ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ Logo আবুধাবিতে ওয়াং ই–শেখ আবদুল্লাহ বৈঠক Logo ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে—রণাঙ্গনে চূড়ান্ত আঘাতের দিন Logo বুড়িচং উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার Logo বিএনপি-জামায়াত নিধন করা ওসি জাবীদ এখন ঝিনাইদহ পিবিআইতে Logo সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ জাহাঙ্গীর আলম, পিতৃহারা হলো তিন বছরের ইরফান Logo রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo হাদির উপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে ২ জনকে কুপিয়ে জখম

বাড়ছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী মাদকসেবীর সংখ্যা

ময়নামতিতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

সৌরভ মাহমুদ হারুন

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি এলাকায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক। এঅবস্থায় স্থানীয় স্কুল-কলেজগামী তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। প্রতিবাদ করলে হামলার ,মামলার ভয় দেখাচ্ছে মাদক বিক্রেতারা।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন একটি জনবহুল এলাকা। প্রায় লক্ষাধিক লোকের বসবাস এখানে। এই ইউনিয়নের কমপক্ষে একডজনের বেশী এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

প্রকাশ্যে না হলেও মাদককারবারিরা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় করা এই ব্যবসা তরুন,যুব সমাজকে নষ্ট করলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। ফলে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরণনাশা মাদক ইয়াবা। কোথাওবা মিলছে গাঁজা,ফেন্সিডিল। সরেজমিন ঘুরে বিভিন্ন সুত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ময়নামতি ইউনিয়নের সাহেবের বাজার, মীরপুর, রানীর বাংলো রোড, সমেশপুর, সিন্দুরিয়াপাড়া, হরিণধরা, রায়পুর, ঝুমুর, নাজিরাবাজার, শরীফপুর, ফরিজপুর, তুতবাগান, বাজেহুরা, বাজেবাহেরচর, মঈনপুর, বাগিলারাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রয় হচ্ছে। সুত্র মতে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছাড়াও থানা, ফাঁড়ি পুলিশ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণকারী অধিদপ্তর ম্যানেজ করে এব্যবসা করছে বলে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে বলছেন।

উল্লেখিত স্থানগুলোতে প্রতিদিনই বিভিন্ন দুরদুরান্ত থেকে মাদকসেবীরা ভীড় করে মাদক ক্রয় করতে। বাদ নেই স্থানীয় তরুন, যুব সমাজ, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোকজনও। ফলে স্থানীয়ভাবে চুরি, ছিনতাইও বাড়ছে ব্যাপকহারে। সম্প্রতি চুরি বেড়ে যাওয়ায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকদের সতর্কিকরণে মাইকিং করেছে। দুর-দুরান্ত থেকে অপরিচিত লোকজন এখানে আসা-যাওয়া করায় স্থানীয় লোকজনও নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন প্রতিনিয়ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সুত্র জানান, মাদকসেবীদের অত্যাচারে সন্তানদের নিয়ে তারা চরম উদ্বিগ্ন। স্থানীয় অনেক পরিবারের অভিভাবকরা মাদকসেবী সন্তানদের মাদকের টাকা যোগান দিতে গিয়ে নিঃশ^ হয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানান, মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলে হামলা-মামলার ভয় দেখাচ্ছে বিক্রেতারা। সুত্র আরো জানায়, কখনো কখনো পুলিশ এসে দু’একজন মাদক বিক্রেতাকে আটক করলেও আবার রহস্য জনক ভাবে ছেড়ে দিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্রে জানা যায়,ময়নামতি এলাকায় উল্লেখযোগ মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে মীরপুরে সফিক, সিন্দুরিয়াপাড়ায় হেলাল, বাবলু, ইমরান, মৃত লেতর আলীর ছেলে মোসলেম, শরীফপুরের ফরহাদ, জামাল, কামাল, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার আড়ালে সাইদ, রানীর বাংলো রোডে আজম,খলিলের নেতৃত্বে ৮/১০ জনের সিন্ডিকেট বেপরোয়া। ময়নামতি এলাকায় মাদক বিক্রয় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দেবপুর ফাড়িঁর আইসি শহীদুল্লাহ প্রধান বলেন, আমার কাছে কিছু সাংবাদিকও বিষয়টি জানিয়েছে। আমি গত এপ্রিলে এসেছি। এপর্যন্ত মাদক সংক্রান্তে ৪ জন কে আটক করেছি। ভবিষ্যতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে আটক হলেও মাদক পাওয়া যায় না। মাদকসেবী আটক হলেও ২/১ টা বড়ি (ইয়াবা) পাওয়া যায়। এসময় সাংবাদিকসহ নানামুখী প্রভাবশালীদের তদবিরের কথাও তিনি বলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি

