ঢাকা ০২:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোংলায় ৩৪’টি মণ্ডপে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গোৎসব

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাটঃ

বাগেরহাটের মোংলায় ৩৪’টি পূজা মণ্ডপে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গোৎসব। প্রতিটি ইউনিয়নেই ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এদিন মোংলা উপজেলাজুড়ে দেবী দুর্গার বোধন, অধিবাস ও আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

হিন্দু ধর্মমতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমন ঘটলেও ষষ্ঠীর মধ্য দিয়েই পূজার মূল আচার অনুষ্ঠান শুরু হয়। এদিন দেবীর বোধনকে ঘিরে ভক্তরা বিশ্বাস করেন, শুভ শক্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে দেবী মর্ত্যে অবতীর্ণ হন।

পূজা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে মণ্ডপ এলাকা। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর নির্বিশেষে সবাই নতুন পোশাকে দেবী বন্দনায় অংশ নিচ্ছেন। ভক্তরা জানান, পূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সামাজিক মিলনমেলাও।

ষষ্ঠীর পর সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে নানা আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। আগামী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসব শেষ হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মোংলায় ৩৪’টি মণ্ডপে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গোৎসব

আপডেট সময় ০৯:৪৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অতনু চৌধুরী (রাজু), বাগেরহাটঃ

বাগেরহাটের মোংলায় ৩৪’টি পূজা মণ্ডপে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গোৎসব। প্রতিটি ইউনিয়নেই ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এদিন মোংলা উপজেলাজুড়ে দেবী দুর্গার বোধন, অধিবাস ও আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।

হিন্দু ধর্মমতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমন ঘটলেও ষষ্ঠীর মধ্য দিয়েই পূজার মূল আচার অনুষ্ঠান শুরু হয়। এদিন দেবীর বোধনকে ঘিরে ভক্তরা বিশ্বাস করেন, শুভ শক্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে দেবী মর্ত্যে অবতীর্ণ হন।

পূজা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

ঢাক-ঢোল, শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে মণ্ডপ এলাকা। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর নির্বিশেষে সবাই নতুন পোশাকে দেবী বন্দনায় অংশ নিচ্ছেন। ভক্তরা জানান, পূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি সামাজিক মিলনমেলাও।

ষষ্ঠীর পর সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে নানা আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। আগামী বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসব শেষ হবে।