ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo পবায় প্রসবের পর মায়ের মৃত্যু, সন্তানের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান Logo গাইবান্ধায় অনলাইন ক্যাসিনোর বিষাক্ত থাবা: ঋণে ডুবে পরিবার ছাড়ছে মানুষ Logo শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানি ও দাঁত ভাঙার ঘটনায় মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ -শেরপুর সীমান্তে ৫ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল ও মাদক জব্দ Logo গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড Logo চান্দিনায় গরুবাহী ট্রাক ছিনতাই; দুই থানায় ধাক্কা-ধাক্কি Logo প্রতিহিংসা নয় প্রতিযোগিতা, রাজনীতি হোক ঐক্য ভিত্তিক Logo ডানপন্থী উসকানির বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি বেইজিংয়ের Logo তাইওয়ান নিয়ে জাপান সরকারের নীতি প্রশ্নবিদ্ধ Logo রাজশাহীর জজ পরিবারের ওপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় আইনজীবীদের মানববন্ধন

গাইবান্ধায় অনলাইন ক্যাসিনোর বিষাক্ত থাবা: ঋণে ডুবে পরিবার ছাড়ছে মানুষ

মোঃ আল আমিন, বিশেষ প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার ভয়াবহ বিস্তার সামাজিক সংকটে রূপ নিয়েছে। শহর থেকে গ্রাম—সবখানেই মোবাইলভিত্তিক এই জুয়ার বিষাক্ত প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত। বিশেষ করে তরুণ সমাজ দ্রুত টাকা আয়ের লোভে এই ভার্চুয়াল জুয়ার ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত।

অনলাইন জুয়ার কারণে ঘরোয়া পরিবেশে অশান্তি, পারিবারিক ভাঙন ও ঋণের বোঝা দিনে দিনে বাড়ছে। অনেকেই ধার–দেনায় জড়িয়ে পড়ার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি চরম মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন মৃত্যুর পথও। স্থানীয় সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে অতিরিক্ত ঋণচাপে কয়েকজন ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন, যা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

একজন ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দা জানান,
“যাদের সংসারে স্বাভাবিক জীবন ছিল, অনলাইন জুয়ার কারণে তারা এখন দিশেহারা। দেনার চাপে পরিবারগুলো ভেঙে পড়ছে, ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে।”

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত লাভের আশায় মানুষ জুয়ায় জড়িয়ে পড়ে, আর হারার পর সৃষ্টি হয় ভয়ঙ্কর মানসিক চাপ। গোপন লেনদেনের সুবিধা এই জুয়ার বিস্তার আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রয়োগ, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং পারিবারিক সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, এই অনলাইন ক্যাসিনোর পেছনে থাকা ডিলার, এজেন্ট ও অর্থ লেনদেনকারী চক্রকে আইনের আওতায় আনতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। মূল চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় জুয়ার দৌরাত্ম্য দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে।

সচেতন নাগরিক সমাজ বলছে,
“যারা তরুণদের জুয়ার ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করছে, তাদের না ধরলে এই বিপদ থামানো যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।”

স্থানীয়দের মতে, অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত নজরদারি বৃদ্ধি, মূল অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং জনগণকে সচেতন করার উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পবায় প্রসবের পর মায়ের মৃত্যু, সন্তানের দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান

SBN

SBN

গাইবান্ধায় অনলাইন ক্যাসিনোর বিষাক্ত থাবা: ঋণে ডুবে পরিবার ছাড়ছে মানুষ

আপডেট সময় ০৬:৫৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

মোঃ আল আমিন, বিশেষ প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার ভয়াবহ বিস্তার সামাজিক সংকটে রূপ নিয়েছে। শহর থেকে গ্রাম—সবখানেই মোবাইলভিত্তিক এই জুয়ার বিষাক্ত প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে দ্রুত। বিশেষ করে তরুণ সমাজ দ্রুত টাকা আয়ের লোভে এই ভার্চুয়াল জুয়ার ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে প্রতিনিয়ত।

অনলাইন জুয়ার কারণে ঘরোয়া পরিবেশে অশান্তি, পারিবারিক ভাঙন ও ঋণের বোঝা দিনে দিনে বাড়ছে। অনেকেই ধার–দেনায় জড়িয়ে পড়ার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমনকি চরম মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন মৃত্যুর পথও। স্থানীয় সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে অতিরিক্ত ঋণচাপে কয়েকজন ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন, যা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

একজন ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দা জানান,
“যাদের সংসারে স্বাভাবিক জীবন ছিল, অনলাইন জুয়ার কারণে তারা এখন দিশেহারা। দেনার চাপে পরিবারগুলো ভেঙে পড়ছে, ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে।”

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত লাভের আশায় মানুষ জুয়ায় জড়িয়ে পড়ে, আর হারার পর সৃষ্টি হয় ভয়ঙ্কর মানসিক চাপ। গোপন লেনদেনের সুবিধা এই জুয়ার বিস্তার আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তারা অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রয়োগ, মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা এবং পারিবারিক সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, এই অনলাইন ক্যাসিনোর পেছনে থাকা ডিলার, এজেন্ট ও অর্থ লেনদেনকারী চক্রকে আইনের আওতায় আনতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। মূল চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় জুয়ার দৌরাত্ম্য দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠছে।

সচেতন নাগরিক সমাজ বলছে,
“যারা তরুণদের জুয়ার ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করছে, তাদের না ধরলে এই বিপদ থামানো যাবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হতে হবে।”

স্থানীয়দের মতে, অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত নজরদারি বৃদ্ধি, মূল অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং জনগণকে সচেতন করার উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।