ঢাকা ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব Logo পলাশবাড়ীতে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার Logo মহেশখালীতে ২ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৩ কুখ্যাত সন্ত্রাসী আটক Logo বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে পাচারের উদ্দেশ্যে বন্দি থাকা নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার Logo মানবাধিকার পরিষদে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে চীন Logo চীন প্রতিষ্ঠার বার্ষিকীতে প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা Logo জাতিসংঘভিত্তিক শান্তি ও উন্নয়ন স্বপ্ন বাস্তবায়নে বেইজিংয়ের প্রতিশ্রুতি Logo বর আসার আগেই বাড়িতে হাজির পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন Logo গাইবান্ধায় শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের ২ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা Logo দুর্নীতির দায়ে ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা ইউপি চেয়ারম্যানে পদ শূন্য ঘোষণা

ঝিনাইদহে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে বাবার দাফনে সন্তানদের বাধা

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছে দুই সংসারের সন্তানরা। পুলিশের হস্তক্ষেপ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মৃত্যুর ১০ ঘণ্টা পর মরদেহ দাফন করা হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ২৬ সেপ্টম্বর (শুক্রবার) ১০টার দিকে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের কোলা গ্রামের লেদু দেওয়ান (৮০) ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি দুই সংসারের ১০ সন্তান রেখে গেছেন।

জানা যায়, মৃত্যুর আগে লেদু দেওয়ান সব সম্পত্তি দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। এ নিয়ে প্রথম সংসারের ৭ সন্তান ও দ্বিতীয় সংসারের ৩ সন্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা দাফনের আয়োজন করলে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা সম্পত্তি ভাগ না দেওয়া পর্যন্ত দাফনে বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

কাতলামারি পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ইকবাল হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। বৈঠকে সমঝোতার ভিত্তিতে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের ৭০ শতক জমি দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। পরে রাত ৮টার দিকে মরদেহ দাফন করা হয়।

প্রয়াত লেদু দেওয়ানের প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা অভিযোগ করে বলেন, বাবাকে জিম্মি করে সৎ মা ও তার সন্তানরা সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের দাবি, লেদু দেওয়ান জীবিত অবস্থায় স্বেচ্ছায় সম্পত্তি দিয়ে গেছেন।

এএসআই ইকবাল হোসেন বলেন, লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বড় ধরনের অঘটনের শঙ্কা ছিল। স্থানীয়দের সহায়তায় উভয় পক্ষের মধ্যে লিখিত সমঝোতার মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব

SBN

SBN

ঝিনাইদহে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে বাবার দাফনে সন্তানদের বাধা

আপডেট সময় ০৪:৩৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছে দুই সংসারের সন্তানরা। পুলিশের হস্তক্ষেপ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় মৃত্যুর ১০ ঘণ্টা পর মরদেহ দাফন করা হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত ২৬ সেপ্টম্বর (শুক্রবার) ১০টার দিকে সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের কোলা গ্রামের লেদু দেওয়ান (৮০) ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি দুই সংসারের ১০ সন্তান রেখে গেছেন।

জানা যায়, মৃত্যুর আগে লেদু দেওয়ান সব সম্পত্তি দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। এ নিয়ে প্রথম সংসারের ৭ সন্তান ও দ্বিতীয় সংসারের ৩ সন্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা দাফনের আয়োজন করলে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা সম্পত্তি ভাগ না দেওয়া পর্যন্ত দাফনে বাধা দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

কাতলামারি পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই ইকবাল হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। বৈঠকে সমঝোতার ভিত্তিতে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের ৭০ শতক জমি দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। পরে রাত ৮টার দিকে মরদেহ দাফন করা হয়।

প্রয়াত লেদু দেওয়ানের প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা অভিযোগ করে বলেন, বাবাকে জিম্মি করে সৎ মা ও তার সন্তানরা সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে। তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের দাবি, লেদু দেওয়ান জীবিত অবস্থায় স্বেচ্ছায় সম্পত্তি দিয়ে গেছেন।

এএসআই ইকবাল হোসেন বলেন, লাশ দাফনে বাধা দেওয়ার ঘটনায় বড় ধরনের অঘটনের শঙ্কা ছিল। স্থানীয়দের সহায়তায় উভয় পক্ষের মধ্যে লিখিত সমঝোতার মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।