
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সিয়ে ফেং বলেছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সহযোগিতার তালিকা আরও প্রসারিত করে উভয়ের জন্য লাভজনক ফলাফল অর্জনে কাজ করা। গত ২৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসে আয়োজিত জাতীয় দিবসের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সিয়ে ফেং বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যাপক অভিন্ন স্বার্থ এবং সহযোগিতার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। চীন-মার্কিন বাণিজ্য ১৯৭৯ সালের ২.৫ বিলিয়ন ডলারেরও কম থেকে বেড়ে ২০২৪ সালে প্রায় ৬৮৮.৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের শক্তিশালী স্থিতিস্থাপকতা এবং অন্তর্নিহিত চালিকা শক্তিকে প্রদর্শন করে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ অভিবাসন রোধ, ফেন্টানাইল পাচার মোকাবেলা, টেলিযোগাযোগ জালিয়াতি ও আর্থিক অপরাধ দমন, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা, সংক্রামক রোগ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ক্ষেত্রগুলো উভয় পক্ষের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য আলোচনায় সাম্প্রতিক ইতিবাচক অগ্রগতি প্রমাণ করে যে, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।
সিয়ে ফেং জোর দিয়ে বলেন, তাইওয়ান ইস্যু হলো চীন-মার্কিন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি। যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এক-চীন নীতি এবং তিনটি চীন-মার্কিন যৌথ ইশতেহার মেনে চলতে হবে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৭৫৮ নম্বর প্রস্তাবসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐকমত্যকে চ্যালেঞ্জ করা বা সীমা লঙ্ঘন করা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরত থাকা উচিত।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ২৪০-ঘণ্টার ট্রানজিট ভিসা-মুক্ত নীতি চালু হওয়ার পর ‘চায়না কনস্যুলার’ অ্যাপের ভিসা পরিষেবাও শীঘ্রই যুক্তরাষ্ট্রে চালু হবে। তিনি আমেরিকান বন্ধুদের চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রও দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময়ের জন্য সুবিধাজনক পরিস্থিতি তৈরি করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গসহ ৭০০ জনেরও বেশি অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র:জিনিয়া-তৌহিদ-ফেই,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।