
সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)
নারী নির্যাতন মামলায় বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গতকাল বরগুনার মঙ্গলবার বরগুনা জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যালের বিচারক এই আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী আক্তার নিপার দায়ের করা মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।গতকাল ১৮ নভেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন।
জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর ২০২৫ ইং তারিখ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ১ কোটি ২২ লক্ষ ৬ শত ৬৬ টাকার মামলা দায়ের করেন জসিম উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী আক্তার নিপা।
অভিযোগ রয়েছে, বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রবাসী স্ত্রী লাভলী আক্তার নিপার সাথে প্রথমে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন। লাভলী বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্যের বোনের মেয়ে। জসিম উদ্দিন প্রবাসী স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে বিগত ২০২২ সালের জুন মাসের ২৫ তারিখ দশ লক্ষ টাকায় কাবিন মুলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কাবিনের সময়ে লাভলী আক্তার (নিপা) নিজেকে অবিবাহিত দাবী করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। জসিম উদ্দিন এর দ্বিতীয় বিয়ের খবর চট্টগ্রামে বসবাসরত প্রথম স্ত্রী জানতে পারলে এ নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব। পরে জসিম উদ্দিন পরিস্থিতি সামাল দিতে নিপাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে পুনরায় লাভলী আক্তার নিপার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। তখনই বাধ সাজে নিপা। শিক্ষা কর্মকর্তা তখন স্হানীয় লোকজনকে ম্যানেজ করে নিপাকে পুনরায় চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল ৯১ লক্ষ টাকা দেনমোহর দিয়ে বিবাহ করে এবং তার সঙ্গে তার নিজ কার্যালয়েই বসবাস করতে থাকে।
এ বিষয়ে জসিম উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী জানতে পেরে জসিম উদ্দিনকে চাপ দিলে তিনি নিপাকে তালাক প্রদান করেন। এমনকি গত ২ অক্টোবর প্রথম স্ত্রী মমতাজ বেগম স্বামী জসিম উদ্দিনকে নিয়ে নিপার বাসায় গিয়ে হুমকি প্রদান করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে নিপা শারীরিক ও মানুষিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে তিনি কাবিনের টাকা ও খোরপোশ দাবী করে জেলা জজ আদালতে ভুক্তভোগী নিপা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে কোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন এর নিজ থানা চট্টগ্রামের পাহারতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 


























