ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনা স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান, বৈঠকে আশাবাদী হ্য লিফেং Logo চীনের জনকল্যাণমূলক অবদানকে স্বাগত জানাল বিশ্ব Logo ৩০ কোটির বেশি ক্রেতা, হাইনানে শুল্কমুক্ত পণ্যে রেকর্ড বিক্রি Logo বুড়িচংয়ে ট্রাক চাপায় প্রবাস ফেরত যুবক নিহত Logo ‎বরুড়া শাকপুরে এলজিআরডি’র সড়ক ভেঙ্গে দিলো প্রভাবশালী পরিবার Logo বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে চীন-যুক্তরাষ্ট্র টিকটক সমস্যায় ঐক্যমতে Logo বৈশ্বিক অস্ত্র বিস্তার রোধে পারমাণবিক শাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করার আহ্বান Logo অনুষ্ঠানস্থলেই বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রিংকুর মৃত্যুর Logo ঝিনাইদহে ৬ লেন রাস্তা তৈরীতে ক্ষতিগ্রস্থদের জমির ন্যায্য মুল্যের দাবি Logo বিভিন্ন আযোজন এর মধ্যে দিয়ে কালীগঞ্জে বিশ্ব কর্ম পুজা পালিত

২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত..

পলাশবাড়ীতে রাধা গোবিন্দ-কালী মন্দিরে দেশের সবচেয়ে বড় শিব বিগ্রহ স্থাপন

মোঃ আল আমিন, বিশেষ প্রতিনিধি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মধ্যরামচন্দ্রপুর (নয়াপাড়া) গ্রামে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালী মন্দির। বিশাল এ মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ৩০ ফুট উচ্চতার শিব বিগ্রহসহ ১৪৪টি দেব-দেবীর প্রতিমা। নান্দনিক কারুকাজে সজ্জিত এই মন্দির ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশের ভক্ত ও দর্শনার্থীদের কাছে এক জনপ্রিয় তীর্থস্থান ও মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

মন্দিরে প্রবেশের শুরুতেই চোখে পড়বে খালের ওপর আধুনিক নকশার সেতু ও আকর্ষণীয় প্রবেশদ্বার। ভেতরে প্রবেশ করলেই দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে বিশাল শিব বিগ্রহ। শুধু শিব নয়, কৃষ্ণ, দেবী কালী, লোকনাথ বাবা, শিব-পার্বতী, রাধা-কৃষ্ণসহ অসংখ্য প্রতিমা এখানে শোভা পাচ্ছে। প্রতিমা নির্মাণ কাজ এখনো চলমান রয়েছে।

মন্দির চত্বরজুড়ে রয়েছে হরিনাম কীর্তনের স্থান, রঙিন ফুলের বাগান, আধুনিক কারুকাজ, শিশুদের জন্য সুইমিং পুল ও খোলা পরিবেশে বিনোদনের ব্যবস্থা। বিশেষ আকর্ষণ কালী মন্দিরের সিঁড়িতে ব্যতিক্রমী ঝর্ণাধারা। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে পানির ঝর্ণায় ভিজে ভক্তরা পৌঁছে যাচ্ছেন দেবতার সান্নিধ্যে।

প্রতিদিন হাজারো মানুষ মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় করছেন। সবার জন্য রয়েছে প্রসাদের বিশেষ ব্যবস্থা। সারাদিন ধরে শত শত ভক্তকে একসঙ্গে প্রসাদ গ্রহণ করতে দেখা যায়, যা এক অনন্য দৃশ্য।

দর্শনার্থী নওগাঁর সঞ্জয় কর্মকার বলেন, “এখানে এসেই মন ভরে গেছে। প্রতিমাগুলো এত সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে যে কেউ দেখলে মুগ্ধ হবে। এটা নিঃসন্দেহে এক তীর্থস্থান।”
আরেক দর্শনার্থী ময়না রায় জানান, “মন্দিরটি দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো লাগে বারবার মাইকে বলা হচ্ছে—‘প্রসাদ না নিয়ে কোনো ভক্তবৃন্দ যাবেন না।’”

মন্দির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী হরিদাস বাবু জানান, শুধু উপাসনালয় নয়, এখানে তৈরি করা হবে বৃদ্ধাশ্রম, আবাসিক ব্যবস্থা, ধর্মীয় শিক্ষালয় ও মেডিকেল কলেজ। এতে মন্দির ধর্মীয় উপাসনার পাশাপাশি সামাজিক কেন্দ্রবিন্দুতেও পরিণত হবে।

তিনি আরও জানান, নিজের জীবনের সব আয় ব্যয় করে সমাজ ও ধর্মের জন্য কিছু রেখে যেতে চান বলেই এমন মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন। ২১৭ শতক জমির ওপর সাত মাস আগে শুরু হওয়া এই বিশাল মন্দির সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত অর্থায়নেই নির্মিত হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনা স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান, বৈঠকে আশাবাদী হ্য লিফেং

SBN

SBN

২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত..

