ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোবিন্দগঞ্জে নবম শ্রেনীর ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে প্রাইভেট শিক্ষক গ্রেপ্তার

আব্দুর রাজ্জাক সরকার, স্টাফ রিপোর্টার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নাবালিকা স্কুল শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় প্রাইভেট শিক্ষকসহ দু’জনকে নীলফামারী থেকে আটক করেছে র‌্যাব-১৩। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত প্রাইভেট শিক্ষক শাফিউল (৩০), বিদ্যাকোষ স্কুলের সাবেক শিক্ষক ও শাখাহার ইউনিয়নের ফেসকা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।

বিএম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ১৫ বছর বয়সী এক নাবালিকা শিক্ষার্থীকে সুকৌশলে প্রাইভেট শিক্ষক শাফিউল নিয়ে নিখোঁজ হন।

এ ঘটনার পর ৩ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার নীলফামারী থেকে আসামি সাফিউল ও ভিকটিম নাবালিকাকে আটক করে র‌্যাব-১৩। পরে তাদের গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া এবং কোর্টে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জবানবন্দি গ্রহণের পর নাবালিকাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হলেন এসআই (নিরস্ত্র) মুমিনুল ইসলাম।

এ ঘটনায় বিদ্যাকোষ স্কুলের পরিচালক সোহেল রানা বলেন, আমরা ওই শিক্ষককে ১১মাস পূর্বে বাদ দিয়েছি। সে এখন বিদ্যাকোষ স্কুলের শিক্ষক নয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম অভিভাবকদের প্রতি সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সন্তানদের পড়াশোনা ও চলাফেরার বিষয়ে অভিভাবকদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও নজরদারি জরুরি।”

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গোবিন্দগঞ্জে নবম শ্রেনীর ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে প্রাইভেট শিক্ষক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০২:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

আব্দুর রাজ্জাক সরকার, স্টাফ রিপোর্টার

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নাবালিকা স্কুল শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় প্রাইভেট শিক্ষকসহ দু’জনকে নীলফামারী থেকে আটক করেছে র‌্যাব-১৩। পরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত প্রাইভেট শিক্ষক শাফিউল (৩০), বিদ্যাকোষ স্কুলের সাবেক শিক্ষক ও শাখাহার ইউনিয়নের ফেসকা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।

বিএম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ১৫ বছর বয়সী এক নাবালিকা শিক্ষার্থীকে সুকৌশলে প্রাইভেট শিক্ষক শাফিউল নিয়ে নিখোঁজ হন।

এ ঘটনার পর ৩ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার নীলফামারী থেকে আসামি সাফিউল ও ভিকটিম নাবালিকাকে আটক করে র‌্যাব-১৩। পরে তাদের গোবিন্দগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া এবং কোর্টে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জবানবন্দি গ্রহণের পর নাবালিকাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হলেন এসআই (নিরস্ত্র) মুমিনুল ইসলাম।

এ ঘটনায় বিদ্যাকোষ স্কুলের পরিচালক সোহেল রানা বলেন, আমরা ওই শিক্ষককে ১১মাস পূর্বে বাদ দিয়েছি। সে এখন বিদ্যাকোষ স্কুলের শিক্ষক নয়।

গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বুলবুল ইসলাম অভিভাবকদের প্রতি সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সন্তানদের পড়াশোনা ও চলাফেরার বিষয়ে অভিভাবকদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও নজরদারি জরুরি।”