ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তাকেচির মন্তব্যে জাপানে সমালোচনার ঝড় Logo দুর্যোগে একতাবদ্ধ চীনা সমাজের মানবিক প্রতিক্রিয়া Logo টোকিওর দাবিতে ‘গোপন উদ্দেশ্য’: চীনা মুখপাত্র Logo জাপানি প্রতিনিধিমণ্ডলীর দাবি: তাকেচির মন্তব্যের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে পদক্ষেপ নিন Logo বিশ্ব মানবাধিকার দিবস: মর্যাদা, স্বাধীনতা ও সাম্যের এক অবিচল অঙ্গীকার Logo বিজয়ের শেষ সীমায় ঢাকা, অচল বন্দর, বিমানবন্দর, ঘিরে ফেলেছে মিত্রবাহিনী Logo কচুয়ায় বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া Logo বুড়িচংয়ে ৪০ কেজি গাঁজা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo বরুড়ায় বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী সম্মাননা পেলেন ৫ জননী Logo এছিএমবির আয়োজনে ‘যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচনের মাধ্যমে মানবাধিকার উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস: মর্যাদা, স্বাধীনতা ও সাম্যের এক অবিচল অঙ্গীকার

শাহিন আলম প্রধান

আজ ১০ই ডিসেম্বর, সেই ঐতিহাসিক দিন, যেদিন আমরা পালন করি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস (Human Rights Day)। আজকের দিনটি শুধু একটি ক্যালেন্ডার তারিখ নয়, এটি মানবজাতির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মুহূর্তের স্মারক। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গ্রহণ করেছিল সেই অমর দলিল— ‘মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র’ (Universal Declaration of Human Rights – UDHR)।

কেন এই ঘোষণা এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই ঘোষণাপত্রটি কেবল একটি আইনি নথি নয়, এটি মানবতার ভিত্তিপ্রস্তর। এটি পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য— তাদের বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা, ধর্ম, রাজনৈতিক মতাদর্শ, জাতি বা সামাজিক উৎস নির্বিশেষে— সেই মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতাগুলোর এক সার্বজনীন মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করেছে, যা ছাড়া মানুষ হিসেবে আমাদের মর্যাদা অসম্পূর্ণ।

UDHR-এর প্রতিটি ধারা আমাদের শেখায় যে, জন্মগতভাবে আমরা সবাই সমান এবং স্বাধীন। প্রত্যেকেরই রয়েছে জীবনধারণের, নিরাপত্তার, শিক্ষার, ন্যায্য বিচারের এবং মতপ্রকাশের অধিকার। এটি এক শক্তিশালী আহ্বান— যেন আমরা সবাই অন্যের অধিকারকে সম্মান করি এবং এই অধিকারগুলো রক্ষায় সচেষ্ট থাকি।

আমাদের সম্মিলিত দায়বদ্ধতা
মানবাধিকার দিবস আমাদের কেবল ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে শেখায় না, বরং বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে উৎসাহিত করে। এখনও বিশ্বের বহু প্রান্তে অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, বৈষম্য বিরাজ করছে, এবং মানুষ মৌলিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত।

এই দিনে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা মানবাধিকারের জন্য শুধু কথা বলব না, এর জন্য কাজ করব। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে:

* অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
* বঞ্চিত ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
* এমন একটি সমাজ গড়তে হবে, যেখানে প্রত্যেকেই তার পূর্ণ সম্ভাবনা নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে।

আসুন, এই দিনে আমরা মানবাধিকারের চেতনাকে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করি এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর প্রতিফলন ঘটাই। কারণ প্রত্যেকের অধিকার রক্ষা করাই আমাদের মানবতা রক্ষার চাবিকাঠি।

আপনার অধিকার, আমার অধিকার, আমাদের সবার অধিকার— সুনিশ্চিত হোক!

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তাকেচির মন্তব্যে জাপানে সমালোচনার ঝড়

SBN

SBN

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস: মর্যাদা, স্বাধীনতা ও সাম্যের এক অবিচল অঙ্গীকার

আপডেট সময় ০৯:১৬:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

শাহিন আলম প্রধান

আজ ১০ই ডিসেম্বর, সেই ঐতিহাসিক দিন, যেদিন আমরা পালন করি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস (Human Rights Day)। আজকের দিনটি শুধু একটি ক্যালেন্ডার তারিখ নয়, এটি মানবজাতির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মুহূর্তের স্মারক। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ গ্রহণ করেছিল সেই অমর দলিল— ‘মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র’ (Universal Declaration of Human Rights – UDHR)।

কেন এই ঘোষণা এত গুরুত্বপূর্ণ?
এই ঘোষণাপত্রটি কেবল একটি আইনি নথি নয়, এটি মানবতার ভিত্তিপ্রস্তর। এটি পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য— তাদের বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা, ধর্ম, রাজনৈতিক মতাদর্শ, জাতি বা সামাজিক উৎস নির্বিশেষে— সেই মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতাগুলোর এক সার্বজনীন মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করেছে, যা ছাড়া মানুষ হিসেবে আমাদের মর্যাদা অসম্পূর্ণ।

UDHR-এর প্রতিটি ধারা আমাদের শেখায় যে, জন্মগতভাবে আমরা সবাই সমান এবং স্বাধীন। প্রত্যেকেরই রয়েছে জীবনধারণের, নিরাপত্তার, শিক্ষার, ন্যায্য বিচারের এবং মতপ্রকাশের অধিকার। এটি এক শক্তিশালী আহ্বান— যেন আমরা সবাই অন্যের অধিকারকে সম্মান করি এবং এই অধিকারগুলো রক্ষায় সচেষ্ট থাকি।

আমাদের সম্মিলিত দায়বদ্ধতা
মানবাধিকার দিবস আমাদের কেবল ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে শেখায় না, বরং বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে উৎসাহিত করে। এখনও বিশ্বের বহু প্রান্তে অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, বৈষম্য বিরাজ করছে, এবং মানুষ মৌলিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত।

এই দিনে আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা মানবাধিকারের জন্য শুধু কথা বলব না, এর জন্য কাজ করব। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে:

* অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
* বঞ্চিত ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
* এমন একটি সমাজ গড়তে হবে, যেখানে প্রত্যেকেই তার পূর্ণ সম্ভাবনা নিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে।

আসুন, এই দিনে আমরা মানবাধিকারের চেতনাকে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করি এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এর প্রতিফলন ঘটাই। কারণ প্রত্যেকের অধিকার রক্ষা করাই আমাদের মানবতা রক্ষার চাবিকাঠি।

আপনার অধিকার, আমার অধিকার, আমাদের সবার অধিকার— সুনিশ্চিত হোক!