও এ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা পুনরায় জামিন আবেদন করব। আসামিরা সবাই নিয়মিত আদালতে কর্মরত আইনজীবী। তারা পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া, মামলাটি দুই বছর আগের একটি রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে করা হয়েছে এবং আসামিদের অনেকেই আওয়ামী লীগের সদস্য নন।