ঢাকা ১২:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চাঁদপুর প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিলেন পুলিশ সুপার Logo ৭ ডিসেম্বর বিজয়ের দুয়ারে উত্তাল বাংলাদেশ Logo বুড়িচংয়ে ভাবিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ দেবরের বিরুদ্ধে, শ্বশুরবাড়ির সবাই পলাতক Logo মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ নিত্য পণ্য ও ঔষধ সহ ৬ পাচারকারী আটক Logo বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারি ফেডারেশনের দ্বি বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝিনাইদহে পরিবার কল্যাণ সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন Logo ঝিনাইদহে হানাদারমুক্ত দিবস পালিত Logo উইলিয়াম লাইয়ের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া: যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল চীন Logo ফ্রান্স ও চীনের ফার্স্ট লেডির সাথে অভিনেতাদের বন্ধুত্বপূর্ণ মতবিনিময় Logo সভ্যতার বিনিময়ে নতুন মাত্রা: সি চিন পিং-ম্যাকখোঁ বৈঠক

রাজশাহীর পবায় নারী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার- ৩

রাজশাহী (পবা) প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগসারা এলাকায় এক নারীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন বাগসারা গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে মোঃ. তারা মিয়া (৩৩), মহানন্দাখালী এলাকার ইছুল মণ্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০) ও একই এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৩)।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিহত নারীর নাম বিউটি বেগম। ধানখেত থেকে লাশ উদ্ধারের পর পবা থানা পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ অভিযানে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শারিফুর রায়হান তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে আসামিদের শনাক্ত করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরীর সোনাদিঘী মোড় এলাকা থেকে তারা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ধারাবাহিক অভিযানে পবা থানার মহানন্দাখালী এলাকা থেকে ফারুক হোসেন এবং পিল্লাপাড়া এলাকা থেকে হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে তারা মিয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন এবং অপর দুই সহযোগীর জড়িত থাকার নাম উল্লেখ করেন।

পুলিশ জানায়, জবানবন্দিতে তারা মিয়া বলেন বিউটি বেগম টাকার বিনিময়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। ৫ হাজার টাকায় চুক্তি হলেও পরিশোধ না করে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ ধানের জমিতে ফেলে রাখা হয়।

নিহতের ছেলে মো. মিলন প্রাং (২৫) পবা থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন, তাঁর মা বিউটি বেগম প্রায় ১৫ বছর আগে পারিবারিক কলহের কারণে স্বামীর সংসার ছেড়ে রাজশাহীর আলাইবিদিরপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্থানীয় এক হোটেলে কাজ করতেন তিনি। দুই বছর আগে গাইবান্ধার মো. রাশেদ নামের এক ব্যক্তিকে বিউটি বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

গত ১৮ অক্টোবর সকালে রাশেদ ফোনে মিলনকে জানান, বিউটি বেগমের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পরে মিলন মায়ের ভাড়া বাসায় গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন, কয়েকদিন ধরে ঘরটি বন্ধ রয়েছে। এরপর খবর আসে পবা উপজেলার বাগসারা এলাকায় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের কোমরে থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে মিলন নিশ্চিত হন মৃতদেহটি তাঁর মা বিউটি বেগমের।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুর প্রত্যেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিলেন পুলিশ সুপার

SBN

SBN

রাজশাহীর পবায় নারী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার- ৩

আপডেট সময় ০৬:৪৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

রাজশাহী (পবা) প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগসারা এলাকায় এক নারীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধারের ঘটনার রহস্য ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন বাগসারা গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে মোঃ. তারা মিয়া (৩৩), মহানন্দাখালী এলাকার ইছুল মণ্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০) ও একই এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৩)।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিহত নারীর নাম বিউটি বেগম। ধানখেত থেকে লাশ উদ্ধারের পর পবা থানা পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ অভিযানে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শারিফুর রায়হান তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে আসামিদের শনাক্ত করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরীর সোনাদিঘী মোড় এলাকা থেকে তারা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ধারাবাহিক অভিযানে পবা থানার মহানন্দাখালী এলাকা থেকে ফারুক হোসেন এবং পিল্লাপাড়া এলাকা থেকে হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর সোমবার আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে তারা মিয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন এবং অপর দুই সহযোগীর জড়িত থাকার নাম উল্লেখ করেন।

পুলিশ জানায়, জবানবন্দিতে তারা মিয়া বলেন বিউটি বেগম টাকার বিনিময়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। ৫ হাজার টাকায় চুক্তি হলেও পরিশোধ না করে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ ধানের জমিতে ফেলে রাখা হয়।

নিহতের ছেলে মো. মিলন প্রাং (২৫) পবা থানায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন, তাঁর মা বিউটি বেগম প্রায় ১৫ বছর আগে পারিবারিক কলহের কারণে স্বামীর সংসার ছেড়ে রাজশাহীর আলাইবিদিরপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। স্থানীয় এক হোটেলে কাজ করতেন তিনি। দুই বছর আগে গাইবান্ধার মো. রাশেদ নামের এক ব্যক্তিকে বিউটি বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

গত ১৮ অক্টোবর সকালে রাশেদ ফোনে মিলনকে জানান, বিউটি বেগমের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পরে মিলন মায়ের ভাড়া বাসায় গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন, কয়েকদিন ধরে ঘরটি বন্ধ রয়েছে। এরপর খবর আসে পবা উপজেলার বাগসারা এলাকায় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের কোমরে থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে মিলন নিশ্চিত হন মৃতদেহটি তাঁর মা বিউটি বেগমের।