
সৌরভ মাহমুদ হারুন
তুহিন নামের এক কলেজ ছাত্র কে অপহরণ করে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর ৭ দিন লাইফ সাপোর্টে থেকে মৃত্যু বরন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে নির্মমভাবে মারধর ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করায় আহত ছাত্র ঢাকা আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর সোমবার ২৭ অক্টোবর বেলা ১১ টায় তার মৃত্যু হয়। নিহত তুহিন উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন এর বাহেরচর গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক।
নিহতের মা ফেরদৌসী আক্তার চাচা আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে জানান, তার ছেলে তুহিন (১৯) বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। পূর্ববিরোধের জেরে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।
গত ২০ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়ন এর শ্রীপুর গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে তুহিন কে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর ১নং অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুর বাড়ির গোবিন্দ পুর পূর্ব পাশের বিল্ডিং ঘরে নিয়ে গিয়ে লোহার রড ও এসএস পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে।
এতে তার হাত-পা ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। পরে সে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে। এ সময় অভিযুক্তরা তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং তার বাবা-মাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
স্থানীযরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বুড়িচং উপজেলা হাসপাতালে পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরে ওই রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সেখানে গত ৭ দিন লাইফ লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় চিকিৎসাধীনে সোমবার বেলা ১১ টায় তুহিনের মৃত্যু হয়।
এঘটনায় গত ২০ অক্টোবর তুহিনের মা ফেরদৌসী আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনকে নামীয় ৩-৪ জন কে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বুড়িচং থানায় অভিযোগে করা হয়।
অভিযুক্তরা হলো মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) (৪৫), পিতা মৃত আবুল খায়ের, মোঃ নাফিজ উদ্দিন (১৯), পিতা মোঃ সাইফুল ইসলাম (বাবু) উভয় গ্রাম গোবিন্দপুর, মোঃ জহির (৪২), পিতা মৃতঃ সিদ্দিকুর রহমান, আবদুল আলিম (৪৫), পিতা মৃত আবদুর রহমান গ্রামঃ শ্রীপুরসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক জানান, অভিযোগ দায়েরের সাথে সাথে মামলাটি রুজু করা হয়। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 
























