ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নওগাঁয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo উচ্চমানের উন্মুক্ততা ও বৈশ্বিক সহযোগিতায় চীনের প্রতিশ্রুতি Logo জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের সংগ্রামচিত্র : ৭৩১ Logo লুব্লিয়ানায় স্লোভেনিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওয়াং ই’র বৈঠক Logo মার্কিন চিপের বিরুদ্ধে চীনের তদন্তকে সমর্থন করল সিএসআইএ Logo বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ’ বিশ্বজুড়ে সমর্থনের কেন্দ্রবিন্দু Logo গাইবান্ধায় প্রস্তাবিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন Logo চান্দিনায় যুবদল নেতার নিয়ন্ত্রণে চলে ড্রেজার Logo ফাঁদসহ ১০৩ কেজি হরিণের মাংস, মাথা উদ্ধার : আটক -১ Logo ঢাকা ওয়াসায় স্বৈরাচারের দোসররা ধরা ছোয়ার বাইরে

বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ’ বিশ্বজুড়ে সমর্থনের কেন্দ্রবিন্দু

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৭:১২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, ‘বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ’ একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগ ডেটা বিশ্লেষণ অনুসারে, পয়লা সেপ্টেম্বর শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) থিয়েনচিন শীর্ষসম্মেলনে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এই উদ্যোগটি উত্থাপন করার পরই, বিশ্বব্যাপী এই টার্মটির অনুসন্ধান শীর্ষে পৌঁছে এবং তার পর থেকে এটি মানুষের উচ্চ মনোযোগ ধরে রেখেছে।

বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ অনুসারে, আকার, শক্তি, দারিদ্র্য বা সম্পদ নির্বিশেষে, সকল দেশের আন্তর্জাতিক বিষয়ে সমানভাবে অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। বিশ্লেষকরা উল্লেখ করছেন, বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগটি বর্তমানের ক্রমবর্ধমান প্রশাসন ঘাটতির গুরুতর চ্যালেঞ্জকে সরাসরি মোকাবিলা করে এবং ব্যাপক ও পদ্ধতিগত সমাধানের প্রস্তাব দেয়। এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ এবং আজকের বিশ্বের জরুরি চাহিদা পূরণ করে।

বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগে ‘সার্বভৌম সমতা সমুন্নত রাখা’, ‘আন্তর্জাতিক আইনের শাসন মেনে চলা’ এবং ‘বহুপাক্ষিকতা অনুশীলন’সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারণা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের কণ্ঠস্বরকে আরও বুলন্দ করবে।

রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউটের চীন ও আধুনিক এশিয়া গবেষণালয়ের বিশেষজ্ঞ একাতেরিনা জাকলিয়াজমিনস্কায়া বলেন, বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ বেশিরভাগ দেশের আরও ন্যায়সঙ্গত বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষার প্রতি সাড়া দেয়, যা বিশ্বব্যাপী সাউথের কাছে এর আবেদনের কেন্দ্রবিন্দুতে। ইরানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের মানুষ আর দর্শক নয়, বরং ভবিষ্যত গঠনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।

বস্তুত, বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগের লক্ষ্য হলো সকল দেশের মানুষের উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা এবং যৌথভাবে এমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলা যেখানে সকলেই সমৃদ্ধি ও কল্যাণ উপভোগ করতে পারবে। এই মূল্যবোধ সকল দেশের জনগণের জন্য আত্মবিশ্বাস ও স্থিতিশীল প্রত্যাশা প্রদান করে এবং এটি ব্যাপক সমর্থন লাভ ও কার্যকরভাবে পরিচালিত হতে বাধ্য। সূত্র:ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নওগাঁয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

SBN

SBN

বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ’ বিশ্বজুড়ে সমর্থনের কেন্দ্রবিন্দু

আপডেট সময় ০৭:১২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, ‘বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ’ একটি আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগ ডেটা বিশ্লেষণ অনুসারে, পয়লা সেপ্টেম্বর শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) থিয়েনচিন শীর্ষসম্মেলনে, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এই উদ্যোগটি উত্থাপন করার পরই, বিশ্বব্যাপী এই টার্মটির অনুসন্ধান শীর্ষে পৌঁছে এবং তার পর থেকে এটি মানুষের উচ্চ মনোযোগ ধরে রেখেছে।

বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ অনুসারে, আকার, শক্তি, দারিদ্র্য বা সম্পদ নির্বিশেষে, সকল দেশের আন্তর্জাতিক বিষয়ে সমানভাবে অংশগ্রহণের অধিকার রয়েছে। বিশ্লেষকরা উল্লেখ করছেন, বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগটি বর্তমানের ক্রমবর্ধমান প্রশাসন ঘাটতির গুরুতর চ্যালেঞ্জকে সরাসরি মোকাবিলা করে এবং ব্যাপক ও পদ্ধতিগত সমাধানের প্রস্তাব দেয়। এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ এবং আজকের বিশ্বের জরুরি চাহিদা পূরণ করে।

বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগে ‘সার্বভৌম সমতা সমুন্নত রাখা’, ‘আন্তর্জাতিক আইনের শাসন মেনে চলা’ এবং ‘বহুপাক্ষিকতা অনুশীলন’সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধারণা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের কণ্ঠস্বরকে আরও বুলন্দ করবে।

রাশিয়ান একাডেমি অফ সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউটের চীন ও আধুনিক এশিয়া গবেষণালয়ের বিশেষজ্ঞ একাতেরিনা জাকলিয়াজমিনস্কায়া বলেন, বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগ বেশিরভাগ দেশের আরও ন্যায়সঙ্গত বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষার প্রতি সাড়া দেয়, যা বিশ্বব্যাপী সাউথের কাছে এর আবেদনের কেন্দ্রবিন্দুতে। ইরানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের মানুষ আর দর্শক নয়, বরং ভবিষ্যত গঠনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।

বস্তুত, বৈশ্বিক প্রশাসন উদ্যোগের লক্ষ্য হলো সকল দেশের মানুষের উন্নত জীবনের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করা এবং যৌথভাবে এমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলা যেখানে সকলেই সমৃদ্ধি ও কল্যাণ উপভোগ করতে পারবে। এই মূল্যবোধ সকল দেশের জনগণের জন্য আত্মবিশ্বাস ও স্থিতিশীল প্রত্যাশা প্রদান করে এবং এটি ব্যাপক সমর্থন লাভ ও কার্যকরভাবে পরিচালিত হতে বাধ্য। সূত্র:ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।