SBN

SBN

বাড়ছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী মাদকসেবীর সংখ্যা

ময়নামতিতে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

সৌরভ মাহমুদ হারুন

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি এলাকায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মাদক। এঅবস্থায় স্থানীয় স্কুল-কলেজগামী তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। প্রতিবাদ করলে হামলার ,মামলার ভয় দেখাচ্ছে মাদক বিক্রেতারা।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন একটি জনবহুল এলাকা। প্রায় লক্ষাধিক লোকের বসবাস এখানে। এই ইউনিয়নের কমপক্ষে একডজনের বেশী এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

প্রকাশ্যে না হলেও মাদককারবারিরা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় করা এই ব্যবসা তরুন,যুব সমাজকে নষ্ট করলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না। ফলে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরণনাশা মাদক ইয়াবা। কোথাওবা মিলছে গাঁজা,ফেন্সিডিল। সরেজমিন ঘুরে বিভিন্ন সুত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, ময়নামতি ইউনিয়নের সাহেবের বাজার, মীরপুর, রানীর বাংলো রোড, সমেশপুর, সিন্দুরিয়াপাড়া, হরিণধরা, রায়পুর, ঝুমুর, নাজিরাবাজার, শরীফপুর, ফরিজপুর, তুতবাগান, বাজেহুরা, বাজেবাহেরচর, মঈনপুর, বাগিলারাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রয় হচ্ছে। সুত্র মতে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছাড়াও থানা, ফাঁড়ি পুলিশ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণকারী অধিদপ্তর ম্যানেজ করে এব্যবসা করছে বলে মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে বলছেন।

উল্লেখিত স্থানগুলোতে প্রতিদিনই বিভিন্ন দুরদুরান্ত থেকে মাদকসেবীরা ভীড় করে মাদক ক্রয় করতে। বাদ নেই স্থানীয় তরুন, যুব সমাজ, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোকজনও। ফলে স্থানীয়ভাবে চুরি, ছিনতাইও বাড়ছে ব্যাপকহারে। সম্প্রতি চুরি বেড়ে যাওয়ায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকদের সতর্কিকরণে মাইকিং করেছে। দুর-দুরান্ত থেকে অপরিচিত লোকজন এখানে আসা-যাওয়া করায় স্থানীয় লোকজনও নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন প্রতিনিয়ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সুত্র জানান, মাদকসেবীদের অত্যাচারে সন্তানদের নিয়ে তারা চরম উদ্বিগ্ন। স্থানীয় অনেক পরিবারের অভিভাবকরা মাদকসেবী সন্তানদের মাদকের টাকা যোগান দিতে গিয়ে নিঃশ^ হয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানান, মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলে হামলা-মামলার ভয় দেখাচ্ছে বিক্রেতারা। সুত্র আরো জানায়, কখনো কখনো পুলিশ এসে দু’একজন মাদক বিক্রেতাকে আটক করলেও আবার রহস্য জনক ভাবে ছেড়ে দিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্রে জানা যায়,ময়নামতি এলাকায় উল্লেখযোগ মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে মীরপুরে সফিক, সিন্দুরিয়াপাড়ায় হেলাল, বাবলু, ইমরান, মৃত লেতর আলীর ছেলে মোসলেম, শরীফপুরের ফরহাদ, জামাল, কামাল, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসার আড়ালে সাইদ, রানীর বাংলো রোডে আজম,খলিলের নেতৃত্বে ৮/১০ জনের সিন্ডিকেট বেপরোয়া। ময়নামতি এলাকায় মাদক বিক্রয় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দেবপুর ফাড়িঁর আইসি শহীদুল্লাহ প্রধান বলেন, আমার কাছে কিছু সাংবাদিকও বিষয়টি জানিয়েছে। আমি গত এপ্রিলে এসেছি। এপর্যন্ত মাদক সংক্রান্তে ৪ জন কে আটক করেছি। ভবিষ্যতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে আটক হলেও মাদক পাওয়া যায় না। মাদকসেবী আটক হলেও ২/১ টা বড়ি (ইয়াবা) পাওয়া যায়। এসময় সাংবাদিকসহ নানামুখী প্রভাবশালীদের তদবিরের কথাও তিনি বলেন।