ঢাকা ১১:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রণাঙ্গনের বিজয়গাথা: ৮ ডিসেম্বর—মুক্তির সোপানে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বহু জনপদ Logo চান্দিনা পৌরসভার জন্ম নিবন্ধনে প্রায়ই বন্ধ থাকে সার্ভার, ভোগান্তিতে সেবা গ্রহীতারা Logo মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জন জেলে উদ্ধার Logo শাহরাস্তিতে ২ শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষক আটক Logo লালমনিরহাটে বৈষম্যমুলক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও নিয়োগ পরিক্ষা বাতিল চেয়ে মানববন্ধন Logo বুড়িচংয়ে পরকীয়া প্রেমের জেরে প্রবাসীর কবজি কেটে দিল প্রেমিক ও তার ভাই Logo সুনামগঞ্জে গানে গানে বাউল কামালের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত Logo মুরাদনগরে বিএনপি’র দোয়া মাহফিল থেকে সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি Logo বরুড়ায় ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত দিবস পালিত Logo বেগমগঞ্জে কবর থেকে বস্তাবন্দি একনলা বন্দুক-পাইপগান উদ্ধার

বরুড়ায় ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত দিবস পালিত

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া

আজ ৭ ডিসেম্বর, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হানাদারমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের কবল থেকে বরুড়া সম্পূর্ণ মুক্ত হয়। দিনটি উপলক্ষে এলাকাজুড়ে শোক-শ্রদ্ধা ও গৌরবের আবহ বিরাজ করছে।

সকাল বেলা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার শামসুল হক সর্দারের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আহসান হাফিজ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বরুড়া ছিল পাকবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের এক ভয়াল অধ্যায়। দখলদার বাহিনী পুরো উপজেলাজুড়ে গণহত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর ত্রাস সৃষ্টি করে। এই দুঃসময় থেকে মানুষকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেন। স্থানীয় জনগণও মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

৭ ডিসেম্বর ভোর থেকে মুক্তিবাহিনী একাধিক দিক থেকে সমন্বিত হামলা চালালে পাকসেনারা পরাজিত হয়ে বরুড়া ছেড়ে পালিয়ে যায় উত্তোলন করেন বিজয়ের পতাকা বিএলএফ কমান্ডার নুরুল ইসলাম মিলন । স্বাধীনতার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ বরুড়াবাসীর জীবনে নিয়ে আসে নতুন সূর্যের আলো।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, “বরুড়ার এই দিন শুধু বিজয়ের স্মৃতি নয়; এটি অত্যাচার ও দখলদারমুক্ত এক ইতিহাস। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।”

বরুড়া হানাদারমুক্ত দিবস তাই মুক্তিকামী মানুষের আত্মত্যাগ, বেদনা আর বিজয়ের গৌরবময় স্মৃতি ধারণ করে আজও সকলকে উদ্দীপ্ত করে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রণাঙ্গনের বিজয়গাথা: ৮ ডিসেম্বর—মুক্তির সোপানে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বহু জনপদ

SBN

SBN

বরুড়ায় ৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত দিবস পালিত

আপডেট সময় ০৪:২৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া

আজ ৭ ডিসেম্বর, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হানাদারমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের কবল থেকে বরুড়া সম্পূর্ণ মুক্ত হয়। দিনটি উপলক্ষে এলাকাজুড়ে শোক-শ্রদ্ধা ও গৌরবের আবহ বিরাজ করছে।

সকাল বেলা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার শামসুল হক সর্দারের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান রনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আহসান হাফিজ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বরুড়া ছিল পাকবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের এক ভয়াল অধ্যায়। দখলদার বাহিনী পুরো উপজেলাজুড়ে গণহত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর ত্রাস সৃষ্টি করে। এই দুঃসময় থেকে মানুষকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেন। স্থানীয় জনগণও মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

৭ ডিসেম্বর ভোর থেকে মুক্তিবাহিনী একাধিক দিক থেকে সমন্বিত হামলা চালালে পাকসেনারা পরাজিত হয়ে বরুড়া ছেড়ে পালিয়ে যায় উত্তোলন করেন বিজয়ের পতাকা বিএলএফ কমান্ডার নুরুল ইসলাম মিলন । স্বাধীনতার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ বরুড়াবাসীর জীবনে নিয়ে আসে নতুন সূর্যের আলো।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, “বরুড়ার এই দিন শুধু বিজয়ের স্মৃতি নয়; এটি অত্যাচার ও দখলদারমুক্ত এক ইতিহাস। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।”

বরুড়া হানাদারমুক্ত দিবস তাই মুক্তিকামী মানুষের আত্মত্যাগ, বেদনা আর বিজয়ের গৌরবময় স্মৃতি ধারণ করে আজও সকলকে উদ্দীপ্ত করে।