
২৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকেলে, চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে, মন্ত্রণালয়ের নিউজ ব্যুরোর উপ-পরিচালক ও মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল চিয়াং পিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
সাংবাদিক: জানা গেছে, চীন সরকার সম্প্রতি ‘নতুন যুগে চীনের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, নিরস্ত্রীকরণ ও অপ্রসারণ’ শ্বেতপত্রটি প্রকাশ করেছে। দয়া করে মুখপাত্র সংশ্লিষ্ট অবস্থা উপস্থাপন করুন।
চিয়াং পিন: চীন সর্বদা বৈশ্বিক নিরাপত্তা শাসনে গঠনমূলকভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে, আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, নিরস্ত্রীকরণ ও অপ্রসারণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছে, এবং বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ‘নতুন যুগে চীনের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, নিরস্ত্রীকরণ ও অপ্রসারণ’ শ্বেতপত্রটি হলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর প্রকাশিত প্রথম অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক শ্বেতপত্র, যা চীনের বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ ও বৈশ্বিক শাসন উদ্যোগ সক্রিয়ভাবে বাস্তবায়নের একটি অনন্য পদক্ষেপ, এবং চীনের বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা, যুদ্ধপরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা রক্ষা ও বহুপক্ষীয় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া রক্ষার যুগসন্ধি্ময়ী ঘোষণা।
নতুন সংস্করণের এই অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ শ্বেতপত্রটি প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর বৈশ্বিক নিরাপত্তা শাসন ও আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত একগুচ্ছ নতুন চিন্তাভাবনা, নতুন ধারণা ও নতুন বক্তব্যকে পদ্ধতিগতভাবে উপস্থাপন করেছে, ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং উদীয়মান ক্ষেত্রে নিরাপত্তা শাসনে চীনের অবস্থান ও দাবিগুলোকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে, বর্তমান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ পরিস্থিতি সম্পর্কে চীনের কৌশলগত মূল্যায়ন, নতুন যুগে চীনের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নীতি এবং আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, নিরস্ত্রীকরণ ও অপ্রসারণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য চীনের ইতিবাচক অবদানকে সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যা করেছে, যা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ জোরদার করা, কৌশলগত স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এবং যুদ্ধের ক্ষতি কমানোর প্রতি চীনের দৃঢ় সংকল্প ও দায়িত্ববোধকে প্রদর্শন করে।
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যতই পরিবর্তন হোক না কেন, চীন সকল শান্তিপ্রিয় দেশের সাথে একত্রিত হয়ে বৈশ্বিক নিরাপত্তা শাসনকে পরিপূর্ণ করবে, আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার রক্ষা করবে, বহুপক্ষীয় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবে, বৈশ্বিক কৌশলগত স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে এবং পরিবর্তন ও অস্থিরতায় ভরা বিশ্বে আরও বেশি নিশ্চয়তা ও ইতিবাচক শক্তি প্রদান করবে, এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি গঠনের জন্য হাত মিলিয়ে কাজ করবে।
সূত্র: স্বর্ণা-হাশিম-লিলি,চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
আন্তর্জাতিক: 
























