ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo খুলনায় পুত্রের হাতে পিতা খুন Logo দশম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষক উদাও Logo অনলাইন ছুটি সিস্টেম এবং লোকেশন ট্র্যাকিং চালু প্রয়োজন Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব Logo পলাশবাড়ীতে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার Logo মহেশখালীতে ২ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৩ কুখ্যাত সন্ত্রাসী আটক Logo বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার Logo মানবাধিকার পরিষদে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে চীন Logo চীন প্রতিষ্ঠার বার্ষিকীতে প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা Logo জাতিসংঘভিত্তিক শান্তি ও উন্নয়ন স্বপ্ন বাস্তবায়নে বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি

কুমিল্লায় ১০ মাজারে পুলিশ মোতায়েন

ফয়সাল মবিন পলাশ:

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় থাকা ১০টি মাজারের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আছাদপুর গ্রামে মাজারে হামলা ও বাড়িতে আগুনের ঘটনার পর এই নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এসব দুপুরে মাজারে পুলিশ সদস্যদের পাহারায় থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া সেনাবাহিনীও টহল দিচ্ছে।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো মাজারে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে, সে জন্য আছাদপুরের কফিল উদ্দিন শাহর মাজার, হাওয়ালী শাহ (বাবুল), আবদু শাহর এবং পঞ্চবটির সোলেমান শাহর মাজারসহ উপজেলার ১০টি মাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

এর আগে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি আইডি থেকে মহানবি হযরত মুহাম্মদকে (সা.) কটূক্তি করে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এতে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পুলিশ মহসিনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

ওই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম মহসীনের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হোমনা থানায় মামলা করেন। 

পরেরদিন সকালে উত্তেজিত জনতা জড়ো হন। এ সময় হাত মাইকে মাজার ও বাড়িতে হামলার ঘোষণা দেন। তারা প্রথমে মহসিনের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। পরে সেখানে থাকা কফিল উদ্দিন শাহর মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সবশেষ মাজারের চত্বরে থাকা তিনটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। এতে সেখানে থাকা একটি মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

এরপর হামলাকারীরা মিছিল নিয়ে গ্রামের আবদু শাহর মাজার, কালাই (কানু) শাহর মাজার এবং হাওয়ালি শাহর মাজারে ভাঙচুর করে। হাওয়ালি শাহর মাজার চত্বরেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন ও হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় কারো ইন্ধন আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় পুত্রের হাতে পিতা খুন

SBN

SBN

কুমিল্লায় ১০ মাজারে পুলিশ মোতায়েন

আপডেট সময় ০৭:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফয়সাল মবিন পলাশ:

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় থাকা ১০টি মাজারের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আছাদপুর গ্রামে মাজারে হামলা ও বাড়িতে আগুনের ঘটনার পর এই নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এসব দুপুরে মাজারে পুলিশ সদস্যদের পাহারায় থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া সেনাবাহিনীও টহল দিচ্ছে।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো মাজারে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে, সে জন্য আছাদপুরের কফিল উদ্দিন শাহর মাজার, হাওয়ালী শাহ (বাবুল), আবদু শাহর এবং পঞ্চবটির সোলেমান শাহর মাজারসহ উপজেলার ১০টি মাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

এর আগে, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ‘বেমজা মহসিন’ নামের একটি আইডি থেকে মহানবি হযরত মুহাম্মদকে (সা.) কটূক্তি করে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। এতে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পুলিশ মহসিনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

ওই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী যুব সেনা হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম মহসীনের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হোমনা থানায় মামলা করেন। 

পরেরদিন সকালে উত্তেজিত জনতা জড়ো হন। এ সময় হাত মাইকে মাজার ও বাড়িতে হামলার ঘোষণা দেন। তারা প্রথমে মহসিনের বসতবাড়িতে হামলা চালায়। পরে সেখানে থাকা কফিল উদ্দিন শাহর মাজারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সবশেষ মাজারের চত্বরে থাকা তিনটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে হামলাকারীরা। এতে সেখানে থাকা একটি মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

এরপর হামলাকারীরা মিছিল নিয়ে গ্রামের আবদু শাহর মাজার, কালাই (কানু) শাহর মাজার এবং হাওয়ালি শাহর মাজারে ভাঙচুর করে। হাওয়ালি শাহর মাজার চত্বরেও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। 
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন ও হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় কারো ইন্ধন আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।