ঢাকা ০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আমতলীতে নকলের দায়ে ৯ ফাজিল পরীক্ষার্থী বহিষ্কার Logo নিঃশব্দ চত্বরে জীবনের স্পন্দন: গাইবান্ধার ‘কাউয়া পয়েন্ট’ Logo উদ্ভাবনী ইন্টারনেট উন্নয়নে চীনের অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরলেন লি শু লেই Logo ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওয়াং ই’র ফোনালাপ Logo চীনের জলবায়ু অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট জাতিসংঘ মহাসচিব Logo লালমাই উপজেলা মানবাধিকার এর সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পেলেন শরীফ উল্লাহ Logo বুড়িচংয়ে দেবপুর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু Logo উন্মুক্ত বাজারের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি সঞ্চার অব্যাহত রাখবে:চীন Logo ৪৬টি দেশে চীনা চলচ্চিত্র মুক্তি Logo ৪০টি দেশ ও অঞ্চলের গণমাধ্যম নেতাদের অংশগ্রহণে সিএমজির আন্তর্জাতিক ফোরাম

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওয়াং ই’র ফোনালাপ

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৪:১৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, সম্প্রতি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপারের সাথে এক ফোনালাপে মিলিত হন।

ফোনালাপে ওয়াং ই বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি জটিল এবং অস্থির। চীন-ব্রিটেন সম্পর্কও একটি অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। উভয় পক্ষের উচিত, কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার করা এবং একটি সুস্থ, পারস্পরিক কল্যাণকর ও স্থিতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য কাজ করা।

তিনি বলেন, চীন ও ব্রিটেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। দেশ দুটি বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক দায়িত্ব বহন করে। এসব ইস্যুতে দু’দেশের অবস্থান অভিন্নও বটে। আর এ কারণেই, দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার সুযোগ রয়েছে। চীন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যৌথভাবে মোকাবিলা এবং বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নকে উত্সাহিত করতে, ব্রিটেনের সাথে কাজ করে যেতে ইচ্ছুক।
ওয়াং ই আরও বলেন, চীন ও ব্রিটেনের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে পার্থক্য রয়েছে, যা স্বাভাবিক। তবে, উভয় পক্ষেরই উচিত পারস্পরিক শ্রদ্ধার নীতি মেনে চলা, পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানোর চেষ্টা করা, এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্থিতিশীলতার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

জবাবে কুপার বলেন, ব্রিটেন ও চীনের অনেক অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। তাই, তার দেশ চীনের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করে। ব্রিটেন চীনের সাথে উচ্চ-স্তরের বিনিময় জোরদার করা এবং নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও পরিবেশের মতো ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য উন্মুখ।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং বহুপাক্ষিকতাকে সমর্থনকারী দুই প্রধান শক্তি হিসেবে, ব্রিটেন ও চীনের উচিত জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবিলা করার স্বার্থে, জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখা, বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাণিজ্য রক্ষা করা, এবং বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত কৌশলগত যোগাযোগ বজায় রাখা।

সূত্র:রুবি-আলিম-সুবর্ণা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস

আমতলীতে নকলের দায়ে ৯ ফাজিল পরীক্ষার্থী বহিষ্কার

SBN

SBN

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ওয়াং ই’র ফোনালাপ

আপডেট সময় ০৪:১৩:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, সম্প্রতি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপারের সাথে এক ফোনালাপে মিলিত হন।

ফোনালাপে ওয়াং ই বলেন, বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি জটিল এবং অস্থির। চীন-ব্রিটেন সম্পর্কও একটি অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। উভয় পক্ষের উচিত, কৌশলগত যোগাযোগ জোরদার করা এবং একটি সুস্থ, পারস্পরিক কল্যাণকর ও স্থিতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য কাজ করা।

তিনি বলেন, চীন ও ব্রিটেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। দেশ দুটি বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক দায়িত্ব বহন করে। এসব ইস্যুতে দু’দেশের অবস্থান অভিন্নও বটে। আর এ কারণেই, দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করার সুযোগ রয়েছে। চীন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যৌথভাবে মোকাবিলা এবং বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নকে উত্সাহিত করতে, ব্রিটেনের সাথে কাজ করে যেতে ইচ্ছুক।
ওয়াং ই আরও বলেন, চীন ও ব্রিটেনের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে পার্থক্য রয়েছে, যা স্বাভাবিক। তবে, উভয় পক্ষেরই উচিত পারস্পরিক শ্রদ্ধার নীতি মেনে চলা, পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানোর চেষ্টা করা, এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্থিতিশীলতার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা।

জবাবে কুপার বলেন, ব্রিটেন ও চীনের অনেক অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। তাই, তার দেশ চীনের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্যবান মনে করে। ব্রিটেন চীনের সাথে উচ্চ-স্তরের বিনিময় জোরদার করা এবং নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও পরিবেশের মতো ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য উন্মুখ।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং বহুপাক্ষিকতাকে সমর্থনকারী দুই প্রধান শক্তি হিসেবে, ব্রিটেন ও চীনের উচিত জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো যৌথভাবে মোকাবিলা করার স্বার্থে, জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখা, বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাণিজ্য রক্ষা করা, এবং বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত কৌশলগত যোগাযোগ বজায় রাখা।

সূত্র:রুবি-আলিম-সুবর্ণা,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।