ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আইএসইউর মানবিক উদ্যোগ বরুড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ Logo চাঁদপুর প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিলেন পুলিশ সুপার Logo ৭ ডিসেম্বর বিজয়ের দুয়ারে উত্তাল বাংলাদেশ Logo বুড়িচংয়ে ভাবিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ দেবরের বিরুদ্ধে, শ্বশুরবাড়ির সবাই পলাতক Logo মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ নিত্য পণ্য ও ঔষধ সহ ৬ পাচারকারী আটক Logo বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারি ফেডারেশনের দ্বি বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝিনাইদহে পরিবার কল্যাণ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন Logo ঝিনাইদহে হানাদারমুক্ত দিবস পালিত Logo উইলিয়াম লাইয়ের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া: যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল চীন Logo ফ্রান্স ও চীনের ফার্স্ট লেডির সাথে অভিনেতাদের বন্ধুত্বপূর্ণ মতবিনিময়

শেরপুর গারো পাহাড়ে ধানের জমিতে বন্যহাতির তাণ্ডব

মো: বেলায়েত হোসেন, প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদি উপজেলার গারো পাহাড়ের সমতল ভূমিতে এখন মৃদু মন্দ বাতাসে দোল খাচ্ছে আমন ধান। ধান গাছের বুক চিরে বের হওয়া ধানের শীষ কোথাও সবুজ, কোথাও ধারণ করেছে সোনালি রং।

সন্ধ্যা নামতেই হাতির দল কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাটা এলাকার মারং গোফ ও তালতলা এলাকা দিয়ে ধানের খেতে হামলে পড়ছে। গত এক সপ্তাহে হাতির দল নালিতাবাড়ী উপজেলার বনবিভাগের মধুটিলা ও গোপালপুর রেঞ্জের চৌকিদার টিলা, আন্ধারুপাড়া, খলচন্দা, বিজিবি ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ের পাহাড়ি গোফ, পানি হাটা, ফেকামারি এলাকার ১৫-২০ জন কৃষকের প্রায় ২০ একর কাঁচা-পাকা আমন ধানের খেত মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।

‎এলাকার কৃষকরা জানান, তারা প্রতিরাতে মশাল, বাঁশের টুকরা, টিন বাজিয়ে, হইচই করে হাতির দলকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। অনেকে দল বেঁধে রাতভর পাহাড়ের ধারে ও ক্ষেতের চারপাশে অবস্থান নেন। তবুও বন্যহাতিরা ভয় না পেয়ে মাঝেমধ্যে একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে, ফসল খেয়ে ও পিষে ব্যাপক ক্ষতি করে।

আমরা দল বেঁধে রাতভর পাহারা দিচ্ছি। মশাল জ্বালিয়ে ও বাঁশি বাজিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করি। তবুও মাঝে মাঝে একাধিক দিক দিয়ে হাতির দল হঠাৎ আক্রমণ করে বসে।”

‎এদিকে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত বন্যহাতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে এই অঞ্চলের ধান ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং চাষাবাদে নির্ভরশীল শত শত পরিবার মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়বে।

‎স্থানীয় জনগণ ও কৃষক সমাজ বনবিভাগ ও প্রশাসনের নিকট দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে বন্যহাতির তাণ্ডব বন্ধ করে কৃষকের ধান ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, গারো পাহাড়ে বন্যহাতির তাণ্ডব দীর্ঘদিনের সমস্যা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জের কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা করা যায় কিনা, সে বিষয়টি তিনি শর্ত সাপেক্ষে বিবেচনা করবেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আইএসইউর মানবিক উদ্যোগ বরুড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ

SBN

SBN

শেরপুর গারো পাহাড়ে ধানের জমিতে বন্যহাতির তাণ্ডব

আপডেট সময় ০৫:৫৭:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

মো: বেলায়েত হোসেন, প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদি উপজেলার গারো পাহাড়ের সমতল ভূমিতে এখন মৃদু মন্দ বাতাসে দোল খাচ্ছে আমন ধান। ধান গাছের বুক চিরে বের হওয়া ধানের শীষ কোথাও সবুজ, কোথাও ধারণ করেছে সোনালি রং।

সন্ধ্যা নামতেই হাতির দল কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাটা এলাকার মারং গোফ ও তালতলা এলাকা দিয়ে ধানের খেতে হামলে পড়ছে। গত এক সপ্তাহে হাতির দল নালিতাবাড়ী উপজেলার বনবিভাগের মধুটিলা ও গোপালপুর রেঞ্জের চৌকিদার টিলা, আন্ধারুপাড়া, খলচন্দা, বিজিবি ক্যাম্পের পাশের পাহাড়ের পাহাড়ি গোফ, পানি হাটা, ফেকামারি এলাকার ১৫-২০ জন কৃষকের প্রায় ২০ একর কাঁচা-পাকা আমন ধানের খেত মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।

‎এলাকার কৃষকরা জানান, তারা প্রতিরাতে মশাল, বাঁশের টুকরা, টিন বাজিয়ে, হইচই করে হাতির দলকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। অনেকে দল বেঁধে রাতভর পাহাড়ের ধারে ও ক্ষেতের চারপাশে অবস্থান নেন। তবুও বন্যহাতিরা ভয় না পেয়ে মাঝেমধ্যে একসাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে, ফসল খেয়ে ও পিষে ব্যাপক ক্ষতি করে।

আমরা দল বেঁধে রাতভর পাহারা দিচ্ছি। মশাল জ্বালিয়ে ও বাঁশি বাজিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করি। তবুও মাঝে মাঝে একাধিক দিক দিয়ে হাতির দল হঠাৎ আক্রমণ করে বসে।”

‎এদিকে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত বন্যহাতি প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে এই অঞ্চলের ধান ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং চাষাবাদে নির্ভরশীল শত শত পরিবার মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়বে।

‎স্থানীয় জনগণ ও কৃষক সমাজ বনবিভাগ ও প্রশাসনের নিকট দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে বন্যহাতির তাণ্ডব বন্ধ করে কৃষকের ধান ফসল রক্ষা করা সম্ভব হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, গারো পাহাড়ে বন্যহাতির তাণ্ডব দীর্ঘদিনের সমস্যা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেস্ট রেঞ্জের কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা করা যায় কিনা, সে বিষয়টি তিনি শর্ত সাপেক্ষে বিবেচনা করবেন।