
জাতিসংঘে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং কর্তৃক ঘোষিত ‘গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভ’। সোমবার আয়োজিত এক ফোরামের আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বিষয়টি।
জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা চীনের এই নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ফু ছোং বলেন, দুটি বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে আট দশক আগে জাতিসংঘের জন্ম হয়েছিল। আজ বিশ্ব ‘অস্থিরতা এবং রূপান্তরের একটি সংকটময় সময়’ পার করছে। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক শাসনের উন্নতি ও শক্তিশালীকরণ এখন এক অপ্রতিরোধ্য প্রবণতা এবং জনগণের আহ্বান।
ফু ছোং আরও বলেন, গ্লোবাল সাউথ-এর উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থা সেকেলে হয়ে পড়েছে। তিনি প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং-এর এই উদ্যোগকে ‘বিশ্বের প্রতি চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনকল্যাণমূলক অবদান’ হিসেবে আখ্যা দেন।
ফু ছোং জোর দিয়ে বলেন, এই উদ্যোগের পাঁচটি মূল নীতি জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে এবং এটি জাতিসংঘ ও বহুপাক্ষিকতার প্রতি চীনের দৃঢ় সমর্থন প্রমাণ করে। তিনি জানান, চীন এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করবে এবং একটি ‘আরও ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার’ প্রসারে ভূমিকা রাখবে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল লি চুনহুয়া সতর্ক করে বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার দিকে অগ্রগতি ‘উদ্বেগজনকভাবে পথচ্যুত’ হয়েছে। তিনি বহুপাক্ষিকতাকে সমর্থন করার জন্য চীনের এই উদ্যোগকে ‘যথোপযুক্ত অবদান’ হিসেবে প্রশংসা করেন।
জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা কার্যালয়ের পরিচালক দিমা আল-খাতিব বলেন, দারিদ্র্য হ্রাস, কানেক্টিভিটি এবং সবুজ উন্নয়নে চীনের অভিজ্ঞতা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উপকৃত করেছে। তিনি গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভকে ‘আরেকটি আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেন।
এই অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট-এর পরিচালক জেফরি স্যাকস, সিঙ্গাপুরের গবেষক কিশোর মাহবুবানি এবং ফ্লাইং টাইগার্সের কমান্ডার জেনারেল ক্লেয়ার লি চেনল্টের নাতনি নেল ক্যালোওয়ে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও নিকারাগুয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া, কাতার এবং মরক্কোর কূটনীতিকরা এই ফোরামে অংশ নেন।
সূত্র :শুভ-ফয়সল,সিনহুয়া।