পলাশবাড়ীতে রাধা গোবিন্দ-কালী মন্দিরে দেশের সবচেয়ে বড় শিব বিগ্রহ স্থাপন

আপডেট সময় ০৫:১৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোঃ আল আমিন, বিশেষ প্রতিনিধি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মধ্যরামচন্দ্রপুর (নয়াপাড়া) গ্রামে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও কালী মন্দির। বিশাল এ মন্দিরে স্থাপন করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় ৩০ ফুট উচ্চতার শিব বিগ্রহসহ ১৪৪টি দেব-দেবীর প্রতিমা। নান্দনিক কারুকাজে সজ্জিত এই মন্দির ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশের ভক্ত ও দর্শনার্থীদের কাছে এক জনপ্রিয় তীর্থস্থান ও মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।

মন্দিরে প্রবেশের শুরুতেই চোখে পড়বে খালের ওপর আধুনিক নকশার সেতু ও আকর্ষণীয় প্রবেশদ্বার। ভেতরে প্রবেশ করলেই দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে বিশাল শিব বিগ্রহ। শুধু শিব নয়, কৃষ্ণ, দেবী কালী, লোকনাথ বাবা, শিব-পার্বতী, রাধা-কৃষ্ণসহ অসংখ্য প্রতিমা এখানে শোভা পাচ্ছে। প্রতিমা নির্মাণ কাজ এখনো চলমান রয়েছে।

মন্দির চত্বরজুড়ে রয়েছে হরিনাম কীর্তনের স্থান, রঙিন ফুলের বাগান, আধুনিক কারুকাজ, শিশুদের জন্য সুইমিং পুল ও খোলা পরিবেশে বিনোদনের ব্যবস্থা। বিশেষ আকর্ষণ কালী মন্দিরের সিঁড়িতে ব্যতিক্রমী ঝর্ণাধারা। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে উঠতে পানির ঝর্ণায় ভিজে ভক্তরা পৌঁছে যাচ্ছেন দেবতার সান্নিধ্যে।

প্রতিদিন হাজারো মানুষ মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় করছেন। সবার জন্য রয়েছে প্রসাদের বিশেষ ব্যবস্থা। সারাদিন ধরে শত শত ভক্তকে একসঙ্গে প্রসাদ গ্রহণ করতে দেখা যায়, যা এক অনন্য দৃশ্য।

দর্শনার্থী নওগাঁর সঞ্জয় কর্মকার বলেন, “এখানে এসেই মন ভরে গেছে। প্রতিমাগুলো এত সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে যে কেউ দেখলে মুগ্ধ হবে। এটা নিঃসন্দেহে এক তীর্থস্থান।”
আরেক দর্শনার্থী ময়না রায় জানান, “মন্দিরটি দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো লাগে বারবার মাইকে বলা হচ্ছে—‘প্রসাদ না নিয়ে কোনো ভক্তবৃন্দ যাবেন না।’”

মন্দির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী হরিদাস বাবু জানান, শুধু উপাসনালয় নয়, এখানে তৈরি করা হবে বৃদ্ধাশ্রম, আবাসিক ব্যবস্থা, ধর্মীয় শিক্ষালয় ও মেডিকেল কলেজ। এতে মন্দির ধর্মীয় উপাসনার পাশাপাশি সামাজিক কেন্দ্রবিন্দুতেও পরিণত হবে।

তিনি আরও জানান, নিজের জীবনের সব আয় ব্যয় করে সমাজ ও ধর্মের জন্য কিছু রেখে যেতে চান বলেই এমন মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন। ২১৭ শতক জমির ওপর সাত মাস আগে শুরু হওয়া এই বিশাল মন্দির সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত অর্থায়নেই নির্মিত হচ্ছে।