ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরগঞ্জে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে টাকার লেনদেনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ আল আমিন, বিশেষ প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শিবরাম আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ ফরিদা পারভীনের বিরুদ্ধে টাকার লেনদেনসহ নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

পশ্চিম বাছহালি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মেহেদী হাসান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট দেওয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রধান শিক্ষিকা একের পর এক অনিয়ম করে আসছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়—নির্দিষ্ট সময়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখা হয় না, শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি আত্মসাৎ, অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও লুটপাট, নৈশ প্রহরীর অনুপস্থিতির পরও বেতন উত্তোলন, ভর্তি ও ফরম পূরণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আদায়।
এছাড়া অভিযোগে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি সন্তোষজনক নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ ফরিদা পারভীন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “এসব ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক। আমাকে হয়রানি করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।” তিনি দাবি করেন, নিয়মিত পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম যথারীতি চলছে।

অন্যদিকে স্থানীয় অভিভাবকরা বলেন, প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সুন্দরগঞ্জে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে টাকার লেনদেনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:১৮:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মোঃ আল আমিন, বিশেষ প্রতিনিধি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শিবরাম আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ ফরিদা পারভীনের বিরুদ্ধে টাকার লেনদেনসহ নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

পশ্চিম বাছহালি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মেহেদী হাসান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট দেওয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রধান শিক্ষিকা একের পর এক অনিয়ম করে আসছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়—নির্দিষ্ট সময়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখা হয় না, শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি আত্মসাৎ, অবকাঠামো উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও লুটপাট, নৈশ প্রহরীর অনুপস্থিতির পরও বেতন উত্তোলন, ভর্তি ও ফরম পূরণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আদায়।
এছাড়া অভিযোগে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি সন্তোষজনক নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ ফরিদা পারভীন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, “এসব ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক। আমাকে হয়রানি করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে।” তিনি দাবি করেন, নিয়মিত পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম যথারীতি চলছে।

অন্যদিকে স্থানীয় অভিভাবকরা বলেন, প